কুমিল্লায় ধর্ষণে অভিযুক্ত ফজর গ্রেপ্তার, ভিডিও ছড়ানোর অভিযোগে আটক ৪

কুমিল্লা প্রতিনিধি
গ্রেপ্তার ফজর আলী। ছবি: সংগৃহীত

কুমিল্লার মুরাদনগরের আলোচিত ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি ফজর আলীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ ছাড়া এ ঘটনার ভিডিও ছড়ানোর অভিযোগে আরও চারজনকে আটক করা হয়েছে।

শনিবার (২৯ জুন) ভোরে ঢাকার সায়েদাবাদ এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানিয়েছেন কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপার নাজির আহমেদ খান।

আহত ফজরকে আইন অনুযায়ী চিকিৎসা দেওয়ার পর আদালতে উপস্থাপন করা হবে বলে জানান তিনি।

এদিকে পাশবিক নির্যাতনের ঘটনার ভিডিওধারণ ও ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে কুমিল্লার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে অনিক, সুমন, রমজান ও বাবু নামের চারজনকে আটক করা হয়েছে।

পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে আলাদা মামলা হবে। গ্রেপ্তার পাঁচজনই মুরাদনগরের পাঁচকিত্তা এলাকার বাসিন্দা।

ভুক্তভোগীর বিবস্ত্র ভিডিও সোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ার পর তা নিয়ে সমালোচনা চলছে।

জেলা পুলিশের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত বৃহস্পতিবার রাতে মুরাদনগরে একটি গ্রামে এক প্রবাসীর স্ত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে ফজর আলী (পিতা- শহিদ মিয়া, গ্রাম- বাহেরচর (পূর্ব পাড়া), থানা- মুরাদনগর, জেলা- কুমিল্লা) নামে এক ব্যক্তি আটক ও পিটুনির শিকার হয়। পরে ফজর সেখান থেকে পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থলে কিছু ব্যক্তি ভুক্তভোগীর ভিডিও ধারণ করে সোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেয়। পরে মুরাদনগর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ‘আইনানুগ ব্যবস্থা’ গ্রহণ করে।

ফজর আলীকে আসামি করে শুক্রবার মামলা করেছেন এক হিন্দু নারী। বাদীর মেডিকেল পরীক্ষা করা হয়েছে।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ওই নারী বাবার বাড়ি বেড়াতে এসেছিলেন। বৃহস্পতিবার রাতে ওই নারীর মা-বাবা বাড়ির বাইরে যান। তখন ফজর আলী বাড়িতে ঢুকে তাকে ধর্ষণ করেন। ওই নারী চিৎকার করলে স্থানীয়রা গিয়ে ফজর আলীকে মারধর করে।

স্থানীয়দের কেউ কেউ ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছেড়ে দেয়।

ad
ad

মাঠের রাজনীতি থেকে আরও পড়ুন

নিয়ন্ত্রণে আসেনি আশুলিয়ার পোশাক কারখানার আগুন

তিন ঘণ্টায়ও নিয়ন্ত্রণে আসেনি সাভারের আশুলিয়ার পলমল গ্রুপের পোশাক কারখানার আগুন। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের ৯টি ইউনিট। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে উপস্থিত রয়েছেন পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা।

১১ ঘণ্টা আগে

খুনের মামলা রাজনৈতিক দেখিয়ে প্রত্যাহার চেষ্টার অভিযোগ

লিখিত বক্তব্যে মামলার বাদী রঞ্জু আহমেদ বলেন, ২০০৯ সালের ৬ অক্টোবর রায়পুর গ্রামে মোটরসাইকেলে বাজারে যাওয়ার পথে প্রতিপক্ষরা তার ওপর হামলা চালায়। তাকে বাঁচাতে গেলে তার বাবা শামসুল ইসলাম, ভাই মনিরুল ইসলাম ও মন্টুকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে জখম করা হয়। পরে হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান মন্টু।

১২ ঘণ্টা আগে

আশুলিয়ায় পোশাক কারখানায় আগুন, নিয়ন্ত্রণে ছয় ইউনিট

সাভারের আশুলিয়ায় আয়েশা গার্মেন্টস নামে একটি পোশাক কারখানায় আগুন লেগেছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ছয়টি ইউনিট কাজ করছে।

১৩ ঘণ্টা আগে

নাটোরে বাস-অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ৩

নাটোরের বনপাড়ায় বাস--অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে তিনজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আরও দুজন আহত হয়েছেন।

১৩ ঘণ্টা আগে