ইউক্রেনের ড্রোন হামলায় রাশিয়ার তেল শোধনাগারে আগুন

ডেস্ক, রাজনীতি ডটকম
ছবি: সংগৃহীত

রাশিয়ার বাশকোরতোস্তান প্রদেশের রাজধানী উফার একটি বিশাল তেল শোধনাগারে ইউক্রেনীয় বাহিনী ড্রোন হামলা চালিয়েছে। হামলায় শোধনাগারের একটি অংশে আগুন ধরে গেলেও, এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) এই হামলার ঘটনা ঘটে বলে বার্তা সংস্থা এএফপি নিশ্চিত করেছে।

রাশিয়ার-ইউক্রেন সীমান্ত থেকে উফা শহরের দূরত্ব প্রায় ১ হাজার ৪০০ কিলোমিটার। যে তেল শোধনাগারে হামলা চালানো হয়েছে, সেটির মালিক রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় তেল কোম্পানি বাশনফ্ট। বাশকোরতোস্তান প্রাদেশিক সরকারের প্রধান রাদিয়ে খাবিরভ টেলিগ্রামে হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেছেন, 'আজ বাশনফ্টের তেল শোধনাগারে সন্ত্রাসী ড্রোন হামলা হয়েছে। শোধনাগারটি লক্ষ্য করে দুটি ড্রোন ছোড়া হয়েছিল। একটিকে ভূপাতিত করা সম্ভব হয়েছে, অন্যটি শোধনাগারে আঘাত হেনেছে।'

টেলিগ্রাম পোস্টে খাবিরভ আরও বলেন, সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, একটি বিমান আকৃতির ড্রোন শোধনাগারের একটি অংশে আছড়ে পড়ে এবং এরপর বিস্ফোরণ ঘটে। এ সময় ওই অংশে আগুন ধরে গিয়েছিল, তবে তা দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। হামলায় কেউ নিহত বা আহত হননি। শোধনাগারটির কিছু ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তবে তা খুব বেশি গুরুতর নয়।

২০২২ সালে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে ইউক্রেনের সেনাবাহিনী রাশিয়ার জ্বালানি সম্পদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট স্থাপনাগুলোতে নিয়মিত হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। ২০১৬ সালে রাশিয়ার প্রেসিডেন্টর দপ্তর ক্রেমলিন বাশনফ্টের এই শোধনাগারটিকে দেশের অন্যতম বৃহত্তম তেল পরিশোধন কারখানা হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছিল। এই শোধনাগারটিতে ১৫০ ধরনেরও বেশি তেলজাতীয় পণ্য উৎপাদিত হয়।

ad
ad

বিশ্ব রাজনীতি থেকে আরও পড়ুন

ইসরায়েলকে আন্তর্জাতিক খেলাধুলা থেকে নিষিদ্ধের দাবি স্পেনের

সামরিক খাতেও ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করছে স্পেন। দেশটির সরকার প্রায় এক বিলিয়ন ইউরোর অস্ত্রচুক্তি বাতিল করেছে। এর মধ্যে এলবিট সিস্টেমসের সঙ্গে একটি ৭০০ মিলিয়ন ইউরোর রকেট লঞ্চার চুক্তিও রয়েছে।

১৭ ঘণ্টা আগে

গাজায় ইসরায়েলের বর্বরতা : শিশুসহ নিহত আরও ৫১ ফিলিস্তিনি

২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ইসরায়েলের হামলায় অন্তত ৬৪ হাজার ৯০৫ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, আহত হয়েছেন আরও ১ লাখ ৬৪ হাজার ৯২৬ জন। ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনও অগণিত মরদেহ চাপা পড়ে আছে।

১৮ ঘণ্টা আগে

ভারতে ওয়াকফ সংশোধনী আইনের কয়েকটি ধারা স্থগিত

আইনটি স্থগিত করার জন্য প্রায় এক শ মামলা দায়ের হয়েছিল। সব মামলা ভারতের প্রধান বিচারপতি বিআর গাভাই ও বিচারপতি এজি মাসিহর একটি বেঞ্চেই শুনানি হয়।

১ দিন আগে

বিক্ষোভে উত্তাল তুরস্ক, এরদোয়ানের পদত্যাগ দাবি

২ দিন আগে