top ad image
top ad image
home iconarrow iconঘরের রাজনীতি

একপেশে করিডোর বাংলাদেশের স্বার্থ রক্ষা করবে না: ওয়ার্কার্স পার্টি

একপেশে করিডোর বাংলাদেশের স্বার্থ রক্ষা করবে না: ওয়ার্কার্স পার্টি

বহুপাক্ষিক ছাড়া একপেশে করিডোর ভারসাম্যহীন হবে এবং বাংলাদেশের স্বার্থ রক্ষা করবে না বলে মনে করে ক্ষমতাসীন দলের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের শরিক বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি। দলটির দাবি, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে যোগাযোগ (কানেক্টিভিটি) গড়তে হবে।

শুক্র (২৮) ও শনিবার (২৯ জুন) বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সভায় নেতারা এমত প্রকাশ করেন। কেন্দ্রীয় কমিটির দু’দিনের সভায় সভাপতিত্ব করেন পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন এমপি।

আগামী ৫ অক্টোবর ঢাকায় বর্তমান অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে পার্টি ঘোষিত ৫ দফা দাবির ভিত্তিতে সমাবেশ ও মিছিল কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।

একই সঙ্গে জুলাই—আগস্ট ঘোষিত সাংগঠনিক মাসে জেলায় জেলায় পার্টি সদস্যদের সাধারণ সভা ও বিক্ষোভ মিছিল এবং আগামী ডিসেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহে ঢাকায় পার্টি কংগ্রেস অনুষ্ঠানের কর্মসূচী ঘোষণা করা হয়।

সভায় পার্টি কংগ্রেসের রাজনৈতিক সাংগঠনিক রিপোর্ট প্রণয়ণের জন্য চার সদস্যের একটি উপকমিটি গঠন করা হয়।

ওয়ার্কার্স পার্টি ঘোষিত পাঁচ দফা দাবি

১। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য জনগণের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রাখতে এযাবত গৃহীত ব্যবস্থার পাশাপাশি পূর্ণাঙ্গ রেশনিং ব্যবস্থা চালু করা,

২। রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা ব্যবহার করে দুর্নীতির মাধ্যমে অর্থ সম্পদ অর্জনকারীদের খুঁজে বের করে তাদের শাস্তি ও অর্থ সম্পদ বাজেয়াপ্ত করার জন্য ‘বিশেষ কমিশন’ গঠন করা,

৩। ব্যাংকিং খাতে নৈরাজ্য লুটপাট বন্ধ কর। সুশাসন ফিরিয়ে আনতে অবিলম্বে ‘ব্যাংক কমিশন’ গঠন কর,

৪। অর্থ পাচার রোধ কর, পাচারকৃত অর্থ ফিরিয়ে আনতে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ,

৫। ঋণ খেলাপির ক্ষেত্রে অসংগতিপূর্ণ ব্যবস্থাদি রোধ করে ঋণ খেলাপিদের চিহ্নিত করে অর্থ আদায় ও ইচ্ছাকৃত খেলাপিদের ‘বিশেষ ট্রাইব্যুনাল’ বিচারের ব্যবস্থা করা।

এর আগে পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা উত্থাপিত সাধারণ সম্পাদকের রাজনৈতিক রিপোর্টে দ্রব্যমূল্যের উর্ধগতি, মূল্যস্ফিতি নিয়ন্ত্রণ ব্যর্থতা, দুনীতি, অর্থপাচার, ব্যাংক খাতে লুট ও নৈরাজ্য ও সর্বোপরি খেলাপি ঋণের বিশাল পাহাড় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।

রিপোর্টে দুর্নীতি—দুবৃর্ত্তায়ন, লুটপাট, অর্থনৈতিক নৈরাজ্য, সাম্প্রদায়িকতা—মৌলবাদী আক্রমণ ও বাংলাদেশকে ঘিরে সাম্রাজ্যবাদী, বিশেষ করে মার্কিন সাম্রাজ্যবাদী ষড়যন্ত্রমূলক তৎপরতা সম্পর্কে পার্টির নিজস্ব ভিত্তিতে আন্দোলন—সংগ্রাম গড়ে তোলার প্রত্যয়ব্যক্ত করা হয়।

সভায় ভারতে প্রধানমন্ত্রীর সফরে তিস্তার পানি বন্টন চুক্তি সম্পর্কে অনুল্লেখ তিস্তা নদীর সংরক্ষণ ও ব্যবস্থাপনায় ভারতের সহযোগিতার বিষয় উল্লেখ করে বলা হয়, তিস্তার পানি বন্টন চুক্তি ছাড়া তিস্তার ব্যবস্থাপনা ও সংরক্ষণে সহযোগিত কার্য্যত: গাছের গোড়া কেটে ওপরে পানি ঢালার শামিল।

সভায় উল্লেখ করা হয় এই পদক্ষেপ তিস্তা সমস্যা সমাধানে আবশ্যক কালক্ষেপন ঘটাবে এবং তিস্তার মানুষকে এই সময়কালে বিশাল ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে।

সভায় হুশিয়ারী উচ্চারণ করে বলা হয়, তিস্তা নিয়ে বাংলাদেশ যেন ভূ—রাজনীতির দ্বৈরথের শিকার না হয়।

অবিলম্বে তিস্তা কর্তৃপক্ষ গঠন করে নিজস্ব অর্থায়নে তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের আহ্বান জানান হয় সভা থেকে।

আন্তর্জাতিক গঙ্গার পানি চুক্তি নবায়নে আব্যশিক ভাবে চুক্তিতে উল্লেখিত সংকোশ থেকে খাল কেটে গঙ্গার পানি প্রবাহ বৃদ্ধির ওপর জোর দেয়া হয় সভায়।

r1 ad
r1 ad