ডিসেম্বরের দিনলিপি: ১১ ডিসেম্বর ১৯৭১

উত্তরে কাদেরিয়া ঝড়, দক্ষিণে সপ্তম নৌ বহর: নিয়াজির চোখে সর্ষে ফুল!

নাজমুল ইসলাম হৃদয়

৫৪ বছর আগের এ দিনে রণাঙ্গনে ঘটে এক অভাবনীয় সামরিক সমন্বয়। আকাশ থেকে নামা মিত্রবাহিনীর প্যারাট্রুপারদের মাটিতে বরণ করে নিচ্ছিল টাঙ্গাইলের দুর্ধর্ষ ‘কাদেরিয়া বাহিনী’। লুঙ্গি পরা, গামছা বাঁধা এই বাংলার ছেলেরা আধুনিক অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত প্যারাট্রুপারদের পথ দেখিয়ে নিয়ে যাচ্ছিল ঢাকার দিকে।

পাকিস্তানি জেনারেল নিয়াজি তখন ঢাকার ক্যান্টনমেন্টে বসে ম্যাপের দিকে তাকিয়ে দেখছিলেন, তার পালানোর সব রাস্তা বন্ধ। উত্তরে কাদের সিদ্দিকীর বাঘের দল, পূর্বে মেঘনা পাড় হওয়া বিশাল বাহিনী— বিপরীতে দক্ষিণে বঙ্গোপসাগরের দিকে মার্কিন সপ্তম নৌ বহরের নিষ্ফল আস্ফালন।

বিশ্ব রাজনীতির দাবার বোর্ডে ১১ ডিসেম্বর ছিল স্নায়ুযুদ্ধের উত্তাপ ছড়ানোর দিন। কিন্তু বাংলার কাদা-মাটিতে তখন লেখা হচ্ছিল বিজয়ের চূড়ান্ত পাণ্ডুলিপি। পাকিস্তানি বাহিনী তখন ‘শাঁখের করাতে’র মুখে— যুদ্ধ করার ক্ষমতা নেই, আবার আত্মসমর্পণের অনুমতিও নেই। রাওয়ালপিন্ডি থেকে আসা মিথ্যা আশ্বাসের বেলুন এ দিন পুরোপুরি ফেটে যায় এবং ঢাকার পতন সময়ের ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায়।

১১ ডিসেম্বরের সকাল শুরু হয় টাঙ্গাইল রণাঙ্গনে এক ঐতিহাসিক সামরিক ঘটনার মধ্য দিয়ে, যা পরে যুদ্ধের মোড় পুরোপুরি ঢাকার দিকে ঘুরিয়ে দেয়। আগের দিন বিকেলে ও রাতে টাঙ্গাইলের পুংলি ও কালিহাতী এলাকায় ভারতীয় বিমান বাহিনীর ছত্রীসেনা বা প্যারাট্রুপার নামানো হয়েছিল। কিন্তু এ অপারেশনের মূল নায়ক ছিল স্থানীয় ‘কাদেরিয়া বাহিনী’।

বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর নেতৃত্বে হাজার হাজার মুক্তিযোদ্ধা এলাকাটি আগেই নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রেখেছিল। মেজর জেনারেল কে এম শফিউল্লাহর ‘মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশ’ ও মেজর জেনারেল মইনুল হোসেন চৌধুরীর বিবরণ অনুযায়ী, যখন আকাশ থেকে প্যারাট্রুপাররা নামছিল, তখন পাকিস্তানিরা ভেবেছিল হয়তো চীনা সাহায্য এসেছে। কিন্তু তাদের ভুল ভাঙে যখন তারা দেখে, প্যারাট্রুপাররা মাটিতে নেমেই স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে কোলাকুলি করছে।

কাদেরিয়া বাহিনীর সদস্যরা প্যারাট্রুপারদের পথ দেখিয়ে পুংলি ব্রিজের দিকে নিয়ে যায় এবং ব্রিজটি দখল করে নেয়। এর ফলে ময়মনসিংহ ও জামালপুর থেকে পিছু হটা পাকিস্তানি ৯৩ ব্রিগেডের সৈন্যরা ঢাকার দিকে যাওয়ার পথে আটকা পড়ে। পাকিস্তানি ব্রিগেডিয়ার কাদির তার বিশাল বাহিনী নিয়ে এ পথে ঢাকায় ঢুকে ‘ডিফেন্স’ শক্তিশালী করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু পুংলি ব্রিজে কাদেরিয়া বাহিনী ও মিত্রবাহিনীর সম্মিলিত আক্রমণের মুখে তারা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়।

পাকিস্তানি বাহিনীর শত শত গাড়ি ও রসদ ধ্বংস হয়। টাঙ্গাইল কার্যত মুক্ত হয়ে যায় এবং ঢাকার দিকে মিত্রবাহিনীর এগিয়ে যাওয়ার রাস্তা বা ‘হাইওয়ে টু ঢাকা’ সম্পূর্ণ নিষ্কণ্টক হয়। লুঙ্গি পরা মুক্তিযোদ্ধাদের এই বীরত্ব প্রমাণ করে, বিদেশি সাহায্য নয়, বরং দেশীয় প্রতিরোধই ছিল এই যুদ্ধের মূল চালিকাশক্তি।

উত্তরাঞ্চলের হিলি সীমান্তে ১১ ডিসেম্বর শেষ হয় মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম দীর্ঘ ও রক্তক্ষয়ী লড়াই। হিলি ছিল পাকিস্তানি বাহিনীর অন্যতম শক্তিশালী ঘাঁটি বা ‘স্ট্রংহোল্ড’। এখানে পাকিস্তানি ৪ ফ্রন্টিয়ার ফোর্স রেজিমেন্ট মাটির নিচে দুর্ভেদ্য বাংকার তৈরি করে গত ১৬ দিন ধরে মিত্রবাহিনীকে আটকে রেখেছিল।

মেজর জেনারেল ডি কে পালিতের ‘দ্য লাইটনিং ক্যাম্পেইন’ বইয়ে উল্লেখ আছে, হিলির যুদ্ধ ছিল ‘ব্যাটেল অব অ্যাট্রিশন’ বা ক্ষয়িষ্ণু যুদ্ধ। কিন্তু ১১ ডিসেম্বর মিত্রবাহিনীর চতুর কৌশল ও মুক্তিযোদ্ধাদের সাঁড়াশি আক্রমণের মুখে হিলি ঘাঁটির পতন ঘটে।

পাকিস্তানি ব্রিগেডিয়ার তাজাম্মুল হোসেন মালিক বুঝতে পারেন, হিলি আঁকড়ে ধরে থাকলে তার পুরো ব্রিগেড নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে। তাই তিনি তার অবশিষ্ট সৈন্যদের নিয়ে রাতের আঁধারে বগুড়ার দিকে পালিয়ে যান। হিলি মুক্ত হওয়ার মধ্য দিয়ে উত্তরাঞ্চলের সাথে বাকি দেশের যোগাযোগব্যবস্থা মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ন্ত্রণে চলে আসে এবং বগুড়া ও রংপুরের পতন কেবল সময়ের ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায়। হিলির মাটিতে মিশে ছিল শত শত মুক্তিযোদ্ধা ও ভারতীয় জওয়ানের রক্ত, যা এই বিজয়কে করে তুলেছিল বেদনাবিধুর।

একই দিনে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার অঞ্চলে বিজয়ের পতাকা উড়তে শুরু করে। ১১ ডিসেম্বর কক্সবাজার সম্পূর্ণ শত্রুমুক্ত হয়। পাকিস্তানি বাহিনী কক্সবাজার ছেড়ে চট্টগ্রামের দিকে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু পথে তারা স্থানীয় জনতা ও মুক্তিযোদ্ধাদের হামলার শিকার হয়। কক্সবাজার মুক্ত হওয়ার ফলে পাকিস্তানি নৌবাহিনীর পালানোর শেষ সম্ভাব্য রুটটিও বন্ধ হয়ে যায়।

চট্টগ্রাম বন্দরের ওপর মিত্রবাহিনীর বিমান হামলা এ দিনও অব্যাহত ছিল। ‘অপারেশন জ্যাকপটে’র সফলতার পর চট্টগ্রাম বন্দর আগেই অকেজো হয়ে গিয়েছিল, ১১ ডিসেম্বরের পর তা পুরোপুরি ‘ডেড পোর্টে’ পরিণত হয়। সমুদ্রপথে কোনো জাহাজ ঢোকা বা বের হওয়ার উপায় ছিল না।

আন্তর্জাতিক রাজনীতির প্রেক্ষাপটে ১১ ডিসেম্বর ছিল চরম উত্তেজনার দিন। মঈদুল হাসানের ‘মূলধারা ’৭১’ ও মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের দলিল অনুযায়ী, এ দিন মার্কিন প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সন ও হেনরি কিসিঞ্জার পাকিস্তানকে বাঁচানোর জন্য মরিয়া হয়ে ওঠেন।

বঙ্গোপসাগরে তাদের পারমাণবিক শক্তিচালিত বিমানবাহী রণতরী ‘ইউএসএস এন্টারপ্রাইজ’ তখন দ্রুতগতিতে এগিয়ে আসছিল। তাদের উদ্দেশ্য ছিল ভারতকে ভয় দেখানো এবং প্রয়োজনে চট্টগ্রাম উপকূল ব্যবহার করে পাকিস্তানি বাহিনীকে উদ্ধার করা। কিন্তু ১১ ডিসেম্বর সোভিয়েত ইউনিয়নও পালটা ব্যবস্থা নেয়। তারা তাদের নৌ বহরকে ভারত মহাসাগরে মার্কিন বহরকে অনুসরণ করার নির্দেশ দেয় এবং জাতিসংঘে জানিয়ে দেয়, কোনো বিদেশি শক্তি যুদ্ধে হস্তক্ষেপ করলে সোভিয়েত ইউনিয়ন চুপ থাকবে না।

এই পরাশক্তিদের দ্বন্দ্বে বাংলাদেশের মুক্তিকামী মানুষের মনোবল একটুও কমেনি। প্রবাসী সরকারের প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ এদিন এক বিবৃতিতে বলেন, “সপ্তম নৌ বহর বা অষ্টম নৌ বহর, যাই আসুক না কেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা কেউ ঠেকাতে পারবে না।” রণাঙ্গনের মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে মার্কিন নৌ বহর ছিল এক হাস্যকর বিষয়, কারণ তাদের চোখের সামনে পাকিস্তানিরা তখন মুরগির মতো পালাচ্ছে।

অবরুদ্ধ ঢাকা নগরীতে ১১ ডিসেম্বর ছিল এক ভুতুড়ে পরিবেশ। ব্রিগেডিয়ার সিদ্দিক সালিক তার ‘উইটনেস টু সারেন্ডার’ বইয়ে লিখেছেন, এ দিন ঢাকার ইস্টার্ন কমান্ড হেডকোয়ার্টারে জেনারেল নিয়াজি মানসিকভাবে পুরোপুরি ভেঙে পড়েন। তিনি বুঝতে পারছিলেন, টাঙ্গাইল দিয়ে মিত্রবাহিনী যেকোনো সময় ঢাকার মিরপুর ব্রিজে এসে পৌঁছাবে। রাওয়ালপিন্ডি থেকে আসা মিথ্যা আশ্বাসগুলো তখন তার কাছে উপহাস মনে হচ্ছিল।

ঢাকার রাস্তায় এ দিন পাকিস্তানি মিলিশিয়া ও রাজাকারদের তৎপরতা কমে যায়। তারা বুঝতে পারছিল, তাদের সময় শেষ। হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে অবস্থানরত বিদেশি নাগরিক ও জাতিসংঘের কর্মীরা এ দিন ঢাকা ছাড়ার জন্য মরিয়া হয়ে ওঠেন। ব্রিটিশ বিমান বাহিনীর একটি বিশেষ বিমান এ দিন ঢাকা বিমানবন্দরে নামে এবং বিদেশি নাগরিকদের উদ্ধার করে নিয়ে যায়। এ দৃশ্য প্রমাণ করছিল, ঢাকা এখন আর নিরাপদ নয় এবং পতন আসন্ন।

শহিদ জননী জাহানারা ইমাম তার ‘একাত্তরের দিনগুলি’ বইয়ে ১১ ডিসেম্বরের ঢাকার চিত্র তুলে ধরেছেন এক অদ্ভুত সংমিশ্রণে। তিনি লিখেছেন, “আজ ১১ ডিসেম্বর। শনিবার। আজ দুপুর ৩টায় কারফিউ তুলে নেওয়া হয়েছে, আবার ৫টায় দেওয়া হবে। এই দুই ঘণ্টার জন্য মানুষ রাস্তায় নেমেছে শুধু চাল-ডাল কিনতে নয়, একে অন্যের সঙ্গে কথা বলতে। সবার মুখে এক কথা, ওরা নাকি এসে গেছে। টাঙ্গাইল নাকি মুক্ত। রুমি কি ফিরছে? রুমির বন্ধুরা কি এখন ঢাকার গেটে?”

জাহানারা ইমামের বর্ণনায় পাওয়া যায়, ঢাকার আকাশে তখন অনবরত ভারতীয় বিমান চক্কর দিচ্ছে। পাকিস্তানি অ্যান্টি-এয়ারক্রাফট গানগুলো মাঝে মাঝে গর্জন করে উঠছে, কিন্তু তা কেবল হতাশার বহির্প্রকাশ। ঢাকার মানুষ ছাদের ওপর উঠে গোপনে বিমান যুদ্ধ দেখছে এবং মিত্রবাহিনীর বিমানের সফলতায় হাততালি দিচ্ছে। পাকিস্তানি সেনারা তখন এতটাই ভীত যে তারা সাধারণ মানুষের চোখের দিকে তাকাতেও ভয় পাচ্ছে।

ময়মনসিংহ ও জামালপুর মুক্ত হওয়ার পর ১১ ডিসেম্বর যৌথ বাহিনীর কনভয়গুলো দ্রুতগতিতে ঢাকার দিকে অগ্রসর হতে থাকে। রাস্তায় হাজার হাজার মানুষ ব্যারিকেড সরিয়ে দিচ্ছে, যাতে মুক্তিযোদ্ধাদের গাড়িগুলো দ্রুত যেতে পারে।

মেজর জেনারেল মইনুল হোসেন চৌধুরী তার বইয়ে উল্লেখ করেছেন, “আমরা ভেবেছিলাম রাস্তায় পাকিস্তানিরা মাইন পুঁতে রাখবে। কিন্তু স্থানীয় গ্রামবাসীরা আগেই সেগুলো খুঁজে বের করে আমাদের দেখিয়ে দিয়েছে।” এটি ছিল জনযুদ্ধের এক অনন্য নজির। পাকিস্তানিরা যেখানেই পালিয়েছে, সেখানেই তারা দেখেছে সাধারণ মানুষ তাদের শত্রু। খাদ্য নেই, আশ্রয় নেই, এমনকি পানি খাওয়ার সুযোগ নেই, এমন অবস্থায় পাকিস্তানি বাহিনীর ‘মোরাল’ শূন্যের কোঠায় নেমে আসে।

তথ্যসূত্র

  • মূলধারা ’৭১ – মঈদুল হাসান
  • একাত্তরের দিনগুলি – জাহানারা ইমাম
  • উইটনেস টু সারেন্ডার (Witness to Surrender) – ব্রিগেডিয়ার সিদ্দিক সালিক
  • দ্য লাইটনিং ক্যাম্পেইন (The Lightning Campaign) – মেজর জেনারেল ডি.কে. পালিত
  • মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশ – মেজর জেনারেল কে এম শফিউল্লাহ বীর উত্তম
  • এক জেনারেলের নীরব সাক্ষ্য – মেজর জেনারেল মইনুল হোসেন চৌধুরী বীর বিক্রম
  • লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে – মেজর রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম
  • সারেন্ডার অ্যাট ঢাকা (Surrender at Dacca) – লেফট্যানেন্ট জেনারেল জে এফ আর জ্যাকব
  • বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ: দলিলপত্র (ত্রয়োদশ খণ্ড)
  • একাত্তরের রণাঙ্গন – শামসুল হুদা চৌধুরী
  • চরমপত্র – এম আর আখতার মুকুল
  • বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ – এশিয়াটিক সোসাইটি অব বাংলাদেশ
  • মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের অবমুক্ত দলিল (Declassified Documents)
ad
ad

সাত-পাঁচ থেকে আরও পড়ুন

মেঘনা পাড়ে মৃত্যুফাঁদ— রাও ফরমান আলীর পালানোর আকুতি

তবে এ দিনের সবচেয়ে বড় ‘নাটক’ মঞ্চস্থ হয়েছিল যুদ্ধের ময়দানে নয়, বরং ঢাকার শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কক্ষে এবং নিউইয়র্কের জাতিসংঘের সদর দপ্তরে। খোদ পাকিস্তানি জেনারেল রাও ফরমান আলী রাওয়ালপিন্ডির অনুমতি ছাড়াই যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব পাঠিয়ে প্রমাণ করে দিয়েছিলেন যে, ‘খেলা শেষ’।

৪ দিন আগে

‘বাঘ’ এখন বিড়াল: ৭ ডিসেম্বরেই কান্নায় ভেঙে পড়েন জেনারেল নিয়াজি!

ঢাকায় তখন এক ভিন্ন দৃশ্য। যে জেনারেল নিয়াজি দম্ভভরে বলতেন ‘বাংলার মানুষ আমাকে বাঘের মতো ভয় পায়’, সেই নিয়াজি এ দিনেই গভর্নর হাউজে বসে প্রথমবারের মতো কান্নায় ভেঙে পড়েন। ৭ ডিসেম্বর কেবল ভূখণ্ড জয়ের দিন ছিল না, এটি ছিল পাকিস্তানি বাহিনীর অহংকারের কফিনে শেষ পেরেক ঠুকে দেওয়ার দিন।

৫ দিন আগে

‘মানচিত্রে নতুন দেশ’— চূর্ণ দখলদার বাহিনীর মেরুদণ্ড

এদিন বিশ্ব মানচিত্রে প্রথমবারের মতো একটি নতুন রাষ্ট্রের নাম খোদাই করা হলো, ‘বাংলাদেশ’। একদিকে আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে পাকিস্তানের মিথ্যাচারের ফানুস ফুটো হয়ে গেল, অন্যদিকে রণাঙ্গনে ভেঙে পড়ল তাদের অহংকারের প্রতীক ‘যশোর ক্যান্টনমেন্ট’।

৬ দিন আগে

খালেদা জিয়ার জন্য আসছে জার্মান এয়ার অ্যাম্বুলেন্স, কী আছে তাতে

খালেদা জিয়ার জন্য কাতার আমিরের একটি বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ঢাকায় পাঠানোর কথা থাকলেও কারিগরি ত্রুটির কারণে শেষ মুহূর্তে তা সম্ভব হয়নি। এর বদলে কাতারই জার্মানির একটি প্রাইভেট এয়ার অ্যাম্বুলেন্স পাঠাচ্ছে।

৭ দিন আগে