আ.লীগ পুনর্বাসনে বিচারে কালক্ষেপণ, ভারতীয় তৎপরতা— অভিযোগ হাসনাতের\n
আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার বিষয়ে কোনো তথ্য না জানালেও এ বিষয়ে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন আওয়ামী লীগের পতন ঘটানো জুলাই আন্দোলনের অন্যতম এই নেতা।
আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘গণহত্যাকারী আওয়ামী লীগ এবং তার সহযোগী সংগঠনগুলোকে নিষিদ্ধ ও রাজনৈতিকভাবে নিশ্চিহ্নকরণ নিশ্চিত করাই জুলাই গণঅভ্যুত্থানের অঙ্গীকার।’
৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকেই জুলাই আন্দোলনের সংশ্লিষ্টরা আওয়ামী লীগ এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলোকে নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়ে আসছে। সঙ্গে জুলাই আন্দোলনে গণহত্যার দায়ে আওয়ামী লীগকে সংগঠন হিসেবে বিচারের মুখোমুখি দাঁড় করানোর দাবিও রয়েছে। তবে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে গণহত্যার দায়ে কোনো দল বা সংগঠনকে বিচারের মুখোমুখি করার বিধান রাখা হয়নি।
আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণার দাবি শুরু থেকে জানিয়ে আসছে ছাত্রদের রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টিও (এনসিপি)। বৃহস্পতিবারই দলটির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ স্ট্যাটাস দিয়ে অভিযোগ করেছেন, বিচার কালক্ষেণের মাধ্যমে আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের সুযোগ করে দেওয়া হচ্ছে।
হাসনাত আরও অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন করতে ভারতও তৎপর। ভারতীয় হাইকমিশন ও ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা বাংলাদেশের সরকারি, বেসরকারি ও সামরিক পর্যায়ে কেবল এ মাসেই ২৩টি বৈঠক করেছে। হাসনাতের দেওয়া এ তথ্য অবশ্য রাজনীতি ডটকম স্বতন্ত্রভাবে যাচাই করতে পারেনি।