মামলা হলেই নিরীহ কাউকে গ্রেপ্তার বা হয়রানি নয়: আইজিপি

প্রতিবেদক, রাজনীতি ডটকম
আপডেট : ২৮ এপ্রিল ২০২৫, ১৮: ২৯
পুলিশ সপ্তাহ সামনে রেখে সোমবার ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন আইজিপি বাহারুল আলম। ছবি: প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর

কেউ থানায় মামলা করতে গেলে তাৎক্ষণিকভাবে সত্যতা যাচাইয়ের সুযোগ থাকে না বলে পুলিশকে মামলা নিতেই হয় বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম। তবে মামলা হলেই তদন্তে জড়িত না পাওয়া গেলে নিরীহ কাউকে গ্রেপ্তার বা হয়রানি না করার নির্দেশনা দিয়েছেন তিনি।

পুলিশ সপ্তাহ সামনে রেখে সোমবার (২৮ এপ্রিল) বিকেলে রাজধানী ঢাকার বেইলি রোডে অবস্থিত ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

আইজিপি বাহারুল হক বলেন, কেউ মামলা করতে এলে সেটার সত্য-মিথ্যা যাচাই করার সুযোগ পুলিশের নেই। মামলা এখন সবাই নিজের হাতে লিখে নিয়ে আসে। সেটি পুলিশকে মামলা হিসেবে রুজু করতে হয়। যাচাই করার সুযোগ নেই। পরে তদন্ত করে দেখা হয় অভিযোগ কতটুকু সত্য বা কতটুকু মিথ্যা। সত্যটুকু তদন্তে উঠিয়ে আমরা আদালতে পাঠাই।

মামলা নিতে হলেও তদন্তের সময় জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া না গেলে কাউকে গ্রেপ্তার না করার কথা জানিয়ে আইজিপি বলেন, মামলা হলেই গ্রেপ্তার করা যাবে না। তদন্তে যার বিরুদ্ধে দায়ভার পাওয়া যাবে, তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সংবাদ সম্মেলনে মামলা দিয়ে নিরীহ মানুষকে হয়রানির বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে আইজিপি বলেন, মামলা মিথ‍্যা না, মামলা সত‍্যই। তবে আসামির সংখ্যা বাড়িয়ে দেওয়া— এই জায়গাটা আমরা বন্ধ করতে পারছি না। আইনেও এই সীমাবদ্ধতা আমাদের রয়েছে।

আইজিপি বলেন, ৫ আগস্টের পর দেখা গেছে, অপরাধ হয়তো করেছেন পাঁচজন বা দশজন। কিন্তু অসৎ উদ্দেশ্যে, অর্থ আদায়ের জন‍্য, কাউকে হয়রানি করার জন‍্য, ভয় দেখিয়ে ৩০০ লোকের নামে মামলা দিয়ে দিয়েছে।

আসামি করে হয়রানি করা হলে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানোর অনুরোধ করেন পুলিশ প্রধান। বলেন, আমরা মামলা দিয়ে কাউকে হয়রানির জায়গাটা বন্ধ করতে চাই। এ জন্য আমিও অনেক সময় থানায় ফোন দিয়ে কথা বলছি।

নাগরিকদেরও পুলিশের কাছে অন্যায় আবদার না করার অনুরোধ জানিয়ে বাহারুল আলম বলেন, অনেক সময় অন্যায় আবদারের মুখোমুখি হই। ওমুককে বন্দি করেন, ওমুককে ছেড়ে দেন, ওমুককে পদক দেন— এমন অনেক আবদার আসে। দেশবাসীর কাছে অনুরোধ, আমাদের ভুল-ত্রুটি ধরিয়ে দিন। তবে আমাদের কাছে যেন কোনো অন‍্যায় আবদার করা না হয়।

ad
ad

খবরাখবর থেকে আরও পড়ুন

শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় প্রত্যাখ্যান ১ হাজার বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকের

তারা বলেন, ‘রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রক্রিয়ায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে যে রায় ঘোষণা করেছে তা প্রহসনমূলক ও অগ্রহণযোগ্য। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল বর্তমানে ক্যাঙারু কোর্টের রূপ পরিগ্রহ করেছে। এখন এই আদালত স্বৈরাচারী, পক্ষপাতদুষ্ট এবং ন্যায়

২ ঘণ্টা আগে

হাসিনা-কামালের সম্পদ বাজেয়াপ্তের নির্দেশ

এই মামলায় প্রসিকিউশন পক্ষে চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম ও গাজী এস এইচ তামিম শুনানি করেন। এছাড়া শুনানিতে প্রসিকিউটর বি এম সুলতান মাহমুদ, শাইখ মাহদি, আবদুস সাত্তার পালোয়ানসহ অন্য প্রসিকিউটরা উপস্থিত ছিলেন। অন্যদিকে, পলাতক শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে শুন

২ ঘণ্টা আগে

ভারতকে অন্তর্বর্তী সরকার— দণ্ডপ্রাপ্ত শেখ হাসিনা-কামালকে ফেরত পাঠান

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, পলাতক আসামি শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামাল জুলাই হত্যাকাণ্ডের জন্য অপরাধী সাব্যস্ত হয়েছেন এবং দণ্ডপ্রাপ্ত হয়েছেন। মানবতাবিরোধী অপরাধে দণ্ডপ্রাপ্ত এ ব্যক্তিদের দ্বিতীয় কোনো দেশ আশ্রয় দিলে তা হবে অত্যন্ত অবন্ধুসুলভ আচরণ ও ন্যায়বিচারের প্রতি অবজ্ঞার সামিল।

৩ ঘণ্টা আগে

দণ্ডপ্রাপ্ত শেখ হাসিনা-কামালকে ফেরত চাইল বাংলাদেশ

বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, ‘‘আমরা ভারত সরকারের প্রতি আহ্বান জানাই তারা যেন অনতিবিলম্বে দণ্ডপ্রাপ্ত এই দুই ব্যক্তিকে বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করেন। দুই দেশের মধ্যে বিরাজমান প্রত্যর্পণ চুক্তি অনুসারে এটি ভারতের জন্য অবশ্য পালনীয় দায়িত্বও বটে।’’

৩ ঘণ্টা আগে