
ডেস্ক, রাজনীতি ডটকম

মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদির অস্ত্রোপচারের সিদ্ধান্ত হয়েছে। ‘অত্যন্ত সংকটাপন্ন’ হাদির শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় তার পরিবার সিঙ্গাপুরেই অস্ত্রোপচারের অনুমতি দিয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) ওসমান হাদির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
পোস্টে বলা হয়েছে, হাদি জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে আছে। তার পরিবারের পক্ষ থেকে সিঙ্গাপুরেই অপারেশন করবার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। আপনারা দোয়া করুন, আল্লাহ যেন তাকে হায়াতে তাইয়্যেবাহ নসিব করেন।
এর আগে বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) রাতে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, হাদির শারীরিক অবস্থা ‘অত্যন্ত সংকটাপন্ন’। বৃহস্পতিবারও উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে তার শারীরিক অবস্থা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
বৈঠকে জানানো হয়েছে, হাদির বিষয়ে সিঙ্গাপুরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. ভিভিয়ান বালাকৃষ্ণান নিয়মিতভাবে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে যোগাযোগ করছেন, খোঁজখবর জানাচ্ছেন। বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা গতকাল সিঙ্গাপুর পৌঁছেছেন। তিনি সরাসরি হাদির চিকিৎসার দেখভাল করছেন।
এদিকে হাদির জন্য দোয়া প্রার্থনা করে তার পোস্ট থেকে লেখা হয়েছে, ‘ওসমান হাদি যদি রবের ডাকে সাড়া দিয়ে শহিদের কাতারে শামিল হন, সেক্ষেত্রে পুরো বাংলাদেশের স্বাধীনতাকামী মজলুম জনতাকে সার্বভৌমত্ব নিশ্চিতকরণে শাহবাগে জড়ো হওয়ার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে৷’
হাদির ওপর হামলাকারীরা গ্রেপ্তার না হওয়া পর্যন্ত ‘শাহবাগে অবস্থান এবং পুরো বাংলাদেশকে অচল করে দেওয়া’র হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়েছে পোস্টে।
বলা হয়েছে, ‘খুনি যদি ভারতে পালিয়ে যায়, সে ক্ষেত্রে ভারত সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে যেকোনো মূল্যে তাকে গ্রেপ্তার করে ফেরত আনতে হবে৷’
গত শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) জুমার নামাজের পর রাজধানীর বিজয়নগরের কালভার্ট রোড এলাকায় নির্বাচনি জনসংযোগের সময় গুলিবিদ্ধ হন হাদি। প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে অস্ত্রোপচার শেষে পোস্ট-অপারেটিভ তথা অস্ত্রোপচার-পরবর্তী পরিচর্যার জন্য তাকে স্থানান্তর করা হয় এভারকেয়ার হাসপাতালে। একটি মেডিকেল বোর্ডের অধীনে সেখানে তার চিকিৎসা চলছিল।
গত রোববার রাতে সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী, প্রধান উপদেষ্টার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়বিষয়ক বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমান, এভারকেয়ার হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডা. জাফর ও ওসমান হাদির ভাই ওমর বিন হাদিসহ অন্যদের উপস্থিতিতে এক জরুরি বৈঠক হয়। ওই বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, হাদিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে পাঠানো হবে।
পরে গত সোমবার বিকেলে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে হাদিকে সিঙ্গাপুরে পাঠানো হয়। সেখানে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে তার চিকিৎসা চলছে।

মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদির অস্ত্রোপচারের সিদ্ধান্ত হয়েছে। ‘অত্যন্ত সংকটাপন্ন’ হাদির শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় তার পরিবার সিঙ্গাপুরেই অস্ত্রোপচারের অনুমতি দিয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) ওসমান হাদির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
পোস্টে বলা হয়েছে, হাদি জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে আছে। তার পরিবারের পক্ষ থেকে সিঙ্গাপুরেই অপারেশন করবার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। আপনারা দোয়া করুন, আল্লাহ যেন তাকে হায়াতে তাইয়্যেবাহ নসিব করেন।
এর আগে বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) রাতে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, হাদির শারীরিক অবস্থা ‘অত্যন্ত সংকটাপন্ন’। বৃহস্পতিবারও উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে তার শারীরিক অবস্থা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
বৈঠকে জানানো হয়েছে, হাদির বিষয়ে সিঙ্গাপুরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. ভিভিয়ান বালাকৃষ্ণান নিয়মিতভাবে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে যোগাযোগ করছেন, খোঁজখবর জানাচ্ছেন। বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা গতকাল সিঙ্গাপুর পৌঁছেছেন। তিনি সরাসরি হাদির চিকিৎসার দেখভাল করছেন।
এদিকে হাদির জন্য দোয়া প্রার্থনা করে তার পোস্ট থেকে লেখা হয়েছে, ‘ওসমান হাদি যদি রবের ডাকে সাড়া দিয়ে শহিদের কাতারে শামিল হন, সেক্ষেত্রে পুরো বাংলাদেশের স্বাধীনতাকামী মজলুম জনতাকে সার্বভৌমত্ব নিশ্চিতকরণে শাহবাগে জড়ো হওয়ার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে৷’
হাদির ওপর হামলাকারীরা গ্রেপ্তার না হওয়া পর্যন্ত ‘শাহবাগে অবস্থান এবং পুরো বাংলাদেশকে অচল করে দেওয়া’র হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়েছে পোস্টে।
বলা হয়েছে, ‘খুনি যদি ভারতে পালিয়ে যায়, সে ক্ষেত্রে ভারত সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে যেকোনো মূল্যে তাকে গ্রেপ্তার করে ফেরত আনতে হবে৷’
গত শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) জুমার নামাজের পর রাজধানীর বিজয়নগরের কালভার্ট রোড এলাকায় নির্বাচনি জনসংযোগের সময় গুলিবিদ্ধ হন হাদি। প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে অস্ত্রোপচার শেষে পোস্ট-অপারেটিভ তথা অস্ত্রোপচার-পরবর্তী পরিচর্যার জন্য তাকে স্থানান্তর করা হয় এভারকেয়ার হাসপাতালে। একটি মেডিকেল বোর্ডের অধীনে সেখানে তার চিকিৎসা চলছিল।
গত রোববার রাতে সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী, প্রধান উপদেষ্টার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়বিষয়ক বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমান, এভারকেয়ার হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডা. জাফর ও ওসমান হাদির ভাই ওমর বিন হাদিসহ অন্যদের উপস্থিতিতে এক জরুরি বৈঠক হয়। ওই বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, হাদিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে পাঠানো হবে।
পরে গত সোমবার বিকেলে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে হাদিকে সিঙ্গাপুরে পাঠানো হয়। সেখানে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে তার চিকিৎসা চলছে।

এর কিছুক্ষণ পরই শাহবাগ মোড়ের দিকে জড়ো হতে থাকে ছাত্র-জনতা। সেখানে ‘তুমি কে আমি কে, হাদি হাদি’, ‘আমরা সবাই হাদি হব, গুলির মুখে কথা কব’, ‘জাহাঙ্গীরের গদিতে, আগুন জ্বালাও একসাথে’, ‘লীগ ধর, জেলে ভর’সহ বিভিন্ন স্লোগান দেন তারা।
৪ ঘণ্টা আগে
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সকল অপরাধীকে দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে এবং তাদের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা হবে। এ বিষয়ে কোনো ধরনের শৈথিল্য দেখানো হবে না।
৫ ঘণ্টা আগে
ওসমান হাদির রুহের মাগফিরাত কামনা করে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, তার শোকসন্তপ্ত স্ত্রী, পরিবারের সদস্য, স্বজন ও সহকর্মীদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি। শহিদ ওসমান হাদির স্ত্রী ও একমাত্র সন্তানের দায়িত্ব সরকার গ্রহণ করবে।
৫ ঘণ্টা আগে
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শহিদ শরিফ ওসমান হাদির অকালমৃত্যুতে আগামী শনিবার (২০ ডিসেম্বর) একদিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করছি। এ উপলক্ষ্যে শনিবার দেশের সব সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ সরকারি, বেসরকারি ভবন ও বিদেশে বাংলাদেশ মিশনগুলোতে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত থাকবে।
৬ ঘণ্টা আগে