রাখাইনের জন্য শর্তসাপেক্ষে মানবিক করিডোর দিতে রাজি সরকার: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

প্রতিবেদক, রাজনীতি ডটকম
আপডেট : ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ১৯: ০১

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে মানবিক সহায়তা পৌঁছে দিতে শর্তসাপেক্ষে ‘মানবিক করিডোর’ দিতে সরকার রাজি বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।

রোববার (২৭ এপ্রিল) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন তিনি। ‘মানবিক করিডোর’ হলে সেটি জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে হবে বলে জানান তিনি।

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘জাতিসংঘের প্রস্তাব অনুযায়ী, রাখাইনে মানবিক করিডোর দেওয়ার বিষয়ে বাংলাদেশ নীতিগতভাবে সম্মত। এটি একটি মানবিক প্যাসেজ হবে। কিন্তু আমাদের কিছু শর্ত আছে। আমি এত বিস্তারিততে যাচ্ছি না। যদি শর্তাবলি পালিত হয়, তবে অবশ্যই আমরা সহায়তা করব।’

মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ সংঘাত বাংলাদেশের স্বার্থের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট জানিয়ে তৌহিদ হোসেন বলেন, ‘মিয়ানমারের একটি বিরাট জনগোষ্ঠী আমাদের দেশে আশ্রয় নিয়ে আছে। আমরা তাদের ফেরত পাঠাতে চাই। ফেরত পাঠানোর ক্ষেত্রে আমাদের যা কিছু করার প্রয়োজন, সেটি আমাদের করতে হবে।’

বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত প্রসঙ্গে উপদেষ্টা বলেন, ‘এই সীমান্ত এখন একটি নন-স্টেট অ্যাক্টরের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। সেখানে মিয়ানমারের কেন্দ্রীয় সরকারের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। কাজেই আমাদের নিজেদের স্বার্থে কোনো না কোনো ধরনের যোগাযোগ, অর্থাৎ নন-স্টেট অ্যাক্টরের সঙ্গে আমরা আনুষ্ঠানিক যোগাযোগ করতে পারি না। কিন্তু আমরা চাইলেও বিচ্ছিন্ন থাকতে পারব না।’

মিয়ানমারের রাখাইনে দীর্ঘ দিন ধরেই সংঘাত চলছে দেশটির সরকারি বাহিনী ও বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে। গত কয়েক মাসে রাখাইন রাজ্যসহ সীমান্তবর্তী এলাকার দখল নিয়েছে আরাকান আর্মি। এ অবস্থায় রাখাইন রাজ্যের বাসিন্দারা মানবিক সহায়তার অভাবে সংকটময় সময় পার করছেন। সেখানে মিয়ানমার সরকারও কোনো ধরনের সহায়তা পাঠাতে পারছে না।

এ পরিস্থিতির কথা বিবেচনায় নিয়েই গত মার্চে বাংলাদেশ সফরে এসে জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস রাখাইন রাজ্যে ত্রাণ সরবরাহের জন্য একটি ‘মানবিক করিডোরে’র স্থাপনের প্রসঙ্গটি উত্থাপন করেছিলেন। বলা হচ্ছে, এ রকম একটি করিডোর চালু করা হলে তার মাধ্যমে রাখাইনে ত্রাণ সহায়তা পাঠানো যাবে।

এদিকে সাম্প্রতিক সময়ে রাখাইন থেকে ফের রোহিঙ্গাদের ঢল নেমেছে বাংলাদেশে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রাখাইনে ত্রাণ বা মানবিক সহায়তা সরবরাহ করা না গেলে সেখানকার আরও অনেক বাসিন্দা জীবন বাঁচাতে বাংলাদেশে ঢুকে পড়তে পারেন। মানবিক বিবেচনায় বাংলাদেশের পক্ষে তাদের সীমান্ত থেকে ফিরিয়ে দেওয়াও হয়তো সম্ভব হবে না।

অন্যদিকে এ ধরনের মানবিক করিডোরের নানা অপব্যবহারের নজিরের প্রসঙ্গ টানছেন অনেকে। তারা বলছেন, মানবি সহায়তা পাঠানোর জন্য এ ধরনের করিডোর স্থাপন করা হলেও পরবর্তী সময়ে সেটি সশস্ত্র গোষ্ঠীদের নিয়ন্ত্রণে চলে যাওয়া বা অবাধ চলাচলের কাজে ব্যবহৃত হওয়ার নজির রয়েছে। রয়েছে অস্ত্র-মাদক চোরাচালানের রুট হিসেবে ব্যবহারের নজিরও। বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে আরাকান আর্মি ব্যাপকভাবে সক্রিয় থাকায় এই করিডোর তাদের তৎপরতার কাজেই সহায়ক হবে কি না, সে প্রশ্ন তুলছেন অনেকে।

ad
ad

রাজনীতি থেকে আরও পড়ুন

ট্রাভেল পাসের জন্য আবেদন তারেক রহমানের

বিএনপি সূত্র জানিয়েছে, যুক্তরাজ্য বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন ইউরোপের সমন্বয়ক কামাল উদ্দিনের মাধ্যমে তারেক রহমান এ আবেদন পাঠিয়েছেন।

২ ঘণ্টা আগে

তারেক রহমানের সঙ্গে ফিরছেন যারা

একটি বিশ্বস্ত সূত্র জানায়, এরই মধ্যে তিনি বিমানের বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিজি ২০২০ ফ্লাইটে টিকিট বুকিং করেছেন। ফ্লাইটটি ২৪ ডিসেম্বর সন্ধ্যা সোয়া ছয়টায় লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দর থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হওয়ার কথা রয়েছে। সব ঠিক থাকলে বোয়িং ৭৮৭-৯ মডেলের উড়োজাহাজটি ২৫ ডিসেম্বর বেলা ১১টা ৪৫ মিনিটে ঢাকা

২ ঘণ্টা আগে

তারেক রহমানকে অভ্যর্থনায় কমিটি, নেতৃত্বে সালাহ উদ্দিন-রিজভী

বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, অভ্যর্থনা কর্মসূচি নিয়ে বিস্তারিত তথ্য পরে জানানো হবে।

৪ ঘণ্টা আগে

মেয়েকে নিয়ে ২৫ ডিসেম্বর দেশে ফিরছেন তারেক রহমান

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান তার মেয়ে ব্যারিস্টার জাইমা রহমানকে নিয়ে আগামী ২৫ ডিসেম্বর দেশে ফিরবেন। সেদিন বেলা ১১টার পর তাদের বহনকারী ফ্লাইট ঢাকায় অবতরণ করবে।

৫ ঘণ্টা আগে