top ad image
top ad image
home iconarrow iconখবরাখবর

আরও দুবার কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের শিকার মাগুরার শিশুটি

আরও দুবার কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের শিকার মাগুরার শিশুটি
ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল। ছবি: সংগৃহীত

মাগুরায় ধর্ষণের শিকার আট বছর বয়সী শিশুটির শারীরিক অবস্থার ক্রমাবনতি ঠেকানো যাচ্ছে না। বারবারই তার হৃদযন্ত্রের কম্পন বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন শিশুটির মস্তিষ্কও কাজ করছে না।

বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) সকালে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বার্তায় এ তথ্য তথ্য জানানো হয়েছে। বার্তা বলছে, শিশুটির অবস্থা অত্যন্ত সংকটাপন্ন।

প্রেস উইংয়ের বার্তায় জানানো হয়েছে, আজ বৃহস্পতিবার আরও দুবার কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের (হৃদপিণ্ডের কম্পন পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যাওয়া) শিকার হয়েছে মেয়েটি। এর মধ্যে দ্বিতীয়বার প্রায় ৩০ মিনিট ধরে কার্ডিও পালমোনারি রিসাসিটেশন (সিপিআর) দেওয়ার পর তার হৃদস্পন্দন ফিরে এসেছে।

প্রেস উইং বলছে, লাইফ সাপোর্টে থাকা শিশুটির মস্তিষ্কের কোষগুলো সঠিকভাবে কাজ করছে না। তার রক্তচাপ ও রক্তে অক্সিজেনের মাত্রাও অত্যন্ত কম। গ্লাসগো কোমা স্কেলে (জিসিএস) বর্তমানে তার চেতনার মাত্রা মাত্র ৩, যেটিকে জীবিত অবস্থায় চেতনার সর্বনিম্ন মাত্রা হিসেবে বিবেচনা করে থাকেন চিকিৎসা বিশেষজ্ঞরা।

এর আগে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরও (আইএসপিআর) বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) রাতে এক বার্তায় শিশুটির সংকটাপন্ন অবস্থার কথা জানায়। সংস্থাটি জানায়, বুধবার শিশুটি চারবার কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের শিকার হয়েছিল। রাতে তার রক্তচাপ ছিল ৬০/৪০, যা ছিল ক্রমহ্রাসমান।

মাগুরা সদরের নিজনান্দুয়ালী গ্রামে বোনের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে গত বুধবার (৫ মার্চ) দিবাগত রাত ২টার দিকে ধর্ষণের শিকার হয় মেয়েটি। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে মাগুরা সদর হাসপাতাল ও সেখান থেকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য শুক্রবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

ঢামেক হাসপাতালের পেডিয়াট্রিক আইসিইউতে লাইফ সাপোর্টে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছিল শিশুটিকে। পরে শনিবার (৮ মার্চ) সন্ধ্যা ৬টার দিকে তাকে সংকটাপন্ন অবস্থায় ঢাকা সিএমএইচের শিশু আইসিইউতে ভর্তি করা হয়।

চিকিৎসকরা শিশুটির সর্বোচ্চ চিকিৎসা নিশ্চিত করার চেষ্টা করছেন জানিয়ে আইএসপিআর জানিয়েছে, প্রতিদিন স্ট্যান্ডার্ড আইসিইউ প্রটোকল অনুযায়ী প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে সে অনুযায়ী শিশুটিকে সর্বোচ্চ চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছে। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সমন্বয়ে গঠিত উচ্চ পর্যায়ের চিকিৎসা পর্ষদ সর্বাধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতির মাধ্যমে শিশুটির জীবন রক্ষার জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।

শিশুটির সুস্থতার জন্য বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দেশবাসীর কাছে দোয়াপ্রার্থী— উল্লেখ করা হয়েছে আইএসপিআরের বিজ্ঞপ্তিতে।

r1 ad
r1 ad
top ad image