কাশ্মিরে পর্যটক হত্যাকাণ্ড ‘সাজানো’ ঘটনা : পাকিস্তান

ডেস্ক, রাজনীতি ডটকম
প্রকাশ: ২৫ এপ্রিল ২০২৫, ১১: ৫৮
পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ। ফাইল ছবি

ভারত-শাসিত কাশ্মিরে বন্দুকধারীদের হামলার পর পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি হয়েছে। কাশ্মিরের এই হামলায় ২৬ জন নিহত হয়েছেন এবং এই ঘটনায় পাকিস্তানের দিকেই অভিযোগের আঙুল তুলেছে ভারত।

তবে কাশ্মিরের এই হামলাকে ‘সাজানো’ ঘটনা বলে দাবি করেছে পাকিস্তান। অবশ্য এই দাবির পক্ষে কোনও প্রমাণ সামনে আনেনি দক্ষিণ এশিয়ার পারমাণবিক অস্ত্রধারী এই দেশটি। শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

সংবাদমাধ্যমটি বলছে, পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ আল জাজিরাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ভারত-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মিরে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া পর্যটক হত্যাকাণ্ড ছিল “পরিকল্পিত একটি ঘটনা”।

তার ভাষায়, “আমরা অত্যন্ত দৃঢ়ভাবে সন্দেহ করি, এটি একটি ফলস ফ্ল্যাগ অপারেশন—অর্থাৎ নিজেরাই ঘটিয়ে অন্যের ওপর দোষ চাপানোর চেষ্টা”। তবে তিনি এই দাবির পক্ষে কোনও প্রমাণ উপস্থাপন করেননি।

আসিফ আরও বলেন, ভারত-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মিরে সক্রিয় কোনও সশস্ত্র গোষ্ঠীর সঙ্গে পাকিস্তানের কোনও ধরনের সংযোগ নেই। তিনি বলেন, “কাশ্মিরে যা ঘটছে বা কাশ্মিরি কোনও আন্দোলনের সঙ্গে আমাদের কোনও সম্পর্ক নেই। আমরা একেবারেই কোনও সশস্ত্র গোষ্ঠীর সঙ্গে জড়িত নই।”

পাকিস্তানের এই প্রতিরক্ষামন্ত্রী ভারত সরকারের দাবি স্পষ্টভাবে প্রত্যাখ্যান করে বলেন, “ভারত সরকার যে অভিযোগ করছে, আমি তা জোরালোভাবে নাকচ করছি।”

এর আগে পাকিস্তানের উপ-প্রধানমন্ত্রী ইসহাক দার দেশটি একটি বেসরকারি চ্যানেলে বলেন, “ভারতের নেওয়া পদক্ষেপগুলো শিশুসুলভ এবং এতে গুরুত্বের অভাব রয়েছে।”

তিনি আরও বলেন, “ভারত প্রতিটি ঘটনার জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করে এবং অতীতের মতো এবারও পাকিস্তানকে দোষারোপ করার চেষ্টা করা হয়েছে। আমরা বৈঠকে ভারতকে যোগ্য জবাব দেব, এই জবাব কম হবে না।”

উল্লেখ্য, কাশ্মিরের ভারত-শাসিত অঞ্চলে ১৯৮৯ সাল থেকে ভারতীয় শাসনের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ চলছে। বহু কাশ্মিরি মুসলিম বিদ্রোহীদের সমর্থন করেন এবং তারা চায়, অঞ্চলটি হয় পাকিস্তানে যোগ দিক অথবা স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করুক।

ভারত দাবি করে থাকে, এটি পাকিস্তান-প্রভাবিত “সন্ত্রাসবাদ”। অন্যদিকে পাকিস্তান বলে— এটি একটি বৈধ স্বাধীনতাকামী আন্দোলন। দীর্ঘ সংঘাতে হাজার হাজার বেসামরিক নাগরিক, বিদ্রোহী এবং নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য নিহত হয়েছেন।

ad
ad

বিশ্ব রাজনীতি থেকে আরও পড়ুন

তেহরানের আকাশে পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার দাবি ইসরায়েলের

ইসরাইলি সেনাবাহিনী দাবি করেছে, তারা ইরানের রাজধানী তেহরানের আকাশে পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেছে। সেনাবাহিনীর মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এফি ডেফরিন বলেন, আমরা তেহরানের আকাশ পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে নিয়েছি। ইরানের এক-তৃতীয়াংশ ক্ষেপণাস্ত্র লঞ্চার ধ্বংস করে দিয়েছি। খবর বিবিসির।

৬ ঘণ্টা আগে

ইরান-ইসরায়েল দ্বন্দ্ব: উভই পক্ষের সঙ্গেই সম্পর্ক রাখতে চায় ভারত

ইসরায়েলের সাম্প্রতিক হামলায় ইরানে অন্তত ২২৪ জন নিহত হয়েছেন। এদের মধ্যে দেশটির বিজ্ঞানী ও সামরিক কর্মকর্তারাও রয়েছেন। জবাবে ইরান ইসরায়েলের ওপর ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। এতে ইসরায়েলেও হতাহতের ঘটনা ঘটে।

৮ ঘণ্টা আগে

‘হাত ধরে একসঙ্গে দাঁড়ানোর’ আহ্বান জানান ইরানের প্রেসিডেন্ট

ন্যায়বিচার চাওয়াকে জনগণের অধিকার হিসেবে উল্লেখ করে পেজেশকিয়ান বলেন, ‘এই আগ্রাসনের মুখে আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। ন্যায়বিচার চাওয়াটা আমাদের জাতির অধিকার। আমরা আমাদের অবস্থানে অটল থাকব।’

১০ ঘণ্টা আগে

ইসরায়েলি বাহিনী শখ করে শিশু হত্যা করছে

ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অভিযোগ করেছে, ইসরায়েলের সাম্প্রতিক হামলায় দেশটির অসংখ্য শিশু নিহত হয়েছে। হামলার লক্ষ্য ছিল তেহরানের হাকিম শিশু হাসপাতালও।

১০ ঘণ্টা আগে