
ডেস্ক, রাজনীতি ডটকম

ওয়াশিংটন ডিসিতে দুজন ন্যাশনাল গার্ড সদস্যকে গুলির ঘটনার জের ধরে ট্রাম্প প্রশাসন সব ধরনের আশ্রয় সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত স্থগিত করছে। এর ফলে যে কেউ যুক্তরাষ্ট্রে আশ্রয়ের জন্য আবেদন করলে তা অনুমোদন, বাতিল, প্রত্যাখ্যান বা কোনো ধরনের সিদ্ধান্তই আর দেওয়া হবে না।
বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের সিটিজেনশিপ অ্যান্ড ইমিগ্রেশন সার্ভিসেসের (ইউএসসিআইএস) পরিচালক জোসেফ এডলো এ তথ্য জানিয়েছেন। শুক্রবার এক্সে এক পোস্টে এডলো বলেন, এ বিরতি চলবে যতক্ষণ না আমরা নিশ্চিত হতে পারি যে প্রতিটি বিদেশি সর্বোচ্চ মাত্রায় যাচাই ও পরীক্ষা সম্পন্ন করেছে।
মার্কিন হোমল্যান্ড সিকিউরিটির একটি দপ্তর ইউএসসিআইএসের কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, তারা যেন কোনো আশ্রয় আবেদন অনুমোদন, প্রত্যাখ্যান বা বন্ধ না করেন। সিবিএস নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কর্মকর্তারা আবেদন প্রক্রিয়ার কাজ চালিয়ে যেতে পারবেন, তবে সিদ্ধান্ত গ্রহণের পর্যায়ে পৌঁছালে থামতে হবে। নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ‘একবার সিদ্ধান্তের পর্যায়ে পৌঁছালে থামুন এবং স্থগিত রাখুন।’
এর কয়েক ঘণ্টা আগেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ট্রুথ সোশ্যালে দেওয়া এক পোস্টে তৃতীয় বিশ্বের সব দেশ থেকে অভিবাসন স্থায়ীভাবে স্থগিতের ঘোষণা দেন। শুক্রবারের নির্দেশনা ও ট্রাম্পের আগের মন্তব্য সম্পর্কে এখনো খুব কম তথ্য পাওয়া গেছে।
দুটি ঘোষণাই বুধবারের প্রাণঘাতী হামলার পর এসেছে এবং এগুলো ট্রাম্প প্রশাসনের দ্বিতীয় মেয়াদে অভিবাসন নিয়ে আরও কঠোর অবস্থানকে তুলে ধরছে। অন্য পদক্ষেপগুলোর মধ্যে ট্রাম্প অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করা অভিবাসীদের গণহারে বহিষ্কার, শরণার্থী গ্রহণের বার্ষিক সংখ্যা ব্যাপকভাবে কমানো এবং যুক্তরাষ্ট্রে জন্মগ্রহণকারী প্রায় সবার জন্য প্রযোজ্য স্বয়ংক্রিয় নাগরিকত্বের অধিকার বাতিলের চেষ্টা করেছেন।
বুধবারের গুলির ঘটনার পর ট্রাম্প ঘোষণা দেন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে এমন সব বিদেশিকে বহিষ্কার করবেন, যারা যেকোনো দেশ থেকে আসার পর এখানে থাকার যোগ্য নয়।
একই দিনে যুক্তরাষ্ট্র আফগান নাগরিকদের সব অভিবাসন আবেদন প্রক্রিয়া স্থগিত করে বলেছে, ‘নিরাপত্তা ও যাচাই প্রক্রিয়া’ পর্যালোচনার অপেক্ষায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এরপর বৃহস্পতিবার ইউএসসিআইএস জানায়, তারা ১৯টি দেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে আসা অভিবাসীদের দেওয়া গ্রিন কার্ড পুনর্পর্যালোচনা করবে। বিবিসি জানতে চাইলে ইউএসসিআইএস হোয়াইট হাউসের জুন মাসের এক ঘোষণার দিকে ইঙ্গিত করে, যেখানে আফগানিস্তান, কিউবা, হাইতি, ইরান, সোমালিয়া ও ভেনেজুয়েলার মতো দেশগুলোর ওপর বিধিনিষেধ আরোপের কথা ছিল।
ট্রাম্প তার পোস্টে হুঁশিয়ারি দিয়ে আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের অ-নাগরিকদের সব ধরনের ফেডারেল সুবিধা ও ভর্তুকি বন্ধ করবেন। স্থায়ীভাবে সব তৃতীয় বিশ্বের দেশ থেকে অভিবাসন স্থগিত করবেন, যেন যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবস্থা সম্পূর্ণ পুনরুদ্ধার করতে পারে। কারণ এসব অভিবাসী আমেরিকানদের অর্জন ও জীবনযাত্রার মান ক্ষতিগ্রস্ত করেছে।
ট্রাম্প এর আগে আফগানিস্তানসহ আফ্রিকা ও এশিয়ার আরও ১১টি দেশের নাগরিকদের ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিলেন। তার প্রথম মেয়াদে সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম দেশগুলোর ওপরও ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছিল।
জাতিসংঘ ট্রাম্পের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় তার প্রশাসনকে আশ্রয়প্রার্থীদের বিষয়ে আন্তর্জাতিক চুক্তি মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছে। জাতিসংঘ মহাসচিবের উপমুখপাত্র রয়টার্সকে বলেন, আমরা আশা করি যুক্তরাষ্ট্রসহ সব দেশ ১৯৫৩ সালের শরণার্থী কনভেনশনের অধীনে দেওয়া তাদের প্রতিশ্রুতি পালন করবে।
আমেরিকান ইমিগ্রেশন লইয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট জেরেমি ম্যাককিনি যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসীদের ‘বলির পাঁঠা’ বানানো হিসেবে ট্রাম্পের প্রতিক্রিয়াকে বর্ণনা করেছেন। ম্যাককিনি বলেন, এ ধরনের ঘটনা ত্বকের রঙ জানে না, জাতীয়তা জানে না। যখন কেউ চরমপন্থায় জড়িয়ে পড়ে বা মানসিক অসুস্থতায় ভোগে, সে যে কোনো পটভূমি থেকে আসতে পারে।

ওয়াশিংটন ডিসিতে দুজন ন্যাশনাল গার্ড সদস্যকে গুলির ঘটনার জের ধরে ট্রাম্প প্রশাসন সব ধরনের আশ্রয় সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত স্থগিত করছে। এর ফলে যে কেউ যুক্তরাষ্ট্রে আশ্রয়ের জন্য আবেদন করলে তা অনুমোদন, বাতিল, প্রত্যাখ্যান বা কোনো ধরনের সিদ্ধান্তই আর দেওয়া হবে না।
বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের সিটিজেনশিপ অ্যান্ড ইমিগ্রেশন সার্ভিসেসের (ইউএসসিআইএস) পরিচালক জোসেফ এডলো এ তথ্য জানিয়েছেন। শুক্রবার এক্সে এক পোস্টে এডলো বলেন, এ বিরতি চলবে যতক্ষণ না আমরা নিশ্চিত হতে পারি যে প্রতিটি বিদেশি সর্বোচ্চ মাত্রায় যাচাই ও পরীক্ষা সম্পন্ন করেছে।
মার্কিন হোমল্যান্ড সিকিউরিটির একটি দপ্তর ইউএসসিআইএসের কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, তারা যেন কোনো আশ্রয় আবেদন অনুমোদন, প্রত্যাখ্যান বা বন্ধ না করেন। সিবিএস নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কর্মকর্তারা আবেদন প্রক্রিয়ার কাজ চালিয়ে যেতে পারবেন, তবে সিদ্ধান্ত গ্রহণের পর্যায়ে পৌঁছালে থামতে হবে। নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ‘একবার সিদ্ধান্তের পর্যায়ে পৌঁছালে থামুন এবং স্থগিত রাখুন।’
এর কয়েক ঘণ্টা আগেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ট্রুথ সোশ্যালে দেওয়া এক পোস্টে তৃতীয় বিশ্বের সব দেশ থেকে অভিবাসন স্থায়ীভাবে স্থগিতের ঘোষণা দেন। শুক্রবারের নির্দেশনা ও ট্রাম্পের আগের মন্তব্য সম্পর্কে এখনো খুব কম তথ্য পাওয়া গেছে।
দুটি ঘোষণাই বুধবারের প্রাণঘাতী হামলার পর এসেছে এবং এগুলো ট্রাম্প প্রশাসনের দ্বিতীয় মেয়াদে অভিবাসন নিয়ে আরও কঠোর অবস্থানকে তুলে ধরছে। অন্য পদক্ষেপগুলোর মধ্যে ট্রাম্প অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করা অভিবাসীদের গণহারে বহিষ্কার, শরণার্থী গ্রহণের বার্ষিক সংখ্যা ব্যাপকভাবে কমানো এবং যুক্তরাষ্ট্রে জন্মগ্রহণকারী প্রায় সবার জন্য প্রযোজ্য স্বয়ংক্রিয় নাগরিকত্বের অধিকার বাতিলের চেষ্টা করেছেন।
বুধবারের গুলির ঘটনার পর ট্রাম্প ঘোষণা দেন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে এমন সব বিদেশিকে বহিষ্কার করবেন, যারা যেকোনো দেশ থেকে আসার পর এখানে থাকার যোগ্য নয়।
একই দিনে যুক্তরাষ্ট্র আফগান নাগরিকদের সব অভিবাসন আবেদন প্রক্রিয়া স্থগিত করে বলেছে, ‘নিরাপত্তা ও যাচাই প্রক্রিয়া’ পর্যালোচনার অপেক্ষায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এরপর বৃহস্পতিবার ইউএসসিআইএস জানায়, তারা ১৯টি দেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে আসা অভিবাসীদের দেওয়া গ্রিন কার্ড পুনর্পর্যালোচনা করবে। বিবিসি জানতে চাইলে ইউএসসিআইএস হোয়াইট হাউসের জুন মাসের এক ঘোষণার দিকে ইঙ্গিত করে, যেখানে আফগানিস্তান, কিউবা, হাইতি, ইরান, সোমালিয়া ও ভেনেজুয়েলার মতো দেশগুলোর ওপর বিধিনিষেধ আরোপের কথা ছিল।
ট্রাম্প তার পোস্টে হুঁশিয়ারি দিয়ে আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের অ-নাগরিকদের সব ধরনের ফেডারেল সুবিধা ও ভর্তুকি বন্ধ করবেন। স্থায়ীভাবে সব তৃতীয় বিশ্বের দেশ থেকে অভিবাসন স্থগিত করবেন, যেন যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবস্থা সম্পূর্ণ পুনরুদ্ধার করতে পারে। কারণ এসব অভিবাসী আমেরিকানদের অর্জন ও জীবনযাত্রার মান ক্ষতিগ্রস্ত করেছে।
ট্রাম্প এর আগে আফগানিস্তানসহ আফ্রিকা ও এশিয়ার আরও ১১টি দেশের নাগরিকদের ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিলেন। তার প্রথম মেয়াদে সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম দেশগুলোর ওপরও ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছিল।
জাতিসংঘ ট্রাম্পের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় তার প্রশাসনকে আশ্রয়প্রার্থীদের বিষয়ে আন্তর্জাতিক চুক্তি মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছে। জাতিসংঘ মহাসচিবের উপমুখপাত্র রয়টার্সকে বলেন, আমরা আশা করি যুক্তরাষ্ট্রসহ সব দেশ ১৯৫৩ সালের শরণার্থী কনভেনশনের অধীনে দেওয়া তাদের প্রতিশ্রুতি পালন করবে।
আমেরিকান ইমিগ্রেশন লইয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট জেরেমি ম্যাককিনি যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসীদের ‘বলির পাঁঠা’ বানানো হিসেবে ট্রাম্পের প্রতিক্রিয়াকে বর্ণনা করেছেন। ম্যাককিনি বলেন, এ ধরনের ঘটনা ত্বকের রঙ জানে না, জাতীয়তা জানে না। যখন কেউ চরমপন্থায় জড়িয়ে পড়ে বা মানসিক অসুস্থতায় ভোগে, সে যে কোনো পটভূমি থেকে আসতে পারে।

বিবৃতিতে বলা হয়, উদ্ধার করা মরদেহগুলো ময়নাতদন্ত ও দাফনের প্রস্তুতির জন্য গাজা সিটির আল-শিফা মেডিকেল কমপ্লেক্সের ফরেনসিক বিভাগে পাঠানো হয়েছে। পরে সেগুলো মধ্যাঞ্চলীয় শহর দেইর আল-বালাহর শহীদ কবরস্থানে দাফন করা হবে।
১ দিন আগে
রজব চারটি পবিত্র মাসের মধ্যে অন্যতম একটি। মুসলিমদের কাছে রজব মাসটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এই মাস থেকেই মূলত পবিত্র রমজানের প্রস্তুতি শুরু হয়। রজব ও এর পরের মাস শা’বান শেষ হলেই আসে রহমতের মাস রমজান।
২ দিন আগে
সিরিয়ায় বড় পরিসরে হামলা শুরুর কথা জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি জানান, ইসলামিক স্টেট অব ইরাক অ্যান্ড দ্য লেভান্টের (আইএসআইএস) ঘাঁটিতে যুক্তরাষ্ট্র বড় ধরনের সামরিক হামলা চালাচ্ছে। গত সপ্তাহে সিরিয়ার পালমিরা শহরে দুই মার্কিন সেনা ও এক দোভাষী নিহত হওয়ার প্রতিক্রিয়ায় চালানো হচ্ছে
২ দিন আগে
কৃষ্ণ সাগরের তীরবর্তী ইউক্রেনের ওডেসা বন্দরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে অভিযানরত রুশ বাহিনী। এতে অন্তত ৭ জন নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন আরও কমপক্ষে ১৫ জন।
২ দিন আগে