ডেস্ক, রাজনীতি ডটকম
বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ‘লক্ষ্যবস্তু বানানো’ ও তার বিরুদ্ধে ‘ভিত্তিহীন’ প্রচারণার অভিযোগ করেছেন ব্রিটেনের সাবেক মন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিক। তার আইনজীবীরা এসব অভিযোগ নিয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদককে) একটি চিঠি পাঠিয়েছেন।
টিউলিপের পক্ষ থেকে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, টিউলিপের বিরুদ্ধে আনীত দুর্নীতির অভিযোগগুলো ‘মিথ্যা এবং হয়রানিমূলক’। সেগুলো গণমাধ্যমের কাছে তুলে ধরা হলেও দুদকের পক্ষ থেকে তাকে কখনো আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়নি।
বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, দুদকের পক্ষ থেকেও ওই চিঠির একটি জবাব দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি। বিবিসি সেই চিঠিটি দেখেছে। এতে বলা হয়েছে, টিউলিপ আওয়ামী লীগের ‘দুর্নীতি থেকে লাভবান হয়েছেন’। শেখ হাসিনার শাসনামল সম্পর্কে তার (টিউলিপ সিদ্দিকের) অজ্ঞতার দাবি ‘বিশ্বাস করা কঠিন’।
দুর্নীতির এসব অভিযোগের মুখে গত জানুয়ারিতে লেবার মন্ত্রিসভার ইকনোমিক সেক্রেটারি টু দ্য ট্রেজারি অ্যান্ড সিটি মিনিস্টারের পদ থেকে সরে দাঁড়ান টিউলিপ সিদ্দিক। ওই পদে তার কাজ ছিল যুক্তরাজ্যের অর্থবাজারের ভেতরের দুর্নীতি সামাল দেওয়া।
দুদকের পক্ষ থেকে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠার পর উত্তর লন্ডনের হ্যাম্পস্টেড অ্যান্ড হাইগেইট আসনের এই সংসদ সদস্য তখন দাবি করেছিলেন, তিনি কোনো অনিয়ম করেননি। ‘স্বচ্ছতা’ বজায় রেখে কাজ করেছেন। তবে সরকারের কর্মকাণ্ড যেন প্রভাবিত না হয়, সে কারণেই তিনি পদত্যাগ করেছেন।
টিউলিপের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করে এক চিঠিতে প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টারমার জানান, টিউলিপের জন্য ফিরে আসার ‘দরজা খোলা থাকছে’। স্টারমারের নির্বাচনি আসন হবর্ন অ্যান্ড সেন্ট প্যানক্রাস টিউলিপের আসনের পার্শ্বর্বর্তী হওয়ায় তাদের মধ্যে সৌহার্দ্য রয়েছে।
দুর্নীতির অভিযোগ প্রথম সামনে এলে টিউলিপ সিদ্দিক প্রধানমন্ত্রীর নৈতিকতাবিষয়ক উপদেষ্টা স্যার লরি ম্যাগনাসের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। ম্যাগনাস তাকে জানান, তিনি টিউলিপের ক্ষেত্রে ‘অন্যায় কিছুর প্রমাণ পাননি’। তিনি এও বলেছিলেন, এটা দুঃখজনক যে টিউলিপ তার খালা বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্কের জন্য ‘সম্ভাব্য দুর্নামের ঝুঁকি সম্পর্কে অতটা সতর্ক ছিলেন না’।
শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের অবকাঠামো খাতের ব্যয় থেকে প্রায় ৩৯০ কোটি পাউন্ড আত্মসাতের অভিযোগ তদন্ত করছে দুদক। হাসিনার বিরোধী একজন রাজনীতিবিদ ববি হাজ্জাজের করা অভিযোগের ওপর ভিত্তি করে কমিশনের তদন্তটি চলছে।
আদালতে দাখিল করা নথি থেকে বিবিসি জানতে পেরেছে, ববি হাজ্জাজ অভিযোগ করেছেন, এক হাজার কোটি পাউন্ডের রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্প নিয়ে রাশিয়ার সরকারের সঙ্গে বাংলাদেশের মধ্যস্থতা করেছিলেন টিউলিপ। ওই প্রকল্পে খরচ বাড়িয়ে দেখানো হয়েছিল।
দুদকের কাছে লেখা চিঠিতে টিউলিপের আইনজীবী স্টিফেনসন হারউড বলেছেন, টিউলিপ কোনোভাবেই পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের চুক্তিতে যুক্ত ছিলেন না। তবে ২০১৩ সালে ক্রেমলিনে একটি চুক্তি সই অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনা ও রাশিয়ার রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে একই ছবিতে তাকে দেখা গেছে।
কোনো আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ সম্পর্কে তার জানা নেই উল্লেখ করে চিঠিতে আরও বলা হয়, রাষ্ট্রীয় সফরে কোনো রাষ্ট্র বা সরকারপ্রধানের পরিবারের সদস্যদেরও আমন্ত্রণ জানানো অস্বাভাবিক কিছু নয়।
এ বিষয়ে দুদকের পালটা চিঠিতে প্রশ্ন তোলা হয়েছে, টিউলিপ সিদ্দিকের মতো একজন রাজনীতিবিদ কীভাবে সরলতার কারণে নির্দোষ থাকার দাবি করেন?
টিউলিপ সিদ্দিকের পাঠানো চিঠিতে বলা হয়, ২০০৪ সালে লন্ডন কিংস ক্রস এলাকায় উপহার হিসেবে পাওয়া সাত লাখ পাউন্ডের ফ্ল্যাটটি ‘কোনো না কোনোভাবে আত্মসাতের ফল’ বলে যে দাবি করা হয়েছে তা ‘অযৌক্তিক’ এবং ‘সত্য নয়’। কারণ এটি পারমাণবিক বিদ্যুৎ চুক্তির ১০ বছর আগের ঘটনা।
স্যার লরি ম্যাগনাস অভিযোগের তদন্তে বলেছেন, ‘দীর্ঘ সময় ধরে কিংস ক্রসের ফ্ল্যাটে তার মালিকানার উৎস সম্পর্কে অবগত ছিলেন না টিউলিপ। যদিও সেই সময়ে উপহার সংক্রান্ত একটি ভূমি হস্তান্তর নিবন্ধন ফর্মে সই করেছিলেন তিনি।’
স্যার লরি আরও বলেন, ‘তার (টিউলিপ) ধারণা ছিল, তার মা-বাবা তার জন্য সম্পত্তিটি কিনেছেন। কিন্তু সরকারের মন্ত্রী হওয়ার পর তাকে রেকর্ডটি সংশোধন করা উচিত ছিল।’
লরি এ ঘটনাকে ‘দুর্ভাগ্যজনক ভুল বোঝাবুঝি’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। বলেন, এর ফলে জনসাধারণ ‘এই উপহারদাতার পরিচয় সম্পর্কে অসাবধানতাবশত বিভ্রান্ত হয়েছে।’
দুদকের কাছে চিঠিতে টিউলিপের আইনজীবী নিশ্চিত করেছেন, কিংস ক্রসের ফ্ল্যাটটি তাকে দিয়েছিলেন আব্দুল মোতালিফ নামে এক ব্যক্তি, যাকে ‘খুব ঘনিষ্ঠ পারিবারিক বন্ধু ও টিউলিপের গডফাদারের মতো’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
ঢাকায় জমি দখলে টিউলিপ সিদ্দিকের সম্পৃক্ততার যে অভিযোগ দুদকের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে, সে বিষয়েও বিস্তারিত জবাব রয়েছে চিঠিতে। গণমাধ্যমে দুদকের ব্রিফিংকে ‘যুক্তরাজ্যের রাজনীতিতে হস্তক্ষেপের অগ্রহণযোগ্য চেষ্টা’ হিসাবে বর্ণনা করা হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়, ‘দুদক বা বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে তার (টিউলিপ) কাছে কোনো অভিযোগ ন্যায্য, যথাযথ ও স্বচ্ছভাবে, অথবা আদৌ কোনো পর্যায়েই তুলে ধরা হয়নি। আমরা চাই, তার বিরুদ্ধে মিথ্যা ও হয়রানিমূলক অভিযোগ বানানো এবং তার সুনাম নষ্টের জন্য মিডিয়া ব্রিফিং ও প্রকাশ্য বক্তব্য প্রদান অবিলম্বে বন্ধ করা হোক।’
চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, দুদককে ‘অবিলম্বে’ এবং ‘২৫ মার্চের মধ্যে’ টিউলিপের কাছে তাদের অভিযোগ তুলে ধরতে হবে। তা না হলে ‘উত্তর দেওয়ার মতো কোনো বৈধ প্রশ্ন নেই’ বলে আমরা ধরে নেব।
দুদকও টিউলিপের আইনজীবীদের পাঠানো চিঠির জবাব দিয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, তিনি ‘বড় হওয়ার পর জীবনের বেশিরভাগ সময় দুর্বৃত্তায়িত আওয়ামী লীগ ঘনিষ্ঠদের মালিকানাধীন বাড়িতে কাটিয়েছেন’ এবং এটিই প্রমাণ করে যে তিনি এই দলের দুর্নীতি থেকে লাভবান হয়েছেন।
টিউলিপের পক্ষ থেকে ‘শেখ হাসিনার শাসনামলের অবস্থা সম্পর্কে অজ্ঞতার দাবি’ বিশ্বাসযোগ্য নয় বলে উল্লেখ করেন দুদক মুখপাত্র। দুদক ‘যথাসময়ে’ তার আইনজীবীদের সঙ্গে যোগাযোগ করবে বলেও জানানো হয়।
দুদকের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আব্দুল মোমেন সম্প্রতি যুক্তরাজ্যের সাময়িকী দ্য টাইমসকে বলেছেন, টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে উত্থাপিত সব অভিযোগ যুক্তরাজ্যের আদালতসহ যেকোনো আদালতেই প্রমাণ করা যাবে।
বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ‘লক্ষ্যবস্তু বানানো’ ও তার বিরুদ্ধে ‘ভিত্তিহীন’ প্রচারণার অভিযোগ করেছেন ব্রিটেনের সাবেক মন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিক। তার আইনজীবীরা এসব অভিযোগ নিয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদককে) একটি চিঠি পাঠিয়েছেন।
টিউলিপের পক্ষ থেকে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, টিউলিপের বিরুদ্ধে আনীত দুর্নীতির অভিযোগগুলো ‘মিথ্যা এবং হয়রানিমূলক’। সেগুলো গণমাধ্যমের কাছে তুলে ধরা হলেও দুদকের পক্ষ থেকে তাকে কখনো আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়নি।
বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, দুদকের পক্ষ থেকেও ওই চিঠির একটি জবাব দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি। বিবিসি সেই চিঠিটি দেখেছে। এতে বলা হয়েছে, টিউলিপ আওয়ামী লীগের ‘দুর্নীতি থেকে লাভবান হয়েছেন’। শেখ হাসিনার শাসনামল সম্পর্কে তার (টিউলিপ সিদ্দিকের) অজ্ঞতার দাবি ‘বিশ্বাস করা কঠিন’।
দুর্নীতির এসব অভিযোগের মুখে গত জানুয়ারিতে লেবার মন্ত্রিসভার ইকনোমিক সেক্রেটারি টু দ্য ট্রেজারি অ্যান্ড সিটি মিনিস্টারের পদ থেকে সরে দাঁড়ান টিউলিপ সিদ্দিক। ওই পদে তার কাজ ছিল যুক্তরাজ্যের অর্থবাজারের ভেতরের দুর্নীতি সামাল দেওয়া।
দুদকের পক্ষ থেকে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠার পর উত্তর লন্ডনের হ্যাম্পস্টেড অ্যান্ড হাইগেইট আসনের এই সংসদ সদস্য তখন দাবি করেছিলেন, তিনি কোনো অনিয়ম করেননি। ‘স্বচ্ছতা’ বজায় রেখে কাজ করেছেন। তবে সরকারের কর্মকাণ্ড যেন প্রভাবিত না হয়, সে কারণেই তিনি পদত্যাগ করেছেন।
টিউলিপের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করে এক চিঠিতে প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টারমার জানান, টিউলিপের জন্য ফিরে আসার ‘দরজা খোলা থাকছে’। স্টারমারের নির্বাচনি আসন হবর্ন অ্যান্ড সেন্ট প্যানক্রাস টিউলিপের আসনের পার্শ্বর্বর্তী হওয়ায় তাদের মধ্যে সৌহার্দ্য রয়েছে।
দুর্নীতির অভিযোগ প্রথম সামনে এলে টিউলিপ সিদ্দিক প্রধানমন্ত্রীর নৈতিকতাবিষয়ক উপদেষ্টা স্যার লরি ম্যাগনাসের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। ম্যাগনাস তাকে জানান, তিনি টিউলিপের ক্ষেত্রে ‘অন্যায় কিছুর প্রমাণ পাননি’। তিনি এও বলেছিলেন, এটা দুঃখজনক যে টিউলিপ তার খালা বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্কের জন্য ‘সম্ভাব্য দুর্নামের ঝুঁকি সম্পর্কে অতটা সতর্ক ছিলেন না’।
শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের অবকাঠামো খাতের ব্যয় থেকে প্রায় ৩৯০ কোটি পাউন্ড আত্মসাতের অভিযোগ তদন্ত করছে দুদক। হাসিনার বিরোধী একজন রাজনীতিবিদ ববি হাজ্জাজের করা অভিযোগের ওপর ভিত্তি করে কমিশনের তদন্তটি চলছে।
আদালতে দাখিল করা নথি থেকে বিবিসি জানতে পেরেছে, ববি হাজ্জাজ অভিযোগ করেছেন, এক হাজার কোটি পাউন্ডের রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্প নিয়ে রাশিয়ার সরকারের সঙ্গে বাংলাদেশের মধ্যস্থতা করেছিলেন টিউলিপ। ওই প্রকল্পে খরচ বাড়িয়ে দেখানো হয়েছিল।
দুদকের কাছে লেখা চিঠিতে টিউলিপের আইনজীবী স্টিফেনসন হারউড বলেছেন, টিউলিপ কোনোভাবেই পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের চুক্তিতে যুক্ত ছিলেন না। তবে ২০১৩ সালে ক্রেমলিনে একটি চুক্তি সই অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনা ও রাশিয়ার রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে একই ছবিতে তাকে দেখা গেছে।
কোনো আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ সম্পর্কে তার জানা নেই উল্লেখ করে চিঠিতে আরও বলা হয়, রাষ্ট্রীয় সফরে কোনো রাষ্ট্র বা সরকারপ্রধানের পরিবারের সদস্যদেরও আমন্ত্রণ জানানো অস্বাভাবিক কিছু নয়।
এ বিষয়ে দুদকের পালটা চিঠিতে প্রশ্ন তোলা হয়েছে, টিউলিপ সিদ্দিকের মতো একজন রাজনীতিবিদ কীভাবে সরলতার কারণে নির্দোষ থাকার দাবি করেন?
টিউলিপ সিদ্দিকের পাঠানো চিঠিতে বলা হয়, ২০০৪ সালে লন্ডন কিংস ক্রস এলাকায় উপহার হিসেবে পাওয়া সাত লাখ পাউন্ডের ফ্ল্যাটটি ‘কোনো না কোনোভাবে আত্মসাতের ফল’ বলে যে দাবি করা হয়েছে তা ‘অযৌক্তিক’ এবং ‘সত্য নয়’। কারণ এটি পারমাণবিক বিদ্যুৎ চুক্তির ১০ বছর আগের ঘটনা।
স্যার লরি ম্যাগনাস অভিযোগের তদন্তে বলেছেন, ‘দীর্ঘ সময় ধরে কিংস ক্রসের ফ্ল্যাটে তার মালিকানার উৎস সম্পর্কে অবগত ছিলেন না টিউলিপ। যদিও সেই সময়ে উপহার সংক্রান্ত একটি ভূমি হস্তান্তর নিবন্ধন ফর্মে সই করেছিলেন তিনি।’
স্যার লরি আরও বলেন, ‘তার (টিউলিপ) ধারণা ছিল, তার মা-বাবা তার জন্য সম্পত্তিটি কিনেছেন। কিন্তু সরকারের মন্ত্রী হওয়ার পর তাকে রেকর্ডটি সংশোধন করা উচিত ছিল।’
লরি এ ঘটনাকে ‘দুর্ভাগ্যজনক ভুল বোঝাবুঝি’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। বলেন, এর ফলে জনসাধারণ ‘এই উপহারদাতার পরিচয় সম্পর্কে অসাবধানতাবশত বিভ্রান্ত হয়েছে।’
দুদকের কাছে চিঠিতে টিউলিপের আইনজীবী নিশ্চিত করেছেন, কিংস ক্রসের ফ্ল্যাটটি তাকে দিয়েছিলেন আব্দুল মোতালিফ নামে এক ব্যক্তি, যাকে ‘খুব ঘনিষ্ঠ পারিবারিক বন্ধু ও টিউলিপের গডফাদারের মতো’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
ঢাকায় জমি দখলে টিউলিপ সিদ্দিকের সম্পৃক্ততার যে অভিযোগ দুদকের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে, সে বিষয়েও বিস্তারিত জবাব রয়েছে চিঠিতে। গণমাধ্যমে দুদকের ব্রিফিংকে ‘যুক্তরাজ্যের রাজনীতিতে হস্তক্ষেপের অগ্রহণযোগ্য চেষ্টা’ হিসাবে বর্ণনা করা হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়, ‘দুদক বা বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে তার (টিউলিপ) কাছে কোনো অভিযোগ ন্যায্য, যথাযথ ও স্বচ্ছভাবে, অথবা আদৌ কোনো পর্যায়েই তুলে ধরা হয়নি। আমরা চাই, তার বিরুদ্ধে মিথ্যা ও হয়রানিমূলক অভিযোগ বানানো এবং তার সুনাম নষ্টের জন্য মিডিয়া ব্রিফিং ও প্রকাশ্য বক্তব্য প্রদান অবিলম্বে বন্ধ করা হোক।’
চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, দুদককে ‘অবিলম্বে’ এবং ‘২৫ মার্চের মধ্যে’ টিউলিপের কাছে তাদের অভিযোগ তুলে ধরতে হবে। তা না হলে ‘উত্তর দেওয়ার মতো কোনো বৈধ প্রশ্ন নেই’ বলে আমরা ধরে নেব।
দুদকও টিউলিপের আইনজীবীদের পাঠানো চিঠির জবাব দিয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, তিনি ‘বড় হওয়ার পর জীবনের বেশিরভাগ সময় দুর্বৃত্তায়িত আওয়ামী লীগ ঘনিষ্ঠদের মালিকানাধীন বাড়িতে কাটিয়েছেন’ এবং এটিই প্রমাণ করে যে তিনি এই দলের দুর্নীতি থেকে লাভবান হয়েছেন।
টিউলিপের পক্ষ থেকে ‘শেখ হাসিনার শাসনামলের অবস্থা সম্পর্কে অজ্ঞতার দাবি’ বিশ্বাসযোগ্য নয় বলে উল্লেখ করেন দুদক মুখপাত্র। দুদক ‘যথাসময়ে’ তার আইনজীবীদের সঙ্গে যোগাযোগ করবে বলেও জানানো হয়।
দুদকের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আব্দুল মোমেন সম্প্রতি যুক্তরাজ্যের সাময়িকী দ্য টাইমসকে বলেছেন, টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে উত্থাপিত সব অভিযোগ যুক্তরাজ্যের আদালতসহ যেকোনো আদালতেই প্রমাণ করা যাবে।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশের জনগণ ও অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ঈদুল আজহার শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। জবাবে অধ্যাপক ইউনূসও নরেন্দ্র মোদি ও ভারতের জনগণের প্রতি শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করেছেন। রোববার (৮ জুন) রাতে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
৭ ঘণ্টা আগেপ্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ অবশ্য বলছেন, রাজনৈতিক দলগুলোর সহযোগিতা অব্যাহত থাকলে আগামী মাসের মধ্যেই 'জুলাই সনদ'সহ সংস্কার কর্মসূচিগুলো চূড়ান্ত করা সম্ভব হবে।
১৯ ঘণ্টা আগেতিনি বলেন, “বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও ‘বিশ্ব অ্যাক্রেডিটেশন দিবস-২০২৫’ উদ্যাপন করা হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। এ উপলক্ষ্যে আমি বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন বোর্ড (বিএবি) এর সকল অংশীজন এবং সহযোগী সংস্থাকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘অ্যাক্রেডিটেশন : ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগে
২০ ঘণ্টা আগেএতে বলা হয়, ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ছয়জন। এ সময়ে করোনায় আক্রান্ত হয়ে কারও মৃত্যু হয়নি। শুরু থেকে এ পর্যন্ত করোনায় মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৯ হাজার ৫০০ জনে। দেশে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর সুস্থ হয়ে উঠেছেন ২০ লাখ ১৯ হাজার ৩৬৩ জন।
২০ ঘণ্টা আগে