
ঢাবি প্রতিনিধি

দীর্ঘ ৬ বছর পর হতে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ৩৮তম ডাকসু নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক প্রচার-প্রচারণা শুরু হয়েছে গতকাল মঙ্গলবার থেকে। ভোটের প্রচার শুরুর দ্বিতীয় দিনেও বিভিন্ন আবাসিক হল, অনুষদ ও ইনস্টিটিউট এবং বিভিন্ন একাডেমিক ভবনে গিয়ে শিক্ষার্থীদের কাছে ভোট চেয়েছেন বিভিন্ন প্যানেল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা।
বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী সংসদের প্রার্থীরা দুপুর দেড়টায় জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে তার কবরে শ্রদ্ধা জানিয়ে তাদের প্রচারণা শুরু করে। প্রচারণা শেষে বিকাল ৫ টায় তারা একটি সংবাদ সম্মেলন করেন।
সংবাদ সম্মেলনে বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী সংসদের ভিপি পদপ্রার্থী আব্দুল কাদের বলেন, আমাদের ক্যাম্পাসটা ভবঘুরে ও মাদকাশক্তদের অভয়ারণ্য হয়ে উঠেছে। যে কারণে ক্যাম্পাসে নারী শিক্ষার্থীরা হাঁটাচলার ক্ষেত্রে সবসময় একটা নিরাপত্তাহীনতায় থাকেন। এ ছাড়া নারীদের হলে পুরনো নিয়ম রয়ে গেছে। রাত ১০টার পর হলের বাইরে থাকতে হলে একদিন আগে জানিয়ে রাখতে হয়। আমরা এই নিয়মগুলোর সংস্কার চাই যেন কেউ ভোগান্তির মধ্যে না পরে।
তিনি আরও বলেন, অনেক শিক্ষার্থী আশঙ্কা করতে আবারো গণরুম-গেস্টরুম ফিরে আসবে। কারণ, তারা দেখেছেন ৯০ সালের ডাকসুর পরে ৯১ সালে আর ডাকসু হয়নি। ৯১ তে আবারো গণরুম-গেস্টরুম ফিরে এসেছিল। আমরা আপনাদের আশ্বস্ত করতে চাই, আগেও গণরুম গেস্টরুমের বিরুদ্ধে ছিলাম পরবর্তীতেও যদি কেউ শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে গিয়ে এই অদ্ভুত কালচার ফিরিয়ে আনতে চায় আমরা তাদের বিরুদ্ধে দাঁড়াব।
এর আগে দুপুর ১২টায় ছাত্রদল মনোনীত প্যানেলের ভিপি পদপ্রার্থী আবিদুল ইসলাম খান ও এজিএস পদপ্রার্থী তানভীর আল হাদী মায়েদ কলাভবন থেকে তাদের প্রচারণা শুরু করেন। প্রচারণা শেষে বেলা ৩টা ১৫ মিনিট ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সিনেট ভবনে প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তা সঙ্গে বৈঠক করে আবিদ-হামিম-মায়েদ পরিষদ।
বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের ‘ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট’ প্যানেল তাদের প্রচারণা শেষে বিকেল সাড়ে ৫টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে সংবাদ সম্মেলন করেন।
সংবাদ সম্মেলনে ব্যানারের ছবি বিকৃত করা, হিজাবোফোবিয়া এবং ডাকসু প্রচার-প্রচারণার ক্ষেত্রে নিয়ম নির্দিষ্ট করার জন্য দাবি জানান।
এ সময় ‘ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট’ প্যানেলের জিএস পদপ্রার্থী এস এম ফরহাদ বলেন, চারুকলায় একটি কুচক্রী মহল আমাদের ব্যানার বিকৃত করে এবং হিজাবোফোবিয়া যে মারাত্মক রূপে প্রকাশ করেছে সেটির প্রতিবাদ আমরা জানিয়েছিলাম এবং লিখিত অভিযোগ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে। এখন পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কোন দৃশ্যমান শাস্তির ব্যবস্থা নেয়নি, যা খুবই দুঃখজনক এবং নির্বাচনের আচরণবিধির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।
তিনি বলেন, আচরণবিধিতে বলা ছিল, বিশ্ববিদ্যালয়ের দেয়ালে, স্থাপনায়, গাছে বা অন্য কিছুর ক্ষতি হবে এমন জায়গায় ব্যানার সাঁটানো নিষিদ্ধ। পরে আমরা নির্বাচন কমিশনকে বলেছিলাম আমরা ফ্রেমে লাগিয়ে ব্যানার লাগাতে পারবো কিনা। এ বিষয়ে নির্বাচন কমিচন আমাদের ইতিবাচক সাড়া দিয়েছিল। কিন্ত রাতারাতি নোটিশের মাধ্যমে তারা তাদের মত পরিবর্তন করে। আমরা জানতে চাই কোন অদৃশ্য শক্তির চাপে তারা প্রতিদিন তাদের নিয়ম পরিবর্তন করছে। আমরা চাই প্রচারণার ক্ষেত্রে একটি নির্দিষ্ট নিয়মাবলি যেন প্রার্থীদের করে দেওয়া হয়। আমরা কি করতে পারবো, কি পারবো না তা যেন সুস্পষ্ট ভাবে আমাদের বলে দেওয়া হয়।

দীর্ঘ ৬ বছর পর হতে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ৩৮তম ডাকসু নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক প্রচার-প্রচারণা শুরু হয়েছে গতকাল মঙ্গলবার থেকে। ভোটের প্রচার শুরুর দ্বিতীয় দিনেও বিভিন্ন আবাসিক হল, অনুষদ ও ইনস্টিটিউট এবং বিভিন্ন একাডেমিক ভবনে গিয়ে শিক্ষার্থীদের কাছে ভোট চেয়েছেন বিভিন্ন প্যানেল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা।
বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী সংসদের প্রার্থীরা দুপুর দেড়টায় জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে তার কবরে শ্রদ্ধা জানিয়ে তাদের প্রচারণা শুরু করে। প্রচারণা শেষে বিকাল ৫ টায় তারা একটি সংবাদ সম্মেলন করেন।
সংবাদ সম্মেলনে বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী সংসদের ভিপি পদপ্রার্থী আব্দুল কাদের বলেন, আমাদের ক্যাম্পাসটা ভবঘুরে ও মাদকাশক্তদের অভয়ারণ্য হয়ে উঠেছে। যে কারণে ক্যাম্পাসে নারী শিক্ষার্থীরা হাঁটাচলার ক্ষেত্রে সবসময় একটা নিরাপত্তাহীনতায় থাকেন। এ ছাড়া নারীদের হলে পুরনো নিয়ম রয়ে গেছে। রাত ১০টার পর হলের বাইরে থাকতে হলে একদিন আগে জানিয়ে রাখতে হয়। আমরা এই নিয়মগুলোর সংস্কার চাই যেন কেউ ভোগান্তির মধ্যে না পরে।
তিনি আরও বলেন, অনেক শিক্ষার্থী আশঙ্কা করতে আবারো গণরুম-গেস্টরুম ফিরে আসবে। কারণ, তারা দেখেছেন ৯০ সালের ডাকসুর পরে ৯১ সালে আর ডাকসু হয়নি। ৯১ তে আবারো গণরুম-গেস্টরুম ফিরে এসেছিল। আমরা আপনাদের আশ্বস্ত করতে চাই, আগেও গণরুম গেস্টরুমের বিরুদ্ধে ছিলাম পরবর্তীতেও যদি কেউ শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে গিয়ে এই অদ্ভুত কালচার ফিরিয়ে আনতে চায় আমরা তাদের বিরুদ্ধে দাঁড়াব।
এর আগে দুপুর ১২টায় ছাত্রদল মনোনীত প্যানেলের ভিপি পদপ্রার্থী আবিদুল ইসলাম খান ও এজিএস পদপ্রার্থী তানভীর আল হাদী মায়েদ কলাভবন থেকে তাদের প্রচারণা শুরু করেন। প্রচারণা শেষে বেলা ৩টা ১৫ মিনিট ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সিনেট ভবনে প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তা সঙ্গে বৈঠক করে আবিদ-হামিম-মায়েদ পরিষদ।
বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের ‘ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট’ প্যানেল তাদের প্রচারণা শেষে বিকেল সাড়ে ৫টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে সংবাদ সম্মেলন করেন।
সংবাদ সম্মেলনে ব্যানারের ছবি বিকৃত করা, হিজাবোফোবিয়া এবং ডাকসু প্রচার-প্রচারণার ক্ষেত্রে নিয়ম নির্দিষ্ট করার জন্য দাবি জানান।
এ সময় ‘ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট’ প্যানেলের জিএস পদপ্রার্থী এস এম ফরহাদ বলেন, চারুকলায় একটি কুচক্রী মহল আমাদের ব্যানার বিকৃত করে এবং হিজাবোফোবিয়া যে মারাত্মক রূপে প্রকাশ করেছে সেটির প্রতিবাদ আমরা জানিয়েছিলাম এবং লিখিত অভিযোগ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে। এখন পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কোন দৃশ্যমান শাস্তির ব্যবস্থা নেয়নি, যা খুবই দুঃখজনক এবং নির্বাচনের আচরণবিধির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।
তিনি বলেন, আচরণবিধিতে বলা ছিল, বিশ্ববিদ্যালয়ের দেয়ালে, স্থাপনায়, গাছে বা অন্য কিছুর ক্ষতি হবে এমন জায়গায় ব্যানার সাঁটানো নিষিদ্ধ। পরে আমরা নির্বাচন কমিশনকে বলেছিলাম আমরা ফ্রেমে লাগিয়ে ব্যানার লাগাতে পারবো কিনা। এ বিষয়ে নির্বাচন কমিচন আমাদের ইতিবাচক সাড়া দিয়েছিল। কিন্ত রাতারাতি নোটিশের মাধ্যমে তারা তাদের মত পরিবর্তন করে। আমরা জানতে চাই কোন অদৃশ্য শক্তির চাপে তারা প্রতিদিন তাদের নিয়ম পরিবর্তন করছে। আমরা চাই প্রচারণার ক্ষেত্রে একটি নির্দিষ্ট নিয়মাবলি যেন প্রার্থীদের করে দেওয়া হয়। আমরা কি করতে পারবো, কি পারবো না তা যেন সুস্পষ্ট ভাবে আমাদের বলে দেওয়া হয়।

নির্বাচন কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার বলেছেন, ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন কমিশন সর্বত্রভাবে এ বিষয়ে প্রস্তুত। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, পুলিশ, সেনাবাহিনী, বিজিবি, কোস্ট গার্ডসহ কোনো বাহিনীর সমস্যা নেই।
১৯ ঘণ্টা আগে
প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর থেকে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছিল, সব বিদেশ ভ্রমণ সংক্রান্ত নির্দেশনা কঠোরভাবে প্রতিপালনের পাশাপাশি এখন থেকে আগামী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়া পর্যন্ত একান্ত অপরিহার্য কারণ ছাড়া বিদেশ ভ্রমণ থেকে বিরত থাকতে হবে।
২১ ঘণ্টা আগে
ফুলকোর্ট সভা বিচারপতিদের নিজস্ব ফোরাম হিসেবে কাজ করে, যেখানে নীতি-নির্ধারণী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
২১ ঘণ্টা আগে
তিনি বলেন, ‘সাম্য ও সমতায়, দেশ গড়বে সমবায়’ এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে প্রতি বছরের ন্যায় এবারও ১ নভেম্বর, ২০২৫ যথাযোগ্য মর্যাদায় দেশব্যাপী ‘৫৪তম জাতীয় সমবায় দিবস’ উদ্যাপিত হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। এ উপলক্ষে আমি সকল সমবায়ী ও দেশবাসীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাচ্ছি।’
১ দিন আগে