top ad image
top ad image
home iconarrow iconবিশ্ব রাজনীতি

গাজার রাফা শহর খালি করতে বলল ইসরায়েলের সেনা

রাফা শহর খালি করতে বলল ইসরায়েলের সেনা

গাজার শহর রাফা খালি করে দিতে বললো ইসরায়েলের সেনা। সেখানকার সব মানুষকে চলে যেতে বলা হয়েছে। ইসরায়েলের সেনাবাহিনী রাফা এবং বেশ কয়েকটি পুরসভা এলাকা খালি করে মানুষকে চলে যেতে বললো। সোমবার সেনা মুখপাত্র এই কথা জানিয়েছেন।

গত মাসে ইসরায়েলের সেনা হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি চুক্তি বাতিল করে দেয়। তারপর থেকে তারা গাজার বিভিন্ন এলাকায় আক্রমণ শুরু করে দিয়েছে। এর আগে হামাসের সঙ্গে সংঘাত শুরু হওয়ার পর ইসরায়েলের আক্রমণে রাফা কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।

প্রাথমিকভাবে রাফা থেকে চলে আসতে সম্মত হয়েছিল ইসরায়েলের সেনা। কিন্তু পরে তারা বলে, সীমান্ত এলাকায় তাদের উপস্থিতি প্রয়োজন। মিশর থেকে এই এলাকায় অস্ত্রপাচার হয়।

গত ১৮ মার্চ ইসরায়েলের সেনা আবার গাজায় বিমান হামলা শুরু করে। তার ফলে এক হাজারের বেশি্ মানুষ মারা গেছেন বলে দাবি করেছে হামাস নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য দপ্তর। গত ৪৮ ঘণ্টায় মারা গেছেন ৮০ জন।

হামাসকে সন্ত্রাসবাদী সংগঠন বলে ঘোষণা করেছে যুক্তরাষ্ট্র, ইসরায়েল, ইইউ-সহ কয়েকটি দেশ। স্বাস্থ্য দপ্তরের দাবি, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েলের আক্রমণে ৫০ হাজার ৩৫৭ জন মারা গেছেন।

স্বাস্থ্য দপ্তর এর মধ্যে কতজন হামাস সদস্য এবং কতজন বেসামরিক মানুষ মারা গেছেন তা জানায়নি। তবে মানবাধিকার সংগঠনগুলি মনে করে, এই হিসাব মোটের উপর ঠিক আছে।

গাজার ২৩ লাখ বাসিন্দার মধ্যে অর্ধেক শিশু এবং জাতিসংঘ জানিয়েছে, মৃতদের মধ্যে নারী ও শিশুর সংখ্যাই সবচেয়ে বেশি। হামাস ইসরায়েলে ঢুকে এক হাজার দুইশ মানুষকে হত্যা করার পর ইসরায়েল গাজায় আক্রমণ শুরু করে।

ইউনিসেফ জানিয়েছে, যুদ্ধবিরতি শেষ হওয়ার পর থেকে ইসরায়েলের আক্রমণের জেরে ৩২২ জন শিশু মারা গেছে, ৬০৯ জন আহত হয়েছে। সেমবার ইউনিসেফ বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, এই শিশুরা মূলত ভেঙে পড়া বাড়ি বা তাঁবুতে ছিল।

নতুন করে বোমা হামলা এবং ত্রাণসাহায্য বন্ধ করে দেয়ার ফলে গাজায় ১০ লাখ বাচ্চা ভয়ংকর বিপদে পড়েছে বলে ইউনিসেফ জানিয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, যুদ্ধবিরতি গাজার বাচ্চাদের কাছে আশার আলো নিয়ে এসেছিল। কিন্তু সেই বাচ্চারা আবার নতুন করে ভয়ংকর সহিংসতার চক্রের মধ্যে পড়েছে।

২ মার্চ থেকে গাজায় কোনো ত্রাণসাহায্য পাঠাতে দেয়া হচ্ছে না। খাবার, জল ও চিকিৎসা সংকট বেড়েছে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প মে মাসে বিনিয়োগ চুক্তি করতে সৌদি আরব, কাতার ও আমিরাত সফরে যেতে পারেন।

সোমবার হোয়াইট হাউসে ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেছেন, ''মে মাসে বা তার কিছুটা পরে এই সফর হতে পারে। আমরা কাতার যাব। সম্ভবত তার সঙ্গে আরো কয়েকটা দেশে যাব। আমিরাত আমাদের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। তাই আমিরাত ও কাতারে যাব।''

ট্রাম্প জানিয়েছেন, সৌদি আরবে তার সফর প্রায় এক ট্রিলিয়ান ডলারের(একের পর ১২টা শূন্য) বিনিয়োগ চুক্তিতে সই হবে। এর মধ্যে সামরিক সরঞ্জাম ও অস্ত্র কেনার বিষয়টিও থাকবে। এই চুক্তির ফলে প্রচুর কর্মসংস্থান হবে।

তবে এই চুক্তি নিয়ে আর বিস্তারিত তথ্য ট্রাম্প দেননি। বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানাচ্ছে, গাজা ও ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়েও কথা হবে। গত জানুয়ারিতে দায়িত্ব নেয়ার পর এটাই হবে ট্রাম্পের প্রথম বিদেশ সফর। সূত্র : ডিডব্লিউ

r1 ad
r1 ad
top ad image