‘অপারেশন বানিয়ান-উন-মারসুস’ নামে পালটা জবাব পাকিস্তানের

ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুরে’র পালটা জবাব হিসেবে এবার পাকিস্তান ‘অপারেশন বানিয়ান-উন-মারসুস’ নামে ভারতের পালটা সামরিক হামলা শুরু করেছে। ‘বানিয়ান-উন-মারসুস’ আরবি শব্দগুচ্ছ, যার অর্থ ‘দৃঢ় ভিত্তি’ বা ‘দৃঢ় কাঠামো’।
পাকিস্তানের রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিভিশন ও বেতার এবং সেনাবাহিনীর জনসংযোগ বিভাগ দাবি করেছে, পাকিস্তানের তিনটি বিমানঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা করেছে ভারত। এর জবাবে ভারতের পাঠানকোট, উধমপুরসহ বিভিন্ন সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালিয়েছে পাকিস্তান।
পাকিস্তানের গণমাধ্যম দ্য ডন জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার (৯ মে) দিবাগত মধ্যরাত পেরিয়ে শুক্রবার (১০ মে) ভোরের দিকে অপারেশন ‘বানিয়ান-উন-মারসুসে’র ঘোষণা আসে রেডিও পাকিস্তানে।
পাকিস্তানের নিরাপত্তা সংস্থা সূত্র জানিয়েছে, ভারতের পাঞ্জাব প্রদেশের অমৃতসরের বিয়াস অঞ্চলে হামলা চালিয়েছে পাকিস্তানি বাহিনী। আরও বিভিন্ন অঞ্চলেও হামলা চালানো হচ্ছে।
এদিকে ভারসশাসিত কাশ্মিরের রাজধানী শ্রীনগর থেকে বিবিসির সংবাদদাতা জানিয়েছেন, ভোর পৌনে ৬টার দিকে সেখানে কয়েকটি বড় ধরনের বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া গেছে। শহর জুড়ে পুরোপুরি ব্ল্যাকআউট চলছে।
গুলিস্তাঁ-এ-জওহার এলাকার এক বাসিন্দা জুবেইর আশরাফ জানিয়েছেন, ভোরে বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পান তিনি। আকাশে আলোর ঝলকানিও দেখতে পেয়েছেন। বিস্ফোরণের পরেই সাধারণ মানুষের মধ্যে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে, সবাই তাদের বাড়ির আলো নিভিয়ে দেন।
এর আগে ভারত ও পাকিস্তান দুই দেশই দাবি করে, শুক্রবার দিবাগত রাতে দুই দেশই প্রতিপক্ষের ওপর হামলা চালায়। তবে এসব হামলায় হতাহতের সুনির্দিষ্ট তথ্য কোনো দেশের পক্ষ থেকেই জানানো হয়নি।
বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, উত্তর ও পশ্চিম ভারতের ৩২টি বিমানবন্দর থেকে বেসামরিক বিমান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। পাকিস্তানের করাচির ফায়সাল হাইওয়েতে একাধিক বিস্ফোরণের আওয়াজ পাওয়া গেছে।
ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, শুক্রবার মধ্যরাতে উত্তরের বারামুল্লা থেকে গুজরাটের ভুজ পর্যন্ত ২৬টি জায়গায় ড্রোন দেখা গিয়েছে।