আ.লীগ পুনর্বাসনে বিচারে কালক্ষেপণ, ভারতীয় তৎপরতা— অভিযোগ হাসনাতের

প্রতিবেদক, রাজনীতি ডটকম
প্রকাশ: ০৮ মে ২০২৫, ২২: ৪২
আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের ‘ষড়যন্ত্র’ চলছে বলে অভিযোগ করেছেন এনসিপি নেতা হাসনাত আব্দুল্লাহ। এ ‘ষড়যন্ত্র’ প্রত্যাখ্যান করে তিনি আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। ফাইল ছবি

ছাত্র-জনতার প্রবল আন্দোলনের মুখে গত বছরের ৫ আগস্ট ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনে জন্য নানা কার্যক্রম চলছে বলে অভিযোগ করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ।

সরকার পতনের ওই আন্দোলনের অন্যতম নেতা হাসনাতের অভিযোগ, আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের জন্য সক্রিয় ভূমিকা রাখছে ভারতীয় হাইকমিশনসহ গোয়েন্দা সংস্থা। এর অংশ হিসেবেই জুলাই-আগস্ট আন্দোলনের সময় সংঘটিত হত্যা ও গণহত্যার বিচার কার্যক্রম বিলম্বিত করা হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (৮ মে) দুপুরে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে এসব অভিযোগ তোলেন হাসনাত। এর আগে আরেক স্ট্যাটাসেও তিনি বিচার ও সংস্কার প্রক্রিয়ায় সরকারের আন্তরিকতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।

হাসনাত আওয়ামী লীগ পুনর্বাসনে ভারতীয় সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ তুলে লিখেছেন, ‘শুধু এ মাসেই ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা ও হাইকমিশন বাংলাদেশের সরকারি-বেসরকারি ও সামরিক পর্যায়ে অন্তত ২৩টি মিটিং করেছে। লিখে রাখেন, আওয়ামী লীগকে পুনর্গঠনের সুযোগ করে দিতেই উদ্দেশ্যমূলকভাবে বিচারের নামে কালেক্ষপণ করা হচ্ছে।’

https://www.facebook.com/share/p/1Bxihfe69D/?mibextid=wwXIfr

অন্তর্বর্তী সরকার আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করবে না উল্লেখ করে হাসনাত লিখেছেন, ‘একপর্যায়ে গিয়ে বলা হবে, একসময়ের জনসমর্থিত রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ করা আমাদের কাজ নয়।’

আওয়ামী লীগের বিচার ও দলটিকে নিষিদ্ধ করতে নিজেদের অবস্থান তুলে ধরে এনসিপির এই নেতা বলেন, ‘যার এজেন্ডায় গণহত্যাকারী আওয়ামী লীগের বিচার নাই, যার এজেন্ডায় আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা নাই, তার সাথে আমরা নাই।’

হাসনাতের এই পোস্টের যথার্থতা নিশ্চিত হতে পারেনি রাজনীতি ডটকম। বিশেষ করে এ মাসেই ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা ও হাইকমিশনের বাংলাদেশের সরকারি-বেসরকারি ও সামরিক পর্যায়ে করা বৈঠকের তথ্য যাচাই করা সম্ভব হয়নি।

হাসনাতের পোস্টটি ব্যাপক মনোযোগ আকর্ষণ করেছে নেটিজেনদের। ৯ ঘণ্টায় এক লাখ ৬৬ হাজারের বেশি রিয়্যাকশন পড়েছে এই পোস্টে, মন্তব্য পড়েছে সাড়ে ১৮ হাজারের বেশি। পোস্টটি শেয়ার হয়েছে সাত হাজার আট শ বার।

এর আগে এ দিন সকালে ফেসবুকে দেওয়া আরেক পোস্টে হাসনাত বলেন, ‘খুনিকে দেশ থেকে নিরাপদে বেরিয়ে যাওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়, পুলিশ আসামি ধরলেও আদালত থেকে জামিন দেওয়া হয়। শিরীন শারমিনকে রাষ্ট্রীয় তত্ত্বাবধানে বাসায় গিয়ে পাসপোর্ট করে দেওয়া হয়। দ্বিতীয় ট্রাইব্যুনাল জানুয়ারিতে হওয়ার কথা থাকলেও মে মাসে এসেও শুরু হয়নি। আর আপনারা বলছেন আওয়ামী লীগের বিচার করবেন?’

‘তা ইন্টেরিম, এখন পর্যন্ত কী কী বিচার ও সংস্কার করেছেন?— প্রশ্ন রেখে পোস্ট শেষ করেন হাসনাত।

হাসনাতের এই পোস্টের বিষয়বস্তুর মধ্যে অবশ্য দ্বিতীয় ট্রাইব্যুনাল গঠনের প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে এ দিন বিকেলের দিকে। বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরীকে চেয়ারম্যান করে গঠন করা হয়েছে এ ট্রাইব্যুনাল। প্রথম ট্রাইব্যুনালটিকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ ও নতুন ট্রাইব্যুনালটিকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ নাম দেওয়া হয়েছে।

ad
ad

ঘরের রাজনীতি থেকে আরও পড়ুন

বিএনপিকে দোষারোপ ঐক্যের জন্য সহায়ক নয় : মির্জা ফখরুল

স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার পলায়নের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে বলে মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, বিএনপি পরিবর্তনে বিশ্বাস করে বলেই বহু আগেই রাষ্ট্র সংস্কারের ৩১ দফা ঘোষণা দিয়েছিল। সংস্কারের কথা তো বিএনপিই বলেছিল, অথচ এখন প্রোপাগান্ডা ছড়ানো হচ্ছে বিএনপি সংস্কার

৬ ঘণ্টা আগে

যেকোনো মূল্যে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে হবে : খালেদা জিয়া

প্রধান অতিথির বক্তব্যে বেগম জিয়া বলেন, দীর্ঘ ১৬ বছর ফ্যাসিস্টদের নির্যাতন, গ্রেপ্তার, অত্যাচার, খুন, গুমের মাধ্যমে গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে, এক দলীয় শাসনব্যবস্থা চিরস্থায়ী করতে চেয়েছিল আওয়ামী লীগ শাসকগোষ্ঠী। ছাত্র-জনতার সম্মিলিত অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে ফ্যাসিবাদের পতন ঘটেছে। সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে নতুন

৬ ঘণ্টা আগে

সারজিস-হাসনাতকে ১০০ বার কল দিলেও রিসিভ করেন না

অভিযোগ করে তিনি বলেন, 'এই উপদেষ্টা ও অন্তর্বর্তী সরকার আজ পর্যন্ত আমাদের খোঁজ নিতে পারে নাই। আমার ছেলের রক্তের বিনিময়ে ক্ষমতা পেলেও তারা একবারও আমাদের খোঁজ নিল না। এমনকি সারজিস-হাসনাতকে আমরা ১০০টা ফোন দিলেও তারা রিসিভ করে না।'

৯ ঘণ্টা আগে

জুলাই মাসেই ‘জুলাই সনদ’ প্রকাশ করার আহ্বান

রাশেদ প্রধান বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থান এবং ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার পতনের এক বছর পূর্ণ হতে চলেছে। তবুও আমরা এখনো ‘জুলাই সনদ’ প্রকাশ করতে পারছি না। এই ব্যর্থতার দায় কে নেবে? অন্তর্বর্তী সরকার বারবার জুলাই সনদ প্রকাশের নতুন নতুন সময় দিয়েও তা পূরণে ব্যর্থ হয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলো একমত হতে পারছে না। আমরা

১০ ঘণ্টা আগে