মাগুরায় ধর্ষণের শিকার শিশুটি জীবনশঙ্কায়, দোয়া প্রার্থনা\n
প্রেস উইং বলছে, লাইফ সাপোর্টে থাকা শিশুটির মস্তিষ্কের কোষগুলো সঠিকভাবে কাজ করছে না। তার রক্তচাপ ও রক্তে অক্সিজেনের মাত্রাও অত্যন্ত কম। গ্লাসগো কোমা স্কেলে (জিসিএস) বর্তমানে তার চেতনার মাত্রা মাত্র ৩, যেটিকে জীবিত অবস্থায় চেতনার সর্বনিম্ন মাত্রা হিসেবে বিবেচনা করে থাকেন চিকিৎসা বিশেষজ্ঞরা।
এর আগে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরও (আইএসপিআর) বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) রাতে এক বার্তায় শিশুটির সংকটাপন্ন অবস্থার কথা জানায়। সংস্থাটি জানায়, বুধবার শিশুটি চারবার কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের শিকার হয়েছিল। রাতে তার রক্তচাপ ছিল ৬০/৪০, যা ছিল ক্রমহ্রাসমান।
মাগুরা সদরের নিজনান্দুয়ালী গ্রামে বোনের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে গত বুধবার (৫ মার্চ) দিবাগত রাত ২টার দিকে ধর্ষণের শিকার হয় মেয়েটি। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে মাগুরা সদর হাসপাতাল ও সেখান থেকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য শুক্রবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ঢামেক হাসপাতালের পেডিয়াট্রিক আইসিইউতে লাইফ সাপোর্টে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছিল শিশুটিকে। পরে শনিবার (৮ মার্চ) সন্ধ্যা ৬টার দিকে তাকে সংকটাপন্ন অবস্থায় ঢাকা সিএমএইচের শিশু আইসিইউতে ভর্তি করা হয়।
চিকিৎসকরা শিশুটির সর্বোচ্চ চিকিৎসা নিশ্চিত করার চেষ্টা করছেন জানিয়ে আইএসপিআর জানিয়েছে, প্রতিদিন স্ট্যান্ডার্ড আইসিইউ প্রটোকল অনুযায়ী প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে সে অনুযায়ী শিশুটিকে সর্বোচ্চ চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছে। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সমন্বয়ে গঠিত উচ্চ পর্যায়ের চিকিৎসা পর্ষদ সর্বাধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতির মাধ্যমে শিশুটির জীবন রক্ষার জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
শিশুটির সুস্থতার জন্য বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দেশবাসীর কাছে দোয়াপ্রার্থী— উল্লেখ করা হয়েছে আইএসপিআরের বিজ্ঞপ্তিতে।