
প্রতিবেদক, রাজনীতি ডটকম

দুই দফায় রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনার ভিত্তিতে যে জুলাই সনদ তৈরি করা হয়েছে, রাজনৈতিক দলগুলোর পাশাপাশি বিশেষজ্ঞদের মতামতের ভিত্তিতেই তার বাস্তবায়ন পদ্ধতি নির্ধারণ করা হবে বলে জানিয়েছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক ড. আলী রীয়াজ। তিনি জানান, আগামী সপ্তাহেই এ নিয়ে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা করা হবে।
শুক্রবার (৮ আগস্ট) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জুলাই জাতীয় সনদ নিয়ে এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো সহায়তা করেছে বিধায় অনেক বিষয়ে ঐকমত্য করা সম্ভব হয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দুই ধাপে আলোচনায় ঐকমত্য হয়েছে।
জুলাই সনদ বাস্তবায়ন নিয়ে ঐকমত্য কমিশনের এই সহসভাপতি বলেন, ঐকমত্যের ভিত্তিতে রচিত ও প্রত্যাশিত স্বাক্ষরিত সনদের বাধ্যবাধকতা নিশ্চিত ও বাস্তবায়নের পদ্ধতি কী হবে, তা বিশেষজ্ঞ ও রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে নির্ধারণ করা দরকার। সে জন্য আগামী সপ্তাহে কমিশন এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে এবং এরপর রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনায় বসবে।
ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে সংসদে নারী আসন নিয়ে যে ঐকমত্য হয়েছে সে প্রসঙ্গে আলী রীয়াজ বলেন, সংসদে নারী আসন বাড়িয়ে ১০০ করার বিষয়ে প্রায় সব দল একমত। কিন্তু প্রক্রিয়া কী হবে সে বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছানো সম্ভব হয়নি। ফলে শেষ পর্যন্ত বিদ্যমান পরোক্ষ নির্বাচন বহাল রেখে পর্যায়ক্রমে সরাসরি প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নারীদের অংশগ্রহণ বৃদ্ধির ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হয়। এটা দুঃখজনক যে এ বিষয়ে দলগুলোর পক্ষে সবচেয়ে বেশি নোট অব ডিসেন্ট এসেছে।
রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে বিভিন্ন সংস্কার কমিশনের সুপারিশ ও প্রস্তাবনা নিয়ে ঐকমত্যে পৌঁছাতে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি ছয় মাস মেয়াদ নিয়ে যাত্রা শুরু করে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। সে হিসাবে আগামী ১৫ আগস্ট এ কমিশনের মেয়াদ শেষ হচ্ছে।
কমিশনের মেয়াদ আরও বাড়ানো হবে কি না— এ বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে আলী রীয়াজ বলেন, সরকার যদি মনে করে কমিশনের মেয়াদ বাড়ানো প্রয়োজন, সেটা সরকারের সিদ্ধান্ত।
আলী রীয়াজ জানান, দ্বিতীয় পর্বের আলোচনায় ১১টি বিষয়ে কোনো ধরনের ভিন্নমত বা নোট অব ডিসেন্ট ছাড়াই ঐকমত্যে পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছে রাজনৈতিক দলগুলো। বাকি ৯টি বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে নোট অব ডিসেন্টসহ।
(১) সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি; (২) নির্বাচনি এলাকার সীমানা নির্ধারণ; (৩) রাষ্ট্রপতির ক্ষমা সম্পর্কিত বিধান; (৪) বিচার বিভাগ বিকেন্দ্রীকরণ-(ক) সুপ্রিম কোর্টের বিকেন্দ্রীকরণ, (খ) উপজেলা পর্যায়ে অধস্তন আদালতের সম্প্রসারণ; (৫) জরুরী অবস্থা ঘোষণা; (৬) প্রধান বিচারপতি নিয়োগ; (৭) সংবিধান সংশোধন; (৮) প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদকাল; (৯) নির্বাচন কমিশন গঠন; (১০) পুলিশ কমিশন গঠন; এবং (১১) নাগরিকের মৌলিক অধিকার সম্প্রসারণ সম্পর্কিত প্রস্তাব।
(১) সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৭০ সংশোধন; (২) প্রধানমন্ত্রীর একাধিক পদে থাকার বিধান; (৩) সরকারি কর্ম কমিশন, মহা-হিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক, দুর্নীতি দমন কমিশন এবং ন্যায়পাল নিয়োগের বিধান সম্পর্কিত [ইতিপূর্বে সাংবিধানিক ও সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানের বাছাই কমিটি নামে প্রস্তাবিত ছিল (যা পূর্বে ‘জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিল' বা ‘এনসিসি’ নামে প্রস্তাবিত ছিল)]; (৪) সংসদে নারী প্রতিনিধিত্ব (সংখ্যা বৃদ্ধি, নির্বাচন পদ্ধতি ইত্যাদি); (৫) দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট পার্লামেন্ট (উচ্চকক্ষের গঠন, সদস্য নির্বাচনের পদ্ধতি, এখতিয়ার ইত্যাদি); (৬) রাষ্ট্রপতি নির্বাচন পদ্ধতি; (৭) তত্ত্বাবধায়ক সরকার; (৮) রাষ্ট্রের মূলনীতি; এবং (৯) রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা ও দায়িত্ব [অনুচ্ছেদ ৪৮(৩)]।

দুই দফায় রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনার ভিত্তিতে যে জুলাই সনদ তৈরি করা হয়েছে, রাজনৈতিক দলগুলোর পাশাপাশি বিশেষজ্ঞদের মতামতের ভিত্তিতেই তার বাস্তবায়ন পদ্ধতি নির্ধারণ করা হবে বলে জানিয়েছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক ড. আলী রীয়াজ। তিনি জানান, আগামী সপ্তাহেই এ নিয়ে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা করা হবে।
শুক্রবার (৮ আগস্ট) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জুলাই জাতীয় সনদ নিয়ে এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো সহায়তা করেছে বিধায় অনেক বিষয়ে ঐকমত্য করা সম্ভব হয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দুই ধাপে আলোচনায় ঐকমত্য হয়েছে।
জুলাই সনদ বাস্তবায়ন নিয়ে ঐকমত্য কমিশনের এই সহসভাপতি বলেন, ঐকমত্যের ভিত্তিতে রচিত ও প্রত্যাশিত স্বাক্ষরিত সনদের বাধ্যবাধকতা নিশ্চিত ও বাস্তবায়নের পদ্ধতি কী হবে, তা বিশেষজ্ঞ ও রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে নির্ধারণ করা দরকার। সে জন্য আগামী সপ্তাহে কমিশন এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে এবং এরপর রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনায় বসবে।
ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে সংসদে নারী আসন নিয়ে যে ঐকমত্য হয়েছে সে প্রসঙ্গে আলী রীয়াজ বলেন, সংসদে নারী আসন বাড়িয়ে ১০০ করার বিষয়ে প্রায় সব দল একমত। কিন্তু প্রক্রিয়া কী হবে সে বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছানো সম্ভব হয়নি। ফলে শেষ পর্যন্ত বিদ্যমান পরোক্ষ নির্বাচন বহাল রেখে পর্যায়ক্রমে সরাসরি প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নারীদের অংশগ্রহণ বৃদ্ধির ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হয়। এটা দুঃখজনক যে এ বিষয়ে দলগুলোর পক্ষে সবচেয়ে বেশি নোট অব ডিসেন্ট এসেছে।
রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে বিভিন্ন সংস্কার কমিশনের সুপারিশ ও প্রস্তাবনা নিয়ে ঐকমত্যে পৌঁছাতে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি ছয় মাস মেয়াদ নিয়ে যাত্রা শুরু করে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। সে হিসাবে আগামী ১৫ আগস্ট এ কমিশনের মেয়াদ শেষ হচ্ছে।
কমিশনের মেয়াদ আরও বাড়ানো হবে কি না— এ বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে আলী রীয়াজ বলেন, সরকার যদি মনে করে কমিশনের মেয়াদ বাড়ানো প্রয়োজন, সেটা সরকারের সিদ্ধান্ত।
আলী রীয়াজ জানান, দ্বিতীয় পর্বের আলোচনায় ১১টি বিষয়ে কোনো ধরনের ভিন্নমত বা নোট অব ডিসেন্ট ছাড়াই ঐকমত্যে পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছে রাজনৈতিক দলগুলো। বাকি ৯টি বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে নোট অব ডিসেন্টসহ।
(১) সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি; (২) নির্বাচনি এলাকার সীমানা নির্ধারণ; (৩) রাষ্ট্রপতির ক্ষমা সম্পর্কিত বিধান; (৪) বিচার বিভাগ বিকেন্দ্রীকরণ-(ক) সুপ্রিম কোর্টের বিকেন্দ্রীকরণ, (খ) উপজেলা পর্যায়ে অধস্তন আদালতের সম্প্রসারণ; (৫) জরুরী অবস্থা ঘোষণা; (৬) প্রধান বিচারপতি নিয়োগ; (৭) সংবিধান সংশোধন; (৮) প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদকাল; (৯) নির্বাচন কমিশন গঠন; (১০) পুলিশ কমিশন গঠন; এবং (১১) নাগরিকের মৌলিক অধিকার সম্প্রসারণ সম্পর্কিত প্রস্তাব।
(১) সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৭০ সংশোধন; (২) প্রধানমন্ত্রীর একাধিক পদে থাকার বিধান; (৩) সরকারি কর্ম কমিশন, মহা-হিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক, দুর্নীতি দমন কমিশন এবং ন্যায়পাল নিয়োগের বিধান সম্পর্কিত [ইতিপূর্বে সাংবিধানিক ও সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানের বাছাই কমিটি নামে প্রস্তাবিত ছিল (যা পূর্বে ‘জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিল' বা ‘এনসিসি’ নামে প্রস্তাবিত ছিল)]; (৪) সংসদে নারী প্রতিনিধিত্ব (সংখ্যা বৃদ্ধি, নির্বাচন পদ্ধতি ইত্যাদি); (৫) দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট পার্লামেন্ট (উচ্চকক্ষের গঠন, সদস্য নির্বাচনের পদ্ধতি, এখতিয়ার ইত্যাদি); (৬) রাষ্ট্রপতি নির্বাচন পদ্ধতি; (৭) তত্ত্বাবধায়ক সরকার; (৮) রাষ্ট্রের মূলনীতি; এবং (৯) রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা ও দায়িত্ব [অনুচ্ছেদ ৪৮(৩)]।

ত্ত্বাবধায়ক সরকার ফিরলেও আগামী নির্বাচন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনেই হবে বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতের আইনজীবী শিশির মনির। আজ মঙ্গলবার নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফেরাতে আপিলের চতুর্থ দিনের শুনানি শেষ করেছে জামায়াত। শুনানি শেষে এ কথা বলেন আইনজীবী শিশির মনির।
১৯ ঘণ্টা আগে
আজাদ মজুমদার লিখেছেন, ‘ইদানীং দেখি, অনেক সাংবাদিক নিজেদের ন্যায্য পাওনা আদায়ের জন্য সরকারি লোকজনের কাছে আর্জি জানান। এই বিষয়টা আমাদের জন্য বিব্রতকর। যাদের কলম ও কণ্ঠে প্রতিদিন মানুষের অধিকার ও ন্যায়বিচারের কথা উঠে আসে, তারাই যখন নিজেদের প্রাপ্যটুকুর জন্য অসহায় হয়ে পড়েন- সেটি আসলে সবার জন্যই হতাশার।’
১৯ ঘণ্টা আগে
সুপারিশে বলা হয়েছে, অন্তর্বর্তী সরকার এই জুলাই সনদ বাস্তবায়নের আদেশ জারি করবে। এরপর জুলাই সনদ বাস্তবায়নে আয়োজন করা হবে গণভোট। গণভোটে পাস হলে নির্বাচিত সংসদ ২৭০ দিনের মধ্যে সে আদেশ বাস্তবায়ন করতে বাধ্য হবে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বাস্তবায়ন না হলে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের বিধান রাখা হয়েছে সুপারিশে।
২০ ঘণ্টা আগে
তিনি বলেন, নির্বাচনে মোট ৯দিন আনসার সদস্যরা নিয়োজিত থাকবে। আগামী নির্বাচনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে আনসার সদস্যরা।
২০ ঘণ্টা আগে