ডেস্ক, রাজনীতি ডটকম
বাংলাদেশের পণ্যের ওপর ৩৫ শতাংশ শুল্ক আরোপে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সিদ্ধান্ত নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের সঙ্গে আলোচনা শেষ হলেও কোনও সিদ্ধান্ত আসেনি। বেশ কিছু বিষয় অমীমাংসিত রয়েছে।
বাংলাদেশে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং শনিবার (১২ জুলাই) সকালে জানিয়েছে, দ্বিতীয় দফার বাণিজ্য আলোচনার তৃতীয় ও শেষ দিনে কিছু বিষয়ে দুই দেশ একমত হয়েছে। কয়েকটি বিষয় এখনও অমীমাংসিত রয়ে গেছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বাংলাদেশ, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়াসহ বিশ্বের ১৪টি দেশের ওপর নতুন করে শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেন, যা আগামী ১ আগস্ট থেকে কার্যকর হওয়ার কথা রয়েছে।
ট্রাম্প জানিয়েছিলেন, এটিই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নয়, এ নিয়ে আলোচনার সুযোগ রয়েছে। বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সেই আলোচনায় অংশ নিলেও ৩৫ শতাংশ শুল্কের বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনও সুফল আসেনি।
তবে দুই পক্ষই এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে যে, নিজেদের মধ্যে আন্তঃমন্ত্রণালয় আলোচনা চালু থাকবে। তারপর আবার দুই দেশের প্রতিনিধিরা আলোচনায় বসবেন। সেই আলোচনা ভার্চুয়ালি এবং সামনাসামনি দুই প্রক্রিয়াতেই হতে পারে। খুব দ্রুতই সেই সময়-তারিখ নির্ধারিত হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে বলে জানায় প্রেস উইং।
বাণিজ্য উপদেষ্টা, সচিব ও অতিরিক্ত সচিব আজ শনিবার (১২ জুলাই) দেশে ফিরবেন। প্রয়োজন হলে তারা আবার যাবেন। তিন দিনের আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশির উদ্দিন ও নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান আশাবাদী যে, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে একটি ইতিবাচক অবস্থানে পৌঁছানো যাবে।
বাংলাদেশ পক্ষের নেতৃত্ব দেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দিন। জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী জনাব ফয়েজ তৈয়ব ঢাকা থেকে ভার্চুয়ালি অংশগ্রহণ করেন। ভার্চুয়ালি আরও উপস্থিত ছিলেন সরকারি উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ও বিশেষজ্ঞরা।
তিনদিনের এই আলোচনার পুরো বিষয়টি সমন্বয় করেছে ওয়াশিংটন ডিসির বাংলাদেশ দূতাবাস।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন ব্যবসায়ী নেতা রাজনীতি ডটকম-কে জানান, গত বছর (২০২৪) মে মাসে বাংলাদেশ থেকে ১০ ডলারের একটি পণ্য যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে রপ্তানির জন্য শুল্ক দিতে হতো গড়ে ১ দশমিক ৬৭ ডলার। চলতি বছরের মে মাসে একই মূল্যের পণ্যে শুল্ক দিতে হয়েছে ২ দশমিক ১১ ডলার। আগামী ১ আগস্ট থেকে পাল্টা শুল্ক কার্যকর হলে তা আরও বাড়বে এবং এর ফলে দেশের অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। কারণ অতিরিক্ত ৩৫ শতাংশ শুল্ক দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ক্রেতাপ্রতিষ্ঠানগুলো পোশাক নিতে আগ্রহী হবে না।
গত ৭ জুলাই ট্রাম্প জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়াসহ যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান কিছু বাণিজ্যিক অংশীদারকে চিঠি পাঠিয়ে এপ্রিলে স্থগিত করা শুল্ক ফিরিয়ে আনার ঘোষণা দেন।
ট্রাম্পের ট্রুথ সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে পোস্ট করা চিঠি অনুযায়ী, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ, ইন্দোনেশিয়ার ওপর ৩২ শতাংশ, থাইল্যান্ডের ওপর ৩৬ শতাংশ এবং বাংলাদেশের পণ্যের ওপর ৩৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হবে।
এর আগে, গত ২ এপ্রিলকে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক ‘স্বাধীনতা দিবস’ ঘোষণা করে বিভিন্ন দেশের আমদানিপণ্যের ওপর শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেন ট্রাম্প। কিন্তু বিশ্ববাজারে অস্থিরতা দেখা দিলে ৯০ দিনের জন্য সেটি স্থগিত করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। সেই মেয়াদ ৯ জুলাই শেষ হওয়ার আগেই তিনি নতুন করে এই চিঠি পাঠালেন। বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা এই শুল্ক আরোপের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে আসছেন।
বাংলাদেশের পণ্যের ওপর ৩৫ শতাংশ শুল্ক আরোপে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সিদ্ধান্ত নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের সঙ্গে আলোচনা শেষ হলেও কোনও সিদ্ধান্ত আসেনি। বেশ কিছু বিষয় অমীমাংসিত রয়েছে।
বাংলাদেশে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং শনিবার (১২ জুলাই) সকালে জানিয়েছে, দ্বিতীয় দফার বাণিজ্য আলোচনার তৃতীয় ও শেষ দিনে কিছু বিষয়ে দুই দেশ একমত হয়েছে। কয়েকটি বিষয় এখনও অমীমাংসিত রয়ে গেছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বাংলাদেশ, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়াসহ বিশ্বের ১৪টি দেশের ওপর নতুন করে শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেন, যা আগামী ১ আগস্ট থেকে কার্যকর হওয়ার কথা রয়েছে।
ট্রাম্প জানিয়েছিলেন, এটিই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নয়, এ নিয়ে আলোচনার সুযোগ রয়েছে। বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সেই আলোচনায় অংশ নিলেও ৩৫ শতাংশ শুল্কের বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনও সুফল আসেনি।
তবে দুই পক্ষই এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে যে, নিজেদের মধ্যে আন্তঃমন্ত্রণালয় আলোচনা চালু থাকবে। তারপর আবার দুই দেশের প্রতিনিধিরা আলোচনায় বসবেন। সেই আলোচনা ভার্চুয়ালি এবং সামনাসামনি দুই প্রক্রিয়াতেই হতে পারে। খুব দ্রুতই সেই সময়-তারিখ নির্ধারিত হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে বলে জানায় প্রেস উইং।
বাণিজ্য উপদেষ্টা, সচিব ও অতিরিক্ত সচিব আজ শনিবার (১২ জুলাই) দেশে ফিরবেন। প্রয়োজন হলে তারা আবার যাবেন। তিন দিনের আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশির উদ্দিন ও নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান আশাবাদী যে, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে একটি ইতিবাচক অবস্থানে পৌঁছানো যাবে।
বাংলাদেশ পক্ষের নেতৃত্ব দেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দিন। জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী জনাব ফয়েজ তৈয়ব ঢাকা থেকে ভার্চুয়ালি অংশগ্রহণ করেন। ভার্চুয়ালি আরও উপস্থিত ছিলেন সরকারি উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ও বিশেষজ্ঞরা।
তিনদিনের এই আলোচনার পুরো বিষয়টি সমন্বয় করেছে ওয়াশিংটন ডিসির বাংলাদেশ দূতাবাস।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন ব্যবসায়ী নেতা রাজনীতি ডটকম-কে জানান, গত বছর (২০২৪) মে মাসে বাংলাদেশ থেকে ১০ ডলারের একটি পণ্য যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে রপ্তানির জন্য শুল্ক দিতে হতো গড়ে ১ দশমিক ৬৭ ডলার। চলতি বছরের মে মাসে একই মূল্যের পণ্যে শুল্ক দিতে হয়েছে ২ দশমিক ১১ ডলার। আগামী ১ আগস্ট থেকে পাল্টা শুল্ক কার্যকর হলে তা আরও বাড়বে এবং এর ফলে দেশের অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। কারণ অতিরিক্ত ৩৫ শতাংশ শুল্ক দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ক্রেতাপ্রতিষ্ঠানগুলো পোশাক নিতে আগ্রহী হবে না।
গত ৭ জুলাই ট্রাম্প জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়াসহ যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান কিছু বাণিজ্যিক অংশীদারকে চিঠি পাঠিয়ে এপ্রিলে স্থগিত করা শুল্ক ফিরিয়ে আনার ঘোষণা দেন।
ট্রাম্পের ট্রুথ সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে পোস্ট করা চিঠি অনুযায়ী, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ, ইন্দোনেশিয়ার ওপর ৩২ শতাংশ, থাইল্যান্ডের ওপর ৩৬ শতাংশ এবং বাংলাদেশের পণ্যের ওপর ৩৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হবে।
এর আগে, গত ২ এপ্রিলকে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক ‘স্বাধীনতা দিবস’ ঘোষণা করে বিভিন্ন দেশের আমদানিপণ্যের ওপর শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেন ট্রাম্প। কিন্তু বিশ্ববাজারে অস্থিরতা দেখা দিলে ৯০ দিনের জন্য সেটি স্থগিত করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। সেই মেয়াদ ৯ জুলাই শেষ হওয়ার আগেই তিনি নতুন করে এই চিঠি পাঠালেন। বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা এই শুল্ক আরোপের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে আসছেন।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানান, ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে পাঠানো প্রবাসী আয় দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে স্বস্তি ফিরিয়েছে। হুন্ডি প্রতিরোধে সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপ, প্রণোদনা ও ব্যাংকিং ব্যবস্থার উন্নতির কারণেই রেমিট্যান্সে এই ইতিবাচক ধারা অব্যাহত আছে।
৫ দিন আগেজাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) তিন পদের নিয়োগ পরীক্ষা এক সপ্তাহ পেছানো হয়েছে। উচ্চমান সহকারী, সাঁট মুদ্রাক্ষরিক কাম কম্পিউটার অপারেটর ও অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক পদের এ পরীক্ষা ৩ অক্টোবর নেওয়ার কথা ছিল। তা পিছিয়ে ১১ অক্টোবর পরীক্ষার নতুন তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে।
৫ দিন আগেবিনিয়োগকারীদের এ বিপুল বিনিয়োগ ফেরত পাওয়ার রাস্তা কী? জবাব কে দেবে? জবাব হলো— সাধারণ বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ দেখার দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান হলো বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও ডিবিএর দায়িত্ব হবে বিএসইসিকে বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষার কাজ সম্পন্ন
৬ দিন আগে