ডেস্ক, রাজনীতি ডটকম
আজ শুক্রবার (১৫ আগস্ট) যুক্তরাষ্ট্রের আলাস্কার অ্যাঙ্কোরেজে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেন যুদ্ধ নিরসনে এক ঐতিহাসিক বৈঠকে বসছেন। ছয় বছর পর দুই নেতার এই সরাসরি বৈঠককে ঘিরে আন্তর্জাতিক মহলে ব্যাপক কৌতূহল ও প্রশ্ন দেখা দিয়েছে—এই আলোচনা কি ইউক্রেন সংকটের শান্তিপূর্ণ সমাধানে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে?
ট্রাম্প এই বৈঠককে তার অন্যতম নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি, অর্থাৎ ইউক্রেন যুদ্ধের অবসান ঘটানোর একটি সুযোগ হিসেবে দেখছেন। তিনি নিজেকে একজন বৈশ্বিক শান্তি মধ্যস্থতাকারী হিসেবে তুলে ধরতে আগ্রহী এবং পুতিনের সঙ্গে তার ব্যক্তিগত সম্পর্ককে কাজে লাগিয়ে যুদ্ধবিরতিতে অগ্রগতি আনতে আশাবাদী। তবে বৈঠকের আগের দিন ট্রাম্প নিজেই স্বীকার করেছেন যে আলোচনার সফল হওয়ার সম্ভাবনা মাত্র "২৫ শতাংশ"।
ফক্স নিউজ রেডিওকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেন, পুতিনের সঙ্গে এই বৈঠক ইউক্রেনের সঙ্গে দ্বিতীয় দফা আলোচনার দ্বার খুলতে পারে। সেখানে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির উপস্থিতিরও ইঙ্গিত দেন তিনি।
ইউক্রেন ও রুশ ভূখণ্ডের সীমানা প্রসঙ্গে ট্রাম্প বলেন, কিয়েভ ও মস্কোর মধ্যে “লেনদেন” প্রয়োজন হতে পারে। তবে জেলেনস্কিকে এ বৈঠকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। ইউক্রেনীয় নেতা স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, তার অনুপস্থিতিতে যেকোনো সিদ্ধান্ত অর্থহীন হবে।
আলাস্কার অ্যাঙ্কোরেজে বৈঠক ঘিরে বড় কোনো আনুষ্ঠানিক প্রস্তুতির চিত্র দেখা যাচ্ছে না। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের প্রতিনিধিরা সেখানে পর্যটন মৌসুমে আগত ভ্রমণকারীদের সঙ্গে হোটেল ও কফিশপে মিশে যাচ্ছেন। নিরাপত্তা কারণ ও সময়সীমার কারণে আলোচনা হবে কাছাকাছি এক মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে এবং কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই শেষ হবে।
এই সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হচ্ছে ট্রাম্পের দেওয়া রাশিয়ার প্রতি এক সপ্তাহের যুদ্ধবিরতির সময়সীমা শেষ হওয়ার ঠিক আগে। সময়সীমা পেরোলেই কঠোর নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপের হুমকি রয়েছে। তবে ২০২২ সালের পূর্ণমাত্রার আগ্রাসনের পর থেকে রক্তক্ষয়ী সংঘাতে জড়িয়ে থাকা দুই দেশের মধ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠার সম্ভাবনা এখনো ক্ষীণ।
রাশিয়ার সঙ্গে ব্যবসায় যুক্ত দেশগুলোর ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করলে চীনের সঙ্গে বাণিজ্যযুদ্ধ শুরু হতে পারে—এ নিয়ে সন্দেহ ছিল। তবে ভারত রুশ তেল কিনতে থাকায় তাদের ওপর দ্বিতীয় দফা শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছেন ট্রাম্প। বৈঠকের ঘোষণায় কার্যত নিষেধাজ্ঞা স্থগিত থাকায় দুই পক্ষই কৌশল ঠিক করার বাড়তি সময় পাচ্ছে।
সপ্তাহজুড়ে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান বদলেছে—কখনো আশাবাদী, কখনো সতর্ক, আবার কখনো কঠোর সুরে। ইউরোপীয় নেতাদের সঙ্গে ফোনালাপের পর বুধবার ট্রাম্প বলেন, যুদ্ধ বন্ধে পুতিন রাজি না হলে “খুব কঠোর পরিণতি” ভোগ করতে হবে।
তবে ট্রাম্পের ‘অঞ্চল বিনিময়’ প্রসঙ্গ এবং হোয়াইট হাউসের ‘(পুতিনের কথা) শোনার বৈঠক’ মন্তব্য কিয়েভকে উদ্বিগ্ন করেছে। রাশিয়া যদিও চুপ থেকেছে, তাদের অবস্থান স্পষ্ট—যুদ্ধ থামবে তখনই, যখন দোনেৎস্ক, লুহানস্ক (ডনবাস), খেরসন ও জাপোরিঝঝিয়া সম্পূর্ণ তাদের নিয়ন্ত্রণে যাবে এবং কিয়েভ অস্ত্রশূন্য হয়ে ন্যাটোতে যোগ না দেওয়ার অঙ্গীকার করবে।
ট্রাম্প বিশ্বাস করেন, পুতিনের সঙ্গে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক সমাধানের পথ খুলে দিতে পারে এবং তাকে আরও শক্তিশালী শান্তি মধ্যস্থতাকারী হিসেবে প্রতিষ্ঠা করবে। তার সমর্থকরা চান, তিনি দ্রুত যুদ্ধ শেষ করে ব্যয়বহুল বৈদেশিক সংঘাত থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে সরিয়ে আনুন।
আলোচনার আগে ট্রাম্প জানিয়েছেন, তার ব্যবসায়িক অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে প্রথম দুই মিনিটেই বুঝে যাবেন চুক্তির সম্ভাবনা আছে কি না। ইউরোপীয় দেশগুলো আলোচনার বাইরে থাকলেও বুধবারের আলাপের পর কিছুটা আশাবাদী হয়েছে যে ট্রাম্প তাদের স্বার্থ রক্ষা করবেন।
তবে ইউক্রেন আলোচনায় সরাসরি অংশ নিচ্ছে না। ট্রাম্পের ‘অঞ্চল বিনিময়’ মন্তব্যের পর জেলেনস্কি জোর দিয়ে বলেন, “আমরা ডনবাস ছাড়ব না। এই অঞ্চল অবৈধভাবে দখল করা হয়েছে এবং এটি রাশিয়ার জন্য ভবিষ্যতের আক্রমণের দরজা খুলে দেবে।”
তিনি সতর্ক করেছেন, কোনো ছাড় দিলে রাশিয়া আবার আক্রমণ চালাবে। ট্রাম্প যদিও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, বৈঠকের পরপরই জেলেনস্কিকে আপডেট দেবেন এবং ত্রিপক্ষীয় বৈঠকের সম্ভাবনার ইঙ্গিত দিয়েছেন। কিন্তু পুতিন তাতে সাড়া দেবেন কি না, তা অনিশ্চিত।
রাজনৈতিক বিশ্লেষক তাতিয়ানা স্তানোভায়া মনে করেন, পুতিনের প্রধান লক্ষ্য ইউক্রেনের ‘ভূরাজনৈতিক নিরপেক্ষতা’ নিশ্চিত করা, এবং তিনি তা অর্জনে অনড়। সব মিলিয়ে আলাস্কার এই বৈঠক দুই নেতাকে এক টেবিলে আনবে ঠিকই, কিন্তু প্রকৃত সমঝোতায় পৌঁছানো যে সহজ হবে না, তা স্পষ্ট।
আজ শুক্রবার (১৫ আগস্ট) যুক্তরাষ্ট্রের আলাস্কার অ্যাঙ্কোরেজে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেন যুদ্ধ নিরসনে এক ঐতিহাসিক বৈঠকে বসছেন। ছয় বছর পর দুই নেতার এই সরাসরি বৈঠককে ঘিরে আন্তর্জাতিক মহলে ব্যাপক কৌতূহল ও প্রশ্ন দেখা দিয়েছে—এই আলোচনা কি ইউক্রেন সংকটের শান্তিপূর্ণ সমাধানে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে?
ট্রাম্প এই বৈঠককে তার অন্যতম নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি, অর্থাৎ ইউক্রেন যুদ্ধের অবসান ঘটানোর একটি সুযোগ হিসেবে দেখছেন। তিনি নিজেকে একজন বৈশ্বিক শান্তি মধ্যস্থতাকারী হিসেবে তুলে ধরতে আগ্রহী এবং পুতিনের সঙ্গে তার ব্যক্তিগত সম্পর্ককে কাজে লাগিয়ে যুদ্ধবিরতিতে অগ্রগতি আনতে আশাবাদী। তবে বৈঠকের আগের দিন ট্রাম্প নিজেই স্বীকার করেছেন যে আলোচনার সফল হওয়ার সম্ভাবনা মাত্র "২৫ শতাংশ"।
ফক্স নিউজ রেডিওকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেন, পুতিনের সঙ্গে এই বৈঠক ইউক্রেনের সঙ্গে দ্বিতীয় দফা আলোচনার দ্বার খুলতে পারে। সেখানে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির উপস্থিতিরও ইঙ্গিত দেন তিনি।
ইউক্রেন ও রুশ ভূখণ্ডের সীমানা প্রসঙ্গে ট্রাম্প বলেন, কিয়েভ ও মস্কোর মধ্যে “লেনদেন” প্রয়োজন হতে পারে। তবে জেলেনস্কিকে এ বৈঠকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। ইউক্রেনীয় নেতা স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, তার অনুপস্থিতিতে যেকোনো সিদ্ধান্ত অর্থহীন হবে।
আলাস্কার অ্যাঙ্কোরেজে বৈঠক ঘিরে বড় কোনো আনুষ্ঠানিক প্রস্তুতির চিত্র দেখা যাচ্ছে না। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের প্রতিনিধিরা সেখানে পর্যটন মৌসুমে আগত ভ্রমণকারীদের সঙ্গে হোটেল ও কফিশপে মিশে যাচ্ছেন। নিরাপত্তা কারণ ও সময়সীমার কারণে আলোচনা হবে কাছাকাছি এক মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে এবং কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই শেষ হবে।
এই সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হচ্ছে ট্রাম্পের দেওয়া রাশিয়ার প্রতি এক সপ্তাহের যুদ্ধবিরতির সময়সীমা শেষ হওয়ার ঠিক আগে। সময়সীমা পেরোলেই কঠোর নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপের হুমকি রয়েছে। তবে ২০২২ সালের পূর্ণমাত্রার আগ্রাসনের পর থেকে রক্তক্ষয়ী সংঘাতে জড়িয়ে থাকা দুই দেশের মধ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠার সম্ভাবনা এখনো ক্ষীণ।
রাশিয়ার সঙ্গে ব্যবসায় যুক্ত দেশগুলোর ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করলে চীনের সঙ্গে বাণিজ্যযুদ্ধ শুরু হতে পারে—এ নিয়ে সন্দেহ ছিল। তবে ভারত রুশ তেল কিনতে থাকায় তাদের ওপর দ্বিতীয় দফা শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছেন ট্রাম্প। বৈঠকের ঘোষণায় কার্যত নিষেধাজ্ঞা স্থগিত থাকায় দুই পক্ষই কৌশল ঠিক করার বাড়তি সময় পাচ্ছে।
সপ্তাহজুড়ে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান বদলেছে—কখনো আশাবাদী, কখনো সতর্ক, আবার কখনো কঠোর সুরে। ইউরোপীয় নেতাদের সঙ্গে ফোনালাপের পর বুধবার ট্রাম্প বলেন, যুদ্ধ বন্ধে পুতিন রাজি না হলে “খুব কঠোর পরিণতি” ভোগ করতে হবে।
তবে ট্রাম্পের ‘অঞ্চল বিনিময়’ প্রসঙ্গ এবং হোয়াইট হাউসের ‘(পুতিনের কথা) শোনার বৈঠক’ মন্তব্য কিয়েভকে উদ্বিগ্ন করেছে। রাশিয়া যদিও চুপ থেকেছে, তাদের অবস্থান স্পষ্ট—যুদ্ধ থামবে তখনই, যখন দোনেৎস্ক, লুহানস্ক (ডনবাস), খেরসন ও জাপোরিঝঝিয়া সম্পূর্ণ তাদের নিয়ন্ত্রণে যাবে এবং কিয়েভ অস্ত্রশূন্য হয়ে ন্যাটোতে যোগ না দেওয়ার অঙ্গীকার করবে।
ট্রাম্প বিশ্বাস করেন, পুতিনের সঙ্গে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক সমাধানের পথ খুলে দিতে পারে এবং তাকে আরও শক্তিশালী শান্তি মধ্যস্থতাকারী হিসেবে প্রতিষ্ঠা করবে। তার সমর্থকরা চান, তিনি দ্রুত যুদ্ধ শেষ করে ব্যয়বহুল বৈদেশিক সংঘাত থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে সরিয়ে আনুন।
আলোচনার আগে ট্রাম্প জানিয়েছেন, তার ব্যবসায়িক অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে প্রথম দুই মিনিটেই বুঝে যাবেন চুক্তির সম্ভাবনা আছে কি না। ইউরোপীয় দেশগুলো আলোচনার বাইরে থাকলেও বুধবারের আলাপের পর কিছুটা আশাবাদী হয়েছে যে ট্রাম্প তাদের স্বার্থ রক্ষা করবেন।
তবে ইউক্রেন আলোচনায় সরাসরি অংশ নিচ্ছে না। ট্রাম্পের ‘অঞ্চল বিনিময়’ মন্তব্যের পর জেলেনস্কি জোর দিয়ে বলেন, “আমরা ডনবাস ছাড়ব না। এই অঞ্চল অবৈধভাবে দখল করা হয়েছে এবং এটি রাশিয়ার জন্য ভবিষ্যতের আক্রমণের দরজা খুলে দেবে।”
তিনি সতর্ক করেছেন, কোনো ছাড় দিলে রাশিয়া আবার আক্রমণ চালাবে। ট্রাম্প যদিও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, বৈঠকের পরপরই জেলেনস্কিকে আপডেট দেবেন এবং ত্রিপক্ষীয় বৈঠকের সম্ভাবনার ইঙ্গিত দিয়েছেন। কিন্তু পুতিন তাতে সাড়া দেবেন কি না, তা অনিশ্চিত।
রাজনৈতিক বিশ্লেষক তাতিয়ানা স্তানোভায়া মনে করেন, পুতিনের প্রধান লক্ষ্য ইউক্রেনের ‘ভূরাজনৈতিক নিরপেক্ষতা’ নিশ্চিত করা, এবং তিনি তা অর্জনে অনড়। সব মিলিয়ে আলাস্কার এই বৈঠক দুই নেতাকে এক টেবিলে আনবে ঠিকই, কিন্তু প্রকৃত সমঝোতায় পৌঁছানো যে সহজ হবে না, তা স্পষ্ট।
সামরিক খাতেও ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করছে স্পেন। দেশটির সরকার প্রায় এক বিলিয়ন ইউরোর অস্ত্রচুক্তি বাতিল করেছে। এর মধ্যে এলবিট সিস্টেমসের সঙ্গে একটি ৭০০ মিলিয়ন ইউরোর রকেট লঞ্চার চুক্তিও রয়েছে।
১৯ ঘণ্টা আগে২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ইসরায়েলের হামলায় অন্তত ৬৪ হাজার ৯০৫ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, আহত হয়েছেন আরও ১ লাখ ৬৪ হাজার ৯২৬ জন। ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনও অগণিত মরদেহ চাপা পড়ে আছে।
২০ ঘণ্টা আগেআইনটি স্থগিত করার জন্য প্রায় এক শ মামলা দায়ের হয়েছিল। সব মামলা ভারতের প্রধান বিচারপতি বিআর গাভাই ও বিচারপতি এজি মাসিহর একটি বেঞ্চেই শুনানি হয়।
২ দিন আগে