প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে বিএনপির প্রতিনিধি দল\n
তিনি আরও বলেন, আমাদের জন্য কাট-অফ টাইম ডিসেম্বর। এর মধ্যে নির্বাচন না হলে দেশের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক যে পরিস্থিতি বর্তমানে বিরাজ করছে, তা আরও খারাপের দিকে যাবে। তখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হবে পড়বে।
নির্বাচনের মাধ্যমেই সব সমস্যার সমাধান সম্ভব— এমনটি উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ সম্পর্কে জানতে চেয়েছি। বর্তমানে যে রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও দেশের যে অবস্থা, আমরা বিশ্বাস করি, একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন মাধ্যমেই সব সমস্যার সমাধান করতে হবে।
প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচন নিয়ে সুনির্দিষ্ট ডেডলাইন না দেওয়ায় বিএনপি এখন কী করবে— এমন প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আমরা এখন এ বিষয়গুলো নিয়ে নিজেদের মধ্যে আলাপ-আলোচনা করব। তারপর সিদ্ধান্ত নেব। আমরা আমাদের পরবর্তী কর্মসূচি নির্ধারণ করে আবার আপনাদের সামনে ফিরে আসবে। তখন আপনাদের জানাব।
বিভিন্ন খাতের সংস্কার নিয়ে বিএনপির অবস্থান তুলে ধরে দলটির মহাসচিব বলেন, আমরা সংস্কার কমিশনগুলোকে সম্পূর্ণ সহযোগিতা করছি। আমরা জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের কাছে আমাদের মতামত দিয়েছি। তাদের সঙ্গে আমাদের বৈঠকও আছে।
তিনি আরও বলেন, আমরা স্পষ্ট করে বলেছি— যেসব সংস্কার প্রস্তাবে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্য হবে সেগুলো নিয়ে চার্টার করতে আমরা রাজি আছি। সেই চার্টারের ওপর ভিত্তি করে আমরা নির্বাচনের দিকে যেতে পারি। বাকি সংস্কার প্রস্তাবের যেগুলোতে আমরা একমত হব, রাজনৈতিক দলগুলো যখন নির্বাচিত হয়ে আসবে, তারা সেগুলো বাস্তবায়ন করার ব্যবস্থা নেবে।
এর আগে বুধবার দুপুর ১২টায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকতে যমুনায় প্রবেশ করে বিএনপির প্রতিনিধি দল। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলে ছিলেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সালাহউদ্দিন আহমেদ ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু।