সিন্ধুর এক ফোঁটা পানিও পাকিস্তানে যেতে দেবো না: ভারতীয় মন্ত্রী\n
সিনেটে পাস হওয়া প্রস্তাবে সিন্ধু নদীর পানিবণ্টন চুক্তি একতরফাভাবে স্থগিত করার ভারতীয় সিদ্ধান্তকে ‘যুদ্ধের পদক্ষেপ’ বলে অভিহিত করা হয়েছে। এর আগে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতেও এ সিদ্ধান্তকে ‘যুদ্ধের পদক্ষেপ’ হিসেবে অভিহিত করা হয়েছিল।
সংসদে পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দারের উত্থাপিত প্রস্তাবে আরও বলা হয়েছে, পাকিস্তান পানি সন্ত্রাস বা সামরিক উসকানিসহ যেকোনো আগ্রাসনের বিরুদ্ধে তারা সার্বভৌমত্ব এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতা রক্ষা করতে সম্পূর্ণরূপে সক্ষম এবং প্রস্তুত।
পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারত কাশ্মির হামলার জের ধরে যেসব সিদ্ধান্ত নিয়েছে তার মধ্যে সিন্ধু নদীর পানিবণ্টন চুক্তিটি খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ পাকিস্তানের প্রধান কৃষিভিত্তিক অঞ্চল পাঞ্জাবের মাঠ-ঘাট, খেত-খামার বাঁচিয়ে রাখে সিন্ধু ও এর শাখা নদীগুলোর পানি। পুরো দেশের খাদ্য উৎপাদনের বড় অংশও আসে এই এলাকা থেকে।
পাকিস্তানের অর্থনীতিতে ব্যাপক গুরুত্বপূর্ণ এই পাঞ্জাবের সেচব্যবস্থার প্রায় ৮০ শতাংশ নির্ভর করে সিন্ধু চুক্তির অধীনে পাওয়া বিভিন্ন নদীর পানির ওপর। ভারত পানি বন্ধ করে দিলে শুকিয়ে যাবে এই এলাকা। পাকিস্তানের খাদ্য নিরাপত্তা, কৃষি ব্যবস্থা আর অর্থনীতি— সব ধসে পড়বে।
দক্ষিণ এশিয়ার দুই দেশের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হওয়া সিন্ধু নদীর পানিবণ্টনে ১৯৬০ সালে জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় চুক্তি সই হয়। কাশ্মিরে গত মঙ্গলবারের হামলায় পাকিস্তানের মদত রয়েছে অভিযোগ তুলে বুধবার চুক্তি স্থগিত করে ভারত। ১৯৬০ সালে সই হওয়ার পর এই প্রথম এই চুক্তি স্থগিত করা হলো।
তথ্য বলছে, এ মুহূর্তে সিন্ধু নদীর পানি প্রবাহ আটকানোর মতো কোনো অবকাঠামো ভারতের নেই। তবে ভারতের জলশক্তিমসন্ত্রী সিআর পাতিল স্পষ্ট ঘোষণা দিয়েছেন, ভারত অবকাঠামো না থাকলেওে পানির প্রবাহ বন্ধ করতে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মন্ত্রী বলেছেন, এক ফোঁটা পানিও ভারত থেকে পাকিস্তানে যেন না যায়, সে ব্যবস্থা করেই ছাড়বেন তিনি।