স্বাধীনতা দিবস ও ঈদের আগাম শুভেচ্ছা প্রধান উপদেষ্টার

মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের প্রাক্কালে মুক্তিযুদ্ধের বীর শহিদ ও চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানের শহিদদের শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। একই সঙ্গে তিনি ঈদুল ফিতরেরও আগাম শুভেচ্ছা জানিয়েছেন সবাইকে।
মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা সবাইকে এ শুভেচ্ছা জানান। বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বিটিভি ওয়ার্ল্ডে ভাষণটি সরাসরি সম্প্রচার হচ্ছে।
ভাষণের শুরুতেই একাত্তরের ২৫ মার্চ কালরাতের ভয়াবহতার কথা স্মরণ করেন মুহাম্মদ ইউনূস। বলেন, আজ ২৫ মার্চ, মানব সভ্যতার ইতিহাসে কলঙ্কিত এক হত্যাযজ্ঞের দিন। ১৯৭১ সালের আজকের রাতে পাক হানাদার বাহিনী নিরপরাধ, নিরস্ত্র, ঘুমন্ত বাঙালির ওপর নির্মমভাবে গুলি চালিয়ে হাজারও মানুষকে হত্যা করেছে। ২৫ মার্চ থেকেই এ দেশের মানুষ সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিল। ৯ মাসের যুদ্ধের মধ্য দিয়ে স্বাধীন হয় বাংলাদেশ।
স্বাধীনতা দিবসে মুক্তিযুদ্ধের শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে প্রধান উপতেষ্টা বলেন, মহান স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে আমি গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর শহিদদের, যাদের প্রাণের বিনিময়ে আমরা স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ পেয়েছি। ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে লাখ লাখ শহিদ ও দুই লাখ নির্যাতনের শিকার নারীর আত্মত্যাগ পৃথিবীর মানচিত্রে বাংলাদেশ নামে একটি স্বাধীন ভূখণ্ডের জন্ম দিয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের এই বীরদের প্রতি আমার সালাম।
চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানে হতাহতদের স্মরণ করে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, চব্বিশের জুলাই অভ্যুত্থানে নিহত হাজারও শহিদ ও আহত, যারা বৈষম্য, শোষণ, নির্যাতন ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে বুক চিতিয়ে দাঁড়িয়েছিল, তাদের প্রতি সমগ্র জাতির পক্ষ থেকে আমি সশ্রদ্ধ সালাম জানাচ্ছি। জুলাই গণঅভ্যুত্থান আমাদের যে বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন পূরণের সুযোগ এনে দিয়েছে, সে সুযোগ আমরা কাজে লাগাতে চাই।
রমজান ও ঈদুল ফিতর প্রসঙ্গে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, পবিত্র মাহে রমজানের সিয়াম সাধনা উপলক্ষে আপনাদের সবাইকে আমার আন্তরিক মোবারকবাদ জানাচ্ছি। সেইসঙ্গে সবাইকে জানাই পবিত্র ঈদুল ফিতরের অগ্রিম শুভেচ্ছা। ঈদ মোবারক। এবারের ঈদ স্মরণীয়ভাবে আনন্দদায়ক হোক এই কামনা করছি।