মাগুরার শিশুটির অবস্থার আরও অবনতি: প্রেস সচিব\n
মাগুরা সদরের নিজনান্দুয়ালী গ্রামে বোনের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে গত বুধবার (৫ মার্চ) দিবাগত রাত ২টার দিকে ধর্ষণের শিকার হয় মেয়েটি। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে প্রথমে মাগুরা সদর হাসপাতাল ও পরে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য শুক্রবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ঢামেক হাসপাতালের পেডিয়াট্রিক আইসিইউতে লাইফ সাপোর্টে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছিল শিশুটিকে। পরে শনিবার (৮ মার্চ) সন্ধ্যা ৬টার দিকে তাকে সংকটাপন্ন অবস্থায় ঢাকা সিএমএইচের শিশু আইসিইউতে ভর্তি করা হয়।
চিকিৎসকরা শিশুটির সর্বোচ্চ চিকিৎসা নিশ্চিত করার চেষ্টা করছেন জানিয়ে আইএসপিআরের বার্তায় বলা হয়েছে, প্রতিদিন স্ট্যান্ডার্ড আইসিইউ প্রটোকল অনুযায়ী প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে সে অনুযায়ী তাকে সর্বোচ্চ চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছে। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সমন্বয়ে গঠিত উচ্চ পর্যায়ের চিকিৎসা পর্ষদ সর্বাধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতির মাধ্যমে শিশুটির জীবন রক্ষার জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
শিশুটির সুস্থতার জন্য বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দেশবাসীর কাছে দোয়াপ্রার্থী— উল্লেখ করা হয়েছে আইএসপিআরের বিজ্ঞপ্তিতে।
এর আগে বুধবার প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলমও ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সমসাময়িক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে জানান, শিশুটির শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হয়েছে। তিনিও বলেন, সিএমএইচে আমাদের ডাক্তাররা মেয়েটির জন্য প্রাণান্ত চেষ্টা করছেন। আমরা সবাই মিলে প্রার্থনা করি যেন উনি দ্রুত সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে ওঠেন। আমরা সবার কাছে তার জন্য দোয়া চাইছি।
আট বছর বয়সী এই শিশুর ধর্ষণের ঘটনা সারা দেশে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া তৈরি করেছে। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ সারা দেশেই বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ এ ঘটনাসহ সাম্প্রতিক সময়ে ঘটে যাওয়া অন্যান্য ধর্ষণ এবং যৌন নির্যাতন ও হয়রানির ঘটনার প্রতিবাদে সড়কে অবস্থান নিয়েছেন।
এসব ঘটনায় দোষীদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে বিচার নিশ্চিত করতে সরকারকে কঠোর হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছেন শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষ। ধর্ষণ ও নারী নিপীড়নের ঘটনায় তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হওয়ায় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার অপসারণের দাবিও তুলেছেন অনেকে।