কাশ্মীর সীমান্ত: ভারত-পাকিস্তানের সেনাদের ফের গোলাগুলি

ডেস্ক, রাজনীতি ডটকম

ভারত-শাসিত কাশ্মিরে বন্দুকধারীদের হামলার পর থেকেই ভারত-পাকিস্তানের সম্পর্ক বেশ অবনতি হয়েছে। পাল্টপাল্টি পদক্ষেপেসহ উত্তেজনা ক্রমেই চরমে পৌঁছেছে এবং এর মধ্যেই সীমান্তে ভারত-পাকিস্তানের সেনাদের মধ্যে আবারও গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এ নিয়ে টানা তিনরাত ধরে কাশ্মির সীমান্তে ভারত-পাকিস্তানের সেনাদের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটল।

রবিবার একাধিক ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, শনিবার গভীর রাতে ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের তুতমারি গলি ও রামপুর সেক্টরের বিপরীত দিকে দুই পক্ষের সেনাদের মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলির ঘটনা ঘটে।

বলা হয়, এ নিয়ে পর পর তিন রাত ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে সেনাদের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটল। এর আগে শুক্রবার ও বৃহস্পতিবার রাতে নিয়ন্ত্রণরেখায় দুই দেশের সেনাদের মধ্যে গুলি বিনিময় ঘটে।

যদিও এসব গোলাগুলির ঘটনা নিয়ে পাকিস্তানের কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। ভারতীয় সেনাবাহিনীর দাবি, পাকিস্তানি সেনারা বিনা উসকানিতে গুলি চালিয়েছে। ভারতের সেনাবাহিনী পাল্টা জবাব দিলেও এসব ঘটনায় হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।

উল্লেখ্য, ভারত-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে গত ২২ এপ্রিল বন্দুকধারীদের ভয়াবহ হামলায় ২৬ জন নিহতের ঘটনা এবং পাল্টাপাল্টি অভিযোগের ফলে পাকিস্তান ও ভারতের সম্পর্ক ফের তলানিতে পৌঁছেছে। এর জেরে পাল্টপাল্টি পদক্ষেপে উত্তেজনা কার্যত চরমে পৌঁছেছে। এর মধ্যেই কাশ্মীর সীমান্তে দুই দেশের সেনাদের মধ্যে ফের গোলাগুলির ঘটনা ঘটলো।

ad
ad

বিশ্ব রাজনীতি থেকে আরও পড়ুন

গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হলেও বেড়েই চলেছে নিহতের সংখ্যা

শনিবার এক বিবৃতিতে গাজার সরকারি গণমাধ্যম দপ্তর জানায়, ১০ থেকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত ৩ হাজার ২০৩টি বাণিজ্যিক ও ত্রাণবাহী ট্রাক গাজায় প্রবেশ করেছে। অর্থাৎ প্রতিদিন গড়ে মাত্র ১৪৫টি ট্রাক প্রবেশের অনুমতি পেয়েছে। যা যুদ্ধবিরতির অংশ হিসেবে নির্ধারিত দৈনিক ৬০০ ট্রাকের মাত্র ২৪ শতাংশ।

২ দিন আগে

বন্দুকধারীর হামলায় গ্রিসে নিহত ২, আহত ১০

পারিবারিক বিরোধের জেরেই এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। এই ঘটনার কয়েক ঘণ্টা আগে একই এলাকায় একটি নির্মাণাধীন বাড়িতে বিস্ফোরণের ঘটনাও ঘটেছিল।

২ দিন আগে

পাকিস্তান সীমান্তে ভারতের সর্ববৃহৎ যৌথ সামরিক মহড়া

ত্রিশুল স্থল, আকাশ, মহাকাশ এবং মানবহীন নজরদারি সম্পদ একীভূত করার উপর জোর দিচ্ছে। এর মূল উদ্দেশ্য হলো একীভূত অভিযান, গভীর আক্রমণ এবং বহু-ডোমেন যুদ্ধ। এছাড়া পূর্ণ-চক্র ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক স্পেকট্রাম অপারেশন এবং কাউন্টার-আনম্যানড এরিয়াল সিস্টেম কিল-চেইন যাচাই করার উপর জোর দেওয়া হচ্ছে।

২ দিন আগে

দুর্বল শাসনই বাংলাদেশে সরকার পতনের কারণ: অজিত দোভাল

দক্ষিণ এশিয়ায় সরকারের অস্থিতিশীলতার মূল কারণ হিসেবে দুর্বল শাসনব্যবস্থাকে দায়ী করেছেন ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা (এনএসএ) অজিত দোভাল। তিনি বলেন, দুর্বল প্রশাসনিক কাঠামো প্রায়ই একটি দেশের সরকারের পতনের পেছনে বড় ভূমিকা রাখে, আর বাংলাদেশ, নেপাল ও শ্রীলঙ্কার সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিবর্তনগুলোতেও সেটিই

৩ দিন আগে