ডেস্ক, রাজনীতি ডটকম
বাংলাদেশে জাতিসংঘ মানবাধিকার হাইকমিশনের (এইচআরসি) কার্যালয় খোলার উদ্যোগে গভীর উদ্বেগ ও শঙ্কা জানিয়েছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ। সরকারকে হুঁশিয়ারি দিয়ে সংগঠনটির আমির শাহ মুহিবুল্লাহ বাবুনগরী বলেছেন, বাংলাদেশে জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশনের কার্যালয় খুলতে দেওয়া হবে না।
হেফাজতে ইসলামের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলা হয়েছে।
শনিবার (৫ জুলাই) বিকেলে ঢাকায় জামিয়া মাদানিয়া বারিধারা মিলনায়তনে হেফাজতে ইসলামের ঢাকা মহানগর শাখা আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে আমির বক্তব্য রাখেন।
গত ২৯ জুন উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে ঢাকায় তিন বছরের জন্য জাতিসংঘের মানবাধিকার হাইকমিশনের (এইচআরসি) একটি মিশন অফিস চালু করার প্রস্তাবে নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়। এ সংক্রান্ত একটি খসড়া সমঝোতা স্মারকেও (এমওইউ) অনুমোদন দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।
হেফাজতের আমির বলেন, বাংলাদেশ একটি মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ, যার সামাজিক, পারিবারিক ও ধর্মীয় কাঠামো ইসলামী মূল্যবোধের ওপর প্রতিষ্ঠিত। এই দেশের সংস্কৃতি, পরিবারব্যবস্থা, নৈতিক রীতিনীতিকে অক্ষুণ্ণ রাখা আমাদের ধর্মীয় ও নাগরিক দায়িত্ব।
তিনি আরও বলেন, সম্প্রতি জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের পক্ষ থেকে বাংলাদেশে কার্যালয় স্থাপনের যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, তা নিয়ে গভীর উদ্বেগ ও আশঙ্কা প্রকাশ করছি।
শাহ মুহিবুল্লাহ বাবুনগরী বলেন, অতীতে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা মানবাধিকারের নামে ইসলামি শরিয়াহ, পারিবারিক আইন ও ধর্মীয় মূল্যবোধে হস্তক্ষেপের অপচেষ্টা করেছে। এসব হস্তক্ষেপ একদিকে যেমন জাতীয় সার্বভৌমত্বের ওপর আঘাত, অন্যদিকে মুসলিম সমাজের ধর্মীয় অনুভূতিরও পরিপন্থি। তাই বাংলাদেশে জাতিসংঘ মানবাধিকার কার্যালয় খুলতে দেওয়া হবে না।
শাপলা চত্বরের ঘটনা, চব্বিশের ফ্যাসিবাদ ও আধিপত্যবাদবিরোধী গণঅভ্যুত্থানে শহিদদের রুহের মাগফিরাত ও আহতদের সুস্থতা কামনায় দেশব্যাপী দোয়া-মাহফিল ও আলোচনা সভার অংশ হিসেবে এই কর্মসূচি পালন করা হয়। হেফাজত আমির এতে প্রধান অতিথি ছিলেন।
একই অনুষ্ঠানে হেফাজতের মহাসচিব সাজিদুর রহমান বলেন, মানবাধিকারের নামে যদি ধর্মীয়, পারিবারিক ও সামাজিক কাঠামোতে বিদেশি সংস্কৃতির চাপানো নিয়ম চালু করার চেষ্টা করা হয়, তবে ইমানদার জনতা তা কখনো মেনে নেবে না।
সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে হেফাজত মহাসচিব বলেন, জাতীয় স্বার্থ, সাংস্কৃতিক নিরাপত্তা ও ধর্মীয় মূল্যবোধকে রক্ষার স্বার্থে জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয় স্থাপন এবং বিদেশি দূত নিযুক্তির চুক্তি বাতিল করুন।
ঢাকায় জাতিসংঘের মানবাধিকার হাইকমিশনের কার্যালয় ঠেকাতে রাস্তায় নামার হুঁশিয়ারি দেন যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হক। তিনি বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের উদ্দেশ্য ছিল একটি ফ্যাসিবাদমুক্ত, বৈষম্যহীন ও স্বাধীন বাংলাদেশ গঠন, যেখানে কোনো বিদেশি আধিপত্য থাকবে না, থাকবে না রাজনৈতিক নিপীড়ন। এই শহিদদের স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য যারা দায়িত্বে রয়েছেন, তাদের উচিত ঐতিহাসিক দায়িত্ব পালন করা। ব্যর্থ হলে ইতিহাস ও জনতার কাঠগড়ায় তাদের জবাবদিহি করতে হবে।
হেফাজতের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব জুনাইদ আল হাবিবের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য রাখেন সংগঠনের নায়েবে আমির আবদুল হামিদ, মাহফুজুল হক, মহিউদ্দিন রাব্বানী, আহমদ আলী কাসেমী, খুরশিদ আলম কাসেমী, আজিজুল হক ইসলামাবাদী, মনির হোসাইন কাসেমী, খালেদ সাইফুল্লাহ আইয়ুবী, সাখাওয়াত হোসাইন রাজী, আতাউল্লাহ আমিন ও আজহারুল ইসলামসহ অন্যরা।
বাংলাদেশে জাতিসংঘ মানবাধিকার হাইকমিশনের (এইচআরসি) কার্যালয় খোলার উদ্যোগে গভীর উদ্বেগ ও শঙ্কা জানিয়েছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ। সরকারকে হুঁশিয়ারি দিয়ে সংগঠনটির আমির শাহ মুহিবুল্লাহ বাবুনগরী বলেছেন, বাংলাদেশে জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশনের কার্যালয় খুলতে দেওয়া হবে না।
হেফাজতে ইসলামের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলা হয়েছে।
শনিবার (৫ জুলাই) বিকেলে ঢাকায় জামিয়া মাদানিয়া বারিধারা মিলনায়তনে হেফাজতে ইসলামের ঢাকা মহানগর শাখা আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে আমির বক্তব্য রাখেন।
গত ২৯ জুন উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে ঢাকায় তিন বছরের জন্য জাতিসংঘের মানবাধিকার হাইকমিশনের (এইচআরসি) একটি মিশন অফিস চালু করার প্রস্তাবে নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়। এ সংক্রান্ত একটি খসড়া সমঝোতা স্মারকেও (এমওইউ) অনুমোদন দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।
হেফাজতের আমির বলেন, বাংলাদেশ একটি মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ, যার সামাজিক, পারিবারিক ও ধর্মীয় কাঠামো ইসলামী মূল্যবোধের ওপর প্রতিষ্ঠিত। এই দেশের সংস্কৃতি, পরিবারব্যবস্থা, নৈতিক রীতিনীতিকে অক্ষুণ্ণ রাখা আমাদের ধর্মীয় ও নাগরিক দায়িত্ব।
তিনি আরও বলেন, সম্প্রতি জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের পক্ষ থেকে বাংলাদেশে কার্যালয় স্থাপনের যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, তা নিয়ে গভীর উদ্বেগ ও আশঙ্কা প্রকাশ করছি।
শাহ মুহিবুল্লাহ বাবুনগরী বলেন, অতীতে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা মানবাধিকারের নামে ইসলামি শরিয়াহ, পারিবারিক আইন ও ধর্মীয় মূল্যবোধে হস্তক্ষেপের অপচেষ্টা করেছে। এসব হস্তক্ষেপ একদিকে যেমন জাতীয় সার্বভৌমত্বের ওপর আঘাত, অন্যদিকে মুসলিম সমাজের ধর্মীয় অনুভূতিরও পরিপন্থি। তাই বাংলাদেশে জাতিসংঘ মানবাধিকার কার্যালয় খুলতে দেওয়া হবে না।
শাপলা চত্বরের ঘটনা, চব্বিশের ফ্যাসিবাদ ও আধিপত্যবাদবিরোধী গণঅভ্যুত্থানে শহিদদের রুহের মাগফিরাত ও আহতদের সুস্থতা কামনায় দেশব্যাপী দোয়া-মাহফিল ও আলোচনা সভার অংশ হিসেবে এই কর্মসূচি পালন করা হয়। হেফাজত আমির এতে প্রধান অতিথি ছিলেন।
একই অনুষ্ঠানে হেফাজতের মহাসচিব সাজিদুর রহমান বলেন, মানবাধিকারের নামে যদি ধর্মীয়, পারিবারিক ও সামাজিক কাঠামোতে বিদেশি সংস্কৃতির চাপানো নিয়ম চালু করার চেষ্টা করা হয়, তবে ইমানদার জনতা তা কখনো মেনে নেবে না।
সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে হেফাজত মহাসচিব বলেন, জাতীয় স্বার্থ, সাংস্কৃতিক নিরাপত্তা ও ধর্মীয় মূল্যবোধকে রক্ষার স্বার্থে জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয় স্থাপন এবং বিদেশি দূত নিযুক্তির চুক্তি বাতিল করুন।
ঢাকায় জাতিসংঘের মানবাধিকার হাইকমিশনের কার্যালয় ঠেকাতে রাস্তায় নামার হুঁশিয়ারি দেন যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হক। তিনি বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের উদ্দেশ্য ছিল একটি ফ্যাসিবাদমুক্ত, বৈষম্যহীন ও স্বাধীন বাংলাদেশ গঠন, যেখানে কোনো বিদেশি আধিপত্য থাকবে না, থাকবে না রাজনৈতিক নিপীড়ন। এই শহিদদের স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য যারা দায়িত্বে রয়েছেন, তাদের উচিত ঐতিহাসিক দায়িত্ব পালন করা। ব্যর্থ হলে ইতিহাস ও জনতার কাঠগড়ায় তাদের জবাবদিহি করতে হবে।
হেফাজতের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব জুনাইদ আল হাবিবের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য রাখেন সংগঠনের নায়েবে আমির আবদুল হামিদ, মাহফুজুল হক, মহিউদ্দিন রাব্বানী, আহমদ আলী কাসেমী, খুরশিদ আলম কাসেমী, আজিজুল হক ইসলামাবাদী, মনির হোসাইন কাসেমী, খালেদ সাইফুল্লাহ আইয়ুবী, সাখাওয়াত হোসাইন রাজী, আতাউল্লাহ আমিন ও আজহারুল ইসলামসহ অন্যরা।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ থেকে ফ্যাসিবাদ দূর হওয়ার পর এখন মানুষ একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে হারানো গণতন্ত্র ফিরে পাওয়ার স্বপ্ন দেখছে। যেই গণতন্ত্রের জন্য মুক্তিযুদ্ধে লাখ লাখ মানুষ প্রাণ দিয়েছিল। আগামীতে ক্ষমতায় গেলে দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনাসহ জনগণের মৌলিক অধিকার ও সুশাসন নিশ্চিত করবে বিএনপি।’
১ দিন আগেতিনি বলেন, আগামী ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হবে। জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দেশকে অশান্ত করার পায়তারা চালাচ্ছে ভারত ও ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা। কলকাতায় এখন আওয়ামী লীগের পার্টি অফিস হয়েছে। দিল্লিতে বসে হাসিনা ওই অফিস নিয়ন্ত্রণ করছে। দেশকে ঘিরে যত রকমের ষড়যন্ত্র হচ্ছে সবই ভারত থেকে পরিচালিত হচ্ছে।
১ দিন আগেতিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ ৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে এত কথা বলে কিন্তু তাদের ২৪-এর গণহত্যা নিয়ে কোনও অনুশোচনা নেই। আয়নাঘর, লুটপাট যারা করেছে, প্রতিহিংসা যারা করেছে, দিনের ভোট রাতে যারা করেছে, তাদের কোনও অনুশোচনা আছে? তাদের বিচার করতে হবে। আওয়ামী লীগকে নিঃশর্তভাবে জনগণের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে, তাদের ক্
১ দিন আগে