মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে নির্মিত চলচ্চিত্র ‘ইক্কিস’ আসছে নতুন বছরে

ডেস্ক, রাজনীতি ডটকম
আপডেট : ২০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৬: ৫৫
ছবি: সংগৃহীত

সদ্য প্রয়াত ভারতীয় কিংবদন্তি অভিনেতা ধর্মেন্দ্র অভিনীত শেষ চলচ্চিত্র ‘ইক্কিস’ অবশেষে নতুন বছরের প্রথম দিন প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাচ্ছে। একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে নির্মিত এ চলচ্চিত্রটির মুক্তির তারিখ এর আগে তিন দফা পরিবর্তন করা হয়। সবশেষ নির্ধারিত তারিখ ছিল আগামী ২৫ ডিসেম্বর। তবে তৃতীয়বারের মতো সেই তারিখও পেছানো হয়েছে।

চলচ্চিত্রটির মুক্তি সংক্রান্ত নতুন তথ্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জানিয়েছেন ধর্মেন্দ্রর ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও বলিউডের ‘শাহেনশাহ’ খ্যাত অভিনেতা অমিতাভ বচ্চন। তিনি জানান, ২৫ ডিসেম্বর মুক্তির কথা থাকলেও ‘ইক্কিস’ মুক্তি পাবে ২০২৬ সালের পহেলা জানুয়ারি।

মুক্তির তারিখ পরিবর্তনের কারণ হিসেবে অমিতাভ বচ্চন বলেন, জ্যোতিষশাস্ত্র অনুযায়ী কয়েকজন জ্যোতিষীর পরামর্শে পহেলা জানুয়ারিকেই সিনেমাটি মুক্তির জন্য শুভ দিন হিসেবে নির্ধারণ করা হয়েছে। সে অনুযায়ী, ওই দিনই ভারতজুড়ে সিনেমাটি মুক্তি পাবে।

শ্রীরাম রাঘবন পরিচালিত ‘ইক্কিস’ চলচ্চিত্রের কেন্দ্রীয় চরিত্রে রয়েছেন ভারতীয় সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা শহীদ সেকেন্ড লেফটেন্যান্ট পিভিসি অরুণ ক্ষেত্রপাল। বাংলাদেশের পক্ষে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে তিনি অসীম সাহসিকতার পরিচয় দেন। শত্রুপক্ষের ১০টি ট্যাঙ্ক ধ্বংস করার পর নিজ ট্যাঙ্ক থেকে বেরিয়ে এসে যুদ্ধ চালিয়ে যান অরুণ ক্ষেত্রপাল। মাত্র ২১ বছর বয়সে তিনি শহীদ হন।

চলচ্চিত্রটিতে অরুণ ক্ষেত্রপালের চরিত্রে অভিনয় করেছেন অমিতাভ বচ্চনের মেয়ের ঘরের নাতি অগস্ত্য নন্দা। আর অরুণ ক্ষেত্রপালের বাবার ভূমিকায় অভিনয় করেছেন প্রয়াত অভিনেতা ধর্মেন্দ্র। ‘ইক্কিস’ দিয়ে পর্দায় শেষবারের মতো দর্শকদের সামনে উপস্থিত থাকছেন এই কিংবদন্তি অভিনেতা।

ad
ad

সাত-পাঁচ থেকে আরও পড়ুন

বিজয়ের ৪৮ ঘণ্টা আগে যেভাবে ‘মগজশূন্য’ করা হয় জাতিকে

একাত্তরের ডিসেম্বরের শুরু থেকেই যখন রণাঙ্গনে পাকিস্তানি বাহিনীর পরাজয় নিশ্চিত হয়ে আসছিল, তখনই গভর্নর হাউসের অন্দরমহলে মেজর জেনারেল রাও ফরমান আলী এক ভয়ংকর নীলনকশা চূড়ান্ত করেন। তাঁর ডায়েরিতেই পাওয়া যায় সেই মৃত্যু-তালিকা, যেখানে লেখা ছিল দেশের প্রথিতযশা শিক্ষক, চিকিৎসক, সাংবাদিক ও সাহিত্যিকদের নাম।

৭ দিন আগে

ঢাকার গলায় ‘ফাঁস’, শিরোমণির ট্যাংক যুদ্ধ এবং বুদ্ধিজীবী হত্যার ছক!

১৩ ডিসেম্বর ঢাকার আকাশ, বাতাস এবং মাটি সব কিছুই যেন পাকিস্তানি জেনারেলদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেছিল। জেনারেল নিয়াজি তার ক্যান্টনমেন্টের সুরক্ষিত ভূগর্ভস্থ বাঙ্কারে বসে ম্যাপের দিকে তাকিয়ে দেখছিলেন যে, পালানোর আর কোনো রাস্তা খোলা নেই।

৮ দিন আগে

পাকিস্তানিদের শেষ ভরসা সপ্তম নৌ বহরও পরিণত মরীচিকায়

পরাশক্তিদের দ্বন্দ্বে বাংলাদেশের মুক্তিকামী মানুষ ও প্রবাসী সরকার ছিল অটল। প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ ১২ ডিসেম্বর এক বেতার ভাষণে বলেন, ‘সপ্তম নৌ বহর আমাদের স্বাধীনতা আটকাতে পারবে না। প্রয়োজনে আমরা ১০০ বছর যুদ্ধ করব, তবু বিদেশিদের কাছে মাথা নত করব না।’

৮ দিন আগে

উত্তরে কাদেরিয়া ঝড়, দক্ষিণে সপ্তম নৌ বহর: নিয়াজির চোখে সর্ষে ফুল!

কাদেরিয়া বাহিনীর সদস্যরা প্যারাট্রুপারদের পথ দেখিয়ে পুংলি ব্রিজের দিকে নিয়ে যায় এবং ব্রিজটি দখল করে নেয়। এর ফলে ময়মনসিংহ ও জামালপুর থেকে পিছু হটা পাকিস্তানি ৯৩ ব্রিগেডের সৈন্যরা ঢাকার দিকে যাওয়ার পথে আটকা পড়ে।

১০ দিন আগে