‘যে যাই বলুক, নির্বাচন জুনের পরে যাবে না’

প্রতিবেদক, রাজনীতি ডটকম
আপডেট : ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ১৮: ৪৬
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠকের পর আইন উপদেষ্টা যমুনার সামনে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। ছবি: প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়

চলতি বছরের ডিসেম্বর মাস থেকে শুরু করে আগামী বছরের জুন মাসের মধ্যেই ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজন করা হবে বলে জানিয়েছেন আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল।

তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, আগামী ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে যত দ্রুতসম্ভব নির্বাচন আয়োজন করা হবে। যে যাই বলুক জুনের পরে নির্বাচন যাবে না।

বুধবার (১৬ এপ্রিল) দুপুরে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বিএনপির প্রতিনিধি দলের বৈঠকের পর রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনার বাইরে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

আইন উপদেষ্টা বলেন, সংস্কারের ব্যাপারে বিএনপি অত্যন্ত আন্তরিক। বিএনপি নেতাদের সঙ্গে খোলামেলা পরিবেশে কথা হয়েছে। তারা তাদের বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরেছেন। সরকারের পক্ষ থেকেও তাদের সম্ভাব্য সব বিষয়ে আশ্বস্ত করা হয়েছে।

এর আগে দুপুর ১২টায় প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বিএনপির শীর্ষ নেতাদের বৈঠক শুরু হয়। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বৈঠক শেষে যমুনা থেকে বেরিয়ে দুপুর ২টার দিকে যমুনার সামনে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচন নিয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো ডেডলাইন দেননি। তিনি বলেছেন, আগামী ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে নির্বাচন শেষ করতে চান। তবে এ নিয়ে আমরা একেবারেই সন্তুষ্ট নই।

নির্বাচন নিয়ে আইন উপদেষ্টা ব্রিফিংয়ে বলেন, প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে নির্বাচনের কথা। তার অর্থ এই নয় যে নির্বাচন পিছিয়ে মে-জুন মাসে নিয়ে যাওয়া হবে। ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে যত দ্রুতসম্ভব নির্বাচন আয়োজন করা হবে।

এই সময় সংস্কার প্রক্রিয়ার ওপর নির্ভর করছে জানিয়ে আসিফ নজরুল বলেন, দলগুলো জুলাই চার্টার নিয়ে একমত পোষণ করেছে। কিন্তু জুলাই চার্টারেও যেসব সংস্কার থাকবে, সেগুলো বাস্তবায়ন করতে কত সময় লাগবে, সেটি তো আমরা জানি না। বৈঠকেও বিএনপি নেতাদের উদাহরণ দিয়ে বলা হয়েছে, এর মধ্যে একটি অধ্যাদেশ জারির আগে ২৩ বার খসড়া করতে হয়েছে।

‘এ রকম কোনো সংস্কার প্রয়োজন হলে তার জন্য দীর্ঘ সময় লাগবে। তবে আমরা এটুকু বলতে পারি, ক্ষমতা দীর্ঘায়িত করার জন্য কিংবা অন্য কোনো কারণে নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার মতো চিন্তাভাবনা সরকারের কারও মধ্যে নেই,’— বলেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল।

ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের মেয়াদে বিএনপি নেতাদের নামে হয়রানিমূলক মামলার বিষয়টিও বৈঠকে বিএনপি নেতারা তুলে ধরেছেন বলে জানান উপদেষ্টা। বলেন, এসব বিষয়েও প্রক্রিয়াগুলো বিএনপি নেতাদের জানানো হয়েছে।

ad
ad

রাজনীতি থেকে আরও পড়ুন

নির্বাচনে 'তারেক ইমেজ' ব্যবহার করতে চায় বিএনপি

নেতা-কর্মীরা মনে করছেন, বিএনপির এই শীর্ষ নেতার প্রত্যাবর্তন এবং সরাসরি নেতৃত্ব আগামী নির্বাচনের মাঠে বিএনপিকে জয়ের দিকে এগিয়ে দেবে। শেষ মুহূর্তে তাঁকে ঘিরে একটা মোমেন্টাম তৈরি হবে। ফলে তারেক রহমানের ভাবমূর্তি নির্বাচনে ব্যবহার করতে চায় বিএনপি।

৬ ঘণ্টা আগে

মৃত্যুদণ্ডের মুখোমুখি শেখ হাসিনা: দ্য টেলিগ্রাফ

তার বিরুদ্ধে বিক্ষোভকারীদের ওপর 'প্রাণঘাতী অস্ত্র' ব্যবহারের নির্দেশ দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে, যেখানে প্রায় ১,৪০০ জন নিহত হন।

৭ ঘণ্টা আগে

এনসিপি'র বর্জনে প্রশ্নবিদ্ধ ‘জুলাই সনদ’ নাকি ‘নতুন সূচনা’?

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস জুলাই সনদ স্বাক্ষরকে 'নতুন বাংলাদেশের সূচনা' বলে উল্লেখ করেছেন এবং বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এটিকে রাজনৈতিক দলগুলোর দায়িত্বশীল ভূমিকার 'নিদর্শন' বলছেন।

৭ ঘণ্টা আগে

সংখ্যালঘু বলতে কোনো শব্দ নেই, সবাই বাংলাদেশি নাগরিক : মঈন খান

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ থেকে ফ্যাসিবাদ দূর হওয়ার পর এখন মানুষ একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে হারানো গণতন্ত্র ফিরে পাওয়ার স্বপ্ন দেখছে। যেই গণতন্ত্রের জন্য মুক্তিযুদ্ধে লাখ লাখ মানুষ প্রাণ দিয়েছিল। আগামীতে ক্ষমতায় গেলে দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনাসহ জনগণের মৌলিক অধিকার ও সুশাসন নিশ্চিত করবে বিএনপি।’

২০ ঘণ্টা আগে