
রাজশাহী ব্যুরো

রাজশাহী ১২৩ জন ‘চাঁদাবাজের’ নাম সংবলিত একটি তালিকা ঘিরে স্থানীয় রাজনৈতিক অঙ্গনে তীব্র আলোচনা ও বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে। তালিকায় বিএনপি, আওয়ামী লীগ ও জামায়াতের নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের পাশাপাশি কিছু 'অরাজনৈতিক সুবিধাবাদীর' নামও রয়েছে বলে জানা গেছে। তবে এ তালিকার উৎস ও উদ্দেশ্য নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা।
তালিকাটি কারা তৈরি করেছে, তা এখনো নিশ্চিত নয়। এমনকি তালিকায় কোনো স্বাক্ষর বা সরকারি ছাপ না থাকায় সেটির প্রকৃত উৎস নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। রাজশাহী মহানগর পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত উপকমিশনার মো. গাজিউর রহমান বলেন, “তালিকাটি আমাদের নজরে এসেছে। কে বা কারা এটি তৈরি করেছে তা স্পষ্ট নয়। আমরা আমাদের গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে যাচাই-বাছাই করছি।”
তালিকায় বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের অন্তত ৪৪ জন নেতা-কর্মীর নাম রয়েছে। আওয়ামী লীগের নাম রয়েছে ২৫ জনের এবং জামায়াতের ৬ জন। বাকি নামগুলো ‘সুবিধাবাদী’ বা ‘রাজনৈতিকভাবে অনির্দিষ্ট’ বলে চিহ্নিত করা হয়েছে।
তালিকায় মহানগর বিএনপির একজন যুগ্ম আহ্বায়ক সম্পর্কে বলা হয়েছে, ৫ আগস্টের পর থেকে মামলার ভয়ভীতি দেখিয়ে চাঁদাবাজি করছেন তিনি। ছাত্রদলের এক নেতা সম্পর্কে বলা হয়েছে, ৫ আগস্টের পর থেকে আওয়ামী লীগের অনুসারীদের মামলার ভয়ভীতি ও বিভিন্ন কোচিং সেন্টার থেকে চাঁদাবাজি করেছেন তিনি। জামায়াতের একজন সম্পর্কে বলা হয়েছে, ভূমি দখল ও কেনাবেচা, বিভিন্ন গণমাধ্যম ব্যক্তিদের হুমকি-ধমকি ও বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে বাধা দিয়ে চাঁদা আদায় করেন তিনি। আগে আওয়ামী লীগ বর্তমানে বিএনপি করেন এমন একজনকে দেশীয় অস্ত্রধারী ক্যাডার, গভীর রাতে রাস্তায় চাঁদাবাজি ও বিভিন্ন নির্মাণাধীন ভবন থেকে চাঁদাবাজি করেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
তবে রাজনৈতিক দলগুলো এই তালিকাকে ‘ভুয়া’ ও ‘উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ বলে দাবি করছে।
রাজশাহী মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট এরশাদ আলী ঈশা বলেন, “এই তালিকা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। তালিকায় অনেক নিরীহ মানুষের নাম রয়েছে। বিএনপিকে হেয় করার জন্যই এভাবে গণহারে সবাইকে চাঁদাবাজ বানানো হয়েছে।”
বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা শফিকুল ইসলাম বলেন, “তালিকায় সত্যিকার কিছু অপরাধী থাকতেই পারে। তবে পুরোটা একপেশে মনে হচ্ছে। প্রশাসনের দুর্বলতা এখানেই—যেখানে যাচাই-বাছাই ছাড়া এমন তালিকা ঘুরছে।”
জামায়াতের প্রতিক্রিয়ায় মহানগর সেক্রেটারি এমাজ উদ্দিন মণ্ডল বলেন, “তালিকাটি আমি দেখিনি। তবে সংগঠনের নীতি অনুযায়ী, যাদের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ রয়েছে, তাদের বয়কটের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। জামায়াতে চাঁদাবাজির কোনো স্থান নেই।”
তবে এ তালিকা সরকার বা পুলিশের তৈরি কিনা—এ প্রশ্নের জবাবে কেউই নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারেননি। ফলে এটি কোনো রাজনৈতিক মহলের অভ্যন্তরীণ প্রচারণা, না কি প্রশাসনিক কার্যক্রম—তা নিয়ে নানা রকম জল্পনা চলছে।

রাজশাহী ১২৩ জন ‘চাঁদাবাজের’ নাম সংবলিত একটি তালিকা ঘিরে স্থানীয় রাজনৈতিক অঙ্গনে তীব্র আলোচনা ও বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে। তালিকায় বিএনপি, আওয়ামী লীগ ও জামায়াতের নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের পাশাপাশি কিছু 'অরাজনৈতিক সুবিধাবাদীর' নামও রয়েছে বলে জানা গেছে। তবে এ তালিকার উৎস ও উদ্দেশ্য নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা।
তালিকাটি কারা তৈরি করেছে, তা এখনো নিশ্চিত নয়। এমনকি তালিকায় কোনো স্বাক্ষর বা সরকারি ছাপ না থাকায় সেটির প্রকৃত উৎস নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। রাজশাহী মহানগর পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত উপকমিশনার মো. গাজিউর রহমান বলেন, “তালিকাটি আমাদের নজরে এসেছে। কে বা কারা এটি তৈরি করেছে তা স্পষ্ট নয়। আমরা আমাদের গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে যাচাই-বাছাই করছি।”
তালিকায় বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের অন্তত ৪৪ জন নেতা-কর্মীর নাম রয়েছে। আওয়ামী লীগের নাম রয়েছে ২৫ জনের এবং জামায়াতের ৬ জন। বাকি নামগুলো ‘সুবিধাবাদী’ বা ‘রাজনৈতিকভাবে অনির্দিষ্ট’ বলে চিহ্নিত করা হয়েছে।
তালিকায় মহানগর বিএনপির একজন যুগ্ম আহ্বায়ক সম্পর্কে বলা হয়েছে, ৫ আগস্টের পর থেকে মামলার ভয়ভীতি দেখিয়ে চাঁদাবাজি করছেন তিনি। ছাত্রদলের এক নেতা সম্পর্কে বলা হয়েছে, ৫ আগস্টের পর থেকে আওয়ামী লীগের অনুসারীদের মামলার ভয়ভীতি ও বিভিন্ন কোচিং সেন্টার থেকে চাঁদাবাজি করেছেন তিনি। জামায়াতের একজন সম্পর্কে বলা হয়েছে, ভূমি দখল ও কেনাবেচা, বিভিন্ন গণমাধ্যম ব্যক্তিদের হুমকি-ধমকি ও বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে বাধা দিয়ে চাঁদা আদায় করেন তিনি। আগে আওয়ামী লীগ বর্তমানে বিএনপি করেন এমন একজনকে দেশীয় অস্ত্রধারী ক্যাডার, গভীর রাতে রাস্তায় চাঁদাবাজি ও বিভিন্ন নির্মাণাধীন ভবন থেকে চাঁদাবাজি করেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
তবে রাজনৈতিক দলগুলো এই তালিকাকে ‘ভুয়া’ ও ‘উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ বলে দাবি করছে।
রাজশাহী মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট এরশাদ আলী ঈশা বলেন, “এই তালিকা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। তালিকায় অনেক নিরীহ মানুষের নাম রয়েছে। বিএনপিকে হেয় করার জন্যই এভাবে গণহারে সবাইকে চাঁদাবাজ বানানো হয়েছে।”
বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা শফিকুল ইসলাম বলেন, “তালিকায় সত্যিকার কিছু অপরাধী থাকতেই পারে। তবে পুরোটা একপেশে মনে হচ্ছে। প্রশাসনের দুর্বলতা এখানেই—যেখানে যাচাই-বাছাই ছাড়া এমন তালিকা ঘুরছে।”
জামায়াতের প্রতিক্রিয়ায় মহানগর সেক্রেটারি এমাজ উদ্দিন মণ্ডল বলেন, “তালিকাটি আমি দেখিনি। তবে সংগঠনের নীতি অনুযায়ী, যাদের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ রয়েছে, তাদের বয়কটের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। জামায়াতে চাঁদাবাজির কোনো স্থান নেই।”
তবে এ তালিকা সরকার বা পুলিশের তৈরি কিনা—এ প্রশ্নের জবাবে কেউই নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারেননি। ফলে এটি কোনো রাজনৈতিক মহলের অভ্যন্তরীণ প্রচারণা, না কি প্রশাসনিক কার্যক্রম—তা নিয়ে নানা রকম জল্পনা চলছে।

একই আসন থেকে বাবা-ছেলে প্রার্থী হওয়ার খবরে এলাকায় চলছে আলোচনা, সমালোচনা। এ নিয়ে কৌতূহলের শেষ নেই স্থানীয়দের মাঝে। কেউ বলছেন এটি নবীন ও প্রবীণের প্রতীকী লড়াই, আবার কেউ দেখছেন রাজনৈতিক শক্তি প্রদর্শনের নতুন এক মাত্রা অথবা ভিন্ন কৌশল। এই ধরনের প্রার্থী বিন্যাস ভোটের মাঠে শক্তির ভারসাম্যকে প্রভাবিত করতে
১ দিন আগে
তফসিল ঘোষণার আগেই ফরিদপুর-৩ আসন থেকে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন এ কে আজাদ। সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে তখন থেকেই তিনি এলাকায় বেশ সরব ছিলেন। বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ, নেতাকর্মীদের সঙ্গে বৈঠক, সাধারণ মানুষের সঙ্গে গণসংযোগসহ নানা তৎপরতায় তাকে নিয়মিত দেখা গেছে। এত
১ দিন আগে
সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিনে এ দুই আসনের প্রার্থিতা নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়েছে। বিএনপির দুই মনোনয়নপ্রত্যাশীর একজন ভিন্ন দল ও আরেকজন স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ায় দুই আসনে ভোটের হিসাব-নিকাশও নতুন করে করতে শুরু করে দিয়েছেন নেতাকর্মী ও সমর্থকরা।
২ দিন আগে
বিএনপিকে ইঙ্গিত করে রুমিন ফারহানা বলেন, ‘এবার সময় আসছে পরিবর্তনের। এই ভোট হবে অন্যায়ের বিরুদ্ধে। এই ভোট হবে জুলুমের বিপক্ষে। এই ভোট হবে ১৭ বছর যেই মহিলা মাঠে ছিল, তার পক্ষে। এই ভোট হবে যখন আপনারা মামলা–হামলায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন, তখন যে মানুষ আপনাদের পক্ষে সংসদে এবং সংসদের বাইরে কথা বলেছে, এই ভোট
২ দিন আগে