প্রতিবেদক, রাজনীতি ডটকম
স্বাধীনতার পতাকা নিয়ে কথা বলায় সাম্যকে হত্যা করা হয়েছে অভিযোগ করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, এই হত্যাকাণ্ডের রাজনৈতিক কারণ আছে।
বৃহস্পতিবার (১৫ মে) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে উত্তরবঙ্গ ছাত্র ফোরামের উদ্যোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শাহরিয়ার আলম সাম্যকে হত্যার বিচারের দাবিতে মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, ‘মঙ্গলবার রাতে ছাত্রদল নেতা সাম্যকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয়েছে। কি অন্যায় করেছিল সে? আমার তো মনে হয় এখানে রাজনৈতিক কারণ আছে। তিনজন ভবঘুরে সাম্যকে কেন হত্যা করবে? কয়েকদিন আগে সে ফেসবুকে শাহবাগে জাতীয় সংগীত বন্ধের জন্য একটা আন্দোলন চলছিল। তার বিরুদ্ধে এবং জাতীয় সংগীতের পক্ষে একটা পোস্ট করেছে। এটাই কি সেই কারণ।’
রিজভী বলেন, ‘আমরা দেখেছি ফ্যাসিবাদী আমলে পার্শ্ববর্তী দেশের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে কথা বলতে গিয়ে আবরারকে হত্যা করা হয়েছিল। আজকে জাতীয় সংগীত, জাতীয় পতাকা, ৭১ এবং স্বাধীনতার পক্ষে কথা বললে তার জীবন চলে যায়। অর্থাৎ দেশ ও স্বাধীনতার পক্ষে যারা, আগ্রাসনের বিরুদ্ধে যারা, জাতীয় সংগীতের পক্ষে যারা তাদের জীবন চলে যায়। এজন্যই বলছি, নিশ্চয়ই এর পেছনে কোনো রাজনৈতিক কারণ আছে।’
পুলিশের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘ভবঘুরেদেরকে গ্রেপ্তার করেছেন, মানুষ এসব বিষয় সহজভাবে নেয় না। সবসময় সত্য এবং ন্যায় অনুসন্ধান করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করুন। আজকে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে হাসিনা নেই, দোসররা নেই, রক্তপাত হওয়ার কথা নয়। কিন্তু তারপরও এই বিশ্ববিদ্যালয়ে হত্যাকাণ্ড হচ্ছে। জানুয়ারি মাসে তফাজ্জল নামে একজনকেও হত্যা করা হয়েছে। ক্যাম্পাসে থাকবে শান্তির পতাকা। সেখানে কেন রক্তপাত হবে। এটা তো হওয়ার কথা নয়।’
রিজভী আরও বলেন, ‘৫ আগস্টের পর পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে আমরা সবাই একটু স্বস্তিতে থাকতে চেয়েছি। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের শিক্ষক ছাত্ররা নির্বিঘ্নে ক্লাসে যাবে ও ক্লাস থেকে বের হবে। এখন কেন বিশ্ববিদ্যালয়ের এই অরাজক পরিস্থিতি, ক্যাম্পাসের মধ্যে চলছে তরুণ ছাত্রের লাশ পড়ছে, রক্ত ঝরছে। এখন তো আর আওয়ামী দোসররা নেই। তাহলে এখন কেন লাশ পড়বে? ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলরের উচিত ছিল প্রথমেই সাম্যর লাশ দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া। কিন্তু তিনি তা করেননি।’
অন্তর্বর্তী সরকারকে উদ্দেশে তিনি আরও বলেন, ‘আপনাদেরকে আমরা সমর্থন করেছি, এখনো করে যাচ্ছি। কিন্তু এনসিপি যখন যমুনার দিকে যায়, তখন তাদেরকে সাদরে বরণ কর হয়। আর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছেলেরা তাদের আবাসনের জন্য গেলো, তখন আপনারা তাদেরকে উপহার দিলেন লাঠিচার্জ, টিয়ারগ্যাস ও সাউন্ড গ্রেনেড। আপনারা তো সুশীল সমাজের লোক। কিন্তু আপনাদের আচরণের মধ্যে এই দ্বিচারিতা-বিভাজন কেন?’
বিএনপির মুখপাত্র বলেন, ‘পুরোদেশ অশান্তিতে ভরে উঠেছে। অনেক ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত চলছে। ফ্যাসিবাদের পতন হয়ে পালিয়ে গেছে, তাদেরকে মদদ দেওয়ার অনেক শক্তি রয়েছে এবং যারা দিচ্ছে। সুতরাং ডানে বামে সবদিকে তাকিয়ে যথাযথভাবে দেশ শাসন করুন। না হলে কেউ রক্ষা পাবেন না। কোনো বিশেষ রাজনৈতিক দল বা কোনো আদর্শকে প্রতিষ্ঠিত করতে গেলে আপনাদেরকে কিন্তু জনগণ ধরে ফেলবে।’
মানববন্ধনে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপি মিডিয়া সেলের সদস্য আতিকুর রহমান রুম্মন, ছাত্রদলের সহসভাপতি তৌহিদুর রহমান আওয়ালসহ উত্তরবঙ্গ ছাত্র ফোরামের বিভিন্ন পর্যায়ে নেতারা।’
স্বাধীনতার পতাকা নিয়ে কথা বলায় সাম্যকে হত্যা করা হয়েছে অভিযোগ করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, এই হত্যাকাণ্ডের রাজনৈতিক কারণ আছে।
বৃহস্পতিবার (১৫ মে) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে উত্তরবঙ্গ ছাত্র ফোরামের উদ্যোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শাহরিয়ার আলম সাম্যকে হত্যার বিচারের দাবিতে মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, ‘মঙ্গলবার রাতে ছাত্রদল নেতা সাম্যকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয়েছে। কি অন্যায় করেছিল সে? আমার তো মনে হয় এখানে রাজনৈতিক কারণ আছে। তিনজন ভবঘুরে সাম্যকে কেন হত্যা করবে? কয়েকদিন আগে সে ফেসবুকে শাহবাগে জাতীয় সংগীত বন্ধের জন্য একটা আন্দোলন চলছিল। তার বিরুদ্ধে এবং জাতীয় সংগীতের পক্ষে একটা পোস্ট করেছে। এটাই কি সেই কারণ।’
রিজভী বলেন, ‘আমরা দেখেছি ফ্যাসিবাদী আমলে পার্শ্ববর্তী দেশের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে কথা বলতে গিয়ে আবরারকে হত্যা করা হয়েছিল। আজকে জাতীয় সংগীত, জাতীয় পতাকা, ৭১ এবং স্বাধীনতার পক্ষে কথা বললে তার জীবন চলে যায়। অর্থাৎ দেশ ও স্বাধীনতার পক্ষে যারা, আগ্রাসনের বিরুদ্ধে যারা, জাতীয় সংগীতের পক্ষে যারা তাদের জীবন চলে যায়। এজন্যই বলছি, নিশ্চয়ই এর পেছনে কোনো রাজনৈতিক কারণ আছে।’
পুলিশের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘ভবঘুরেদেরকে গ্রেপ্তার করেছেন, মানুষ এসব বিষয় সহজভাবে নেয় না। সবসময় সত্য এবং ন্যায় অনুসন্ধান করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করুন। আজকে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে হাসিনা নেই, দোসররা নেই, রক্তপাত হওয়ার কথা নয়। কিন্তু তারপরও এই বিশ্ববিদ্যালয়ে হত্যাকাণ্ড হচ্ছে। জানুয়ারি মাসে তফাজ্জল নামে একজনকেও হত্যা করা হয়েছে। ক্যাম্পাসে থাকবে শান্তির পতাকা। সেখানে কেন রক্তপাত হবে। এটা তো হওয়ার কথা নয়।’
রিজভী আরও বলেন, ‘৫ আগস্টের পর পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে আমরা সবাই একটু স্বস্তিতে থাকতে চেয়েছি। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের শিক্ষক ছাত্ররা নির্বিঘ্নে ক্লাসে যাবে ও ক্লাস থেকে বের হবে। এখন কেন বিশ্ববিদ্যালয়ের এই অরাজক পরিস্থিতি, ক্যাম্পাসের মধ্যে চলছে তরুণ ছাত্রের লাশ পড়ছে, রক্ত ঝরছে। এখন তো আর আওয়ামী দোসররা নেই। তাহলে এখন কেন লাশ পড়বে? ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলরের উচিত ছিল প্রথমেই সাম্যর লাশ দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া। কিন্তু তিনি তা করেননি।’
অন্তর্বর্তী সরকারকে উদ্দেশে তিনি আরও বলেন, ‘আপনাদেরকে আমরা সমর্থন করেছি, এখনো করে যাচ্ছি। কিন্তু এনসিপি যখন যমুনার দিকে যায়, তখন তাদেরকে সাদরে বরণ কর হয়। আর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছেলেরা তাদের আবাসনের জন্য গেলো, তখন আপনারা তাদেরকে উপহার দিলেন লাঠিচার্জ, টিয়ারগ্যাস ও সাউন্ড গ্রেনেড। আপনারা তো সুশীল সমাজের লোক। কিন্তু আপনাদের আচরণের মধ্যে এই দ্বিচারিতা-বিভাজন কেন?’
বিএনপির মুখপাত্র বলেন, ‘পুরোদেশ অশান্তিতে ভরে উঠেছে। অনেক ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত চলছে। ফ্যাসিবাদের পতন হয়ে পালিয়ে গেছে, তাদেরকে মদদ দেওয়ার অনেক শক্তি রয়েছে এবং যারা দিচ্ছে। সুতরাং ডানে বামে সবদিকে তাকিয়ে যথাযথভাবে দেশ শাসন করুন। না হলে কেউ রক্ষা পাবেন না। কোনো বিশেষ রাজনৈতিক দল বা কোনো আদর্শকে প্রতিষ্ঠিত করতে গেলে আপনাদেরকে কিন্তু জনগণ ধরে ফেলবে।’
মানববন্ধনে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপি মিডিয়া সেলের সদস্য আতিকুর রহমান রুম্মন, ছাত্রদলের সহসভাপতি তৌহিদুর রহমান আওয়ালসহ উত্তরবঙ্গ ছাত্র ফোরামের বিভিন্ন পর্যায়ে নেতারা।’
অতীতের বাণিজ্যিক সম্পর্ক অটুট রাখার পাশাপাশি গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠানিক রূপ দিতে প্রতিটি প্রতিষ্ঠান যেন স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারে সে বিষয়েও ইইউ রাষ্ট্রদূতের সাথে বিএনপির আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আমীর খসরু।
১ দিন আগেবিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, জনগণের ভোটে আগামীতে বিএনপি ক্ষমতায় গেলে গত ১৭ বছরে শহিদ ও আহতদের পরিবারকে পুনর্বাসন ও সহায়তা দেওয়া হবে। তিনি জানান, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ইতোমধ্যেই শহিদ ও আহত পরিবারের জন্য নিজস্ব ফান্ড থেকে সহায়তার উদ্যোগ নিয়েছেন এবং সরকা
১ দিন আগেবিএনপির কূটনৈতিক উইংয়ের এক সদস্য জানান, বৈঠকে মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূতের কাছে সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচনী পরিবেশ নিশ্চিতের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন।
১ দিন আগেতিনি বলেন, ব্রিটিশ শোষণ থেকে শুরু করে পরবর্তী সময়ে পূর্ববঙ্গের রাজনৈতিক ইতিহাস–১৯০৫-এর ভঙ্গভঙ্গ, ১৯১১-এর বঙ্গভঙ্গ রদ এবং পরে লাহোর প্রস্তাব, সব মিলিয়েই ভাগাভাগি ও শোষণের ধারাকে প্রভাবিত করেছে।
২ দিন আগে