ডেস্ক, রাজনীতি ডটকম
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার দ্বিতীয় মেয়াদে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য-সম্পর্কিত সম্ভবত সবচেয়ে ফলপ্রসূ পদক্ষেপ নিয়েছেন। পারস্পারিক শুল্কের আহ্বান জানিয়ে একটি স্মারকলিপিতে স্বাক্ষর করেন ট্রাম্প। তিনি ওভাল অফিসে সাংবাদিকদের একটি গ্রুপকে বলেন, ‘আপনি যদি যুক্তরাষ্ট্রে আপনার পণ্য তৈরি করেন তাহলে কোনো শুল্ক আরোপ করা হবে না।’
এর লক্ষ্য হলো আমেরিকার বাজেট ঘাটতি কমিয়ে আনা। এই ঘাটতি আনুমানিক ২ ট্রিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে হোয়াইট হাউসে স্বাগত জানানোর কয়েক ঘণ্টা আগে ট্রাম্প এই পদক্ষেপ নেন।
ট্রাম্প দ্বিতীয় বার ক্ষমতায় আসার পর এই প্রথম মোদী আমেরিকায় গেলেন। তাঁর সফরের দিকে নজর ছিল সকলের। অবৈধবাসী ভারতীয়দের দেশে ফেরানো, ট্রাম্পের নতুন শুল্কনীতিতে ভারতের উপর প্রভাব নিয়ে কী আলোচনা হয় সেই দিকে নজর ছিল। অনেক কিছু নিয়ে আলোচনা হলেও ট্রাম্প-মোদীর বৈঠকে অধরা থেকেই গেল শুল্ক-সমাধান।
তবে কি দুই নেতার মধ্যে শুল্কনীতি নিয়ে আলোচনা হয়নি? ট্রাম্প জানিয়েছেন, আমেরিকা থেকে ভারতে আমদানিকৃত পণ্যে শুল্ক কমানো, আরও বেশি করে যুক্তরাষ্ট্র থেকে খনিজ তেল এবং সামরিক বিমান কেনার বিষয়ে মোদীর সঙ্গে আলোচনা হয়েছে তাঁর। শুল্ক সংক্রান্ত আলোচনায় মোদীর প্রশংসা করে ট্রাম্প বলেছেন, ‘উনি আমার চেয়ে আরও কঠিন এবং ভালো মধ্যস্থতাকারী। এই নিয়ে (আমাদের মধ্যে) প্রতিযোগিতা চলতে পারে না।’
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এক সংবাদ সম্মেলনে মোদীকে পাশে নিয়ে ট্রাম্প বলেন, তিনি ভারতের কাছে এফ-৩৫ স্টেলথ যুদ্ধবিমান বিক্রির পথ প্রশস্ত করবেন। তিনি আরও বলেন, উভয় নেতা ভারতের সাথে আমেরিকার প্রায় ৫০ বিলিয়ন ডলারের বাণিজ্য ঘাটতি হ্রাস করার জন্য শুল্ক হ্রাস করার ক্ষেত্রে কাজ করবেন।
নরেন্দ্র মোদী বলেন, তিনি এবং ট্রাম্প ২০৩০ সালের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য দ্বিগুণের বেশি করে ৫০০ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছেন। আমাদের টিম খুব শীঘ্রই পারস্পরিক লাভজনক একটি বাণিজ্য চুক্তি সম্পাদনে কাজ করবে। পারস্পরিক শুল্ক সম্পর্কে এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প নিশ্চিত করেছেন, ভারতও এই পদক্ষেপের অধীনে পড়বে।
ভারতের সঙ্গে ‘অপূর্ব’ বাণিজ্যচুক্তি
ভারতের সঙ্গে ‘অপূর্ব’ বাণিজ্যচুক্তির পথে আমেরিকা। বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের পর যৌথ বিবৃতিতে এমনটাই জানিয়েছেন ট্রাম্প। বাণিজ্যচুক্তির রূপরেখা জানিয়ে ট্রাম্প বলেছেন, “আমরা (ভারত এবং আমেরিকা) ইতিহাসের অন্যতম সেরা বাণিজ্যপথ ধরে কাজ করতে সম্মত হয়েছি। এই বাণিজ্যপথ ভারত থেকে শুরু হয়ে ইজ়রায়েল হয়ে, ইটালিকে ছুঁয়ে আমেরিকায় আসবে।” সড়ক, রেল এবং সমুদ্রগর্ভস্থ পথে চলা এই বাণিজ্য দুই দেশের সহযোগী দেশগুলিকেও ছুঁয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন ট্রাম্প। এর পাশাপাশি আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন, দুই দেশের মধ্যে যে বাণিজ্যঘাটতি রয়েছে, তা মেটাতে দু’পক্ষই দ্রুত আলোচনা শুরু করবে।
সমরাস্ত্র বিক্রি বাড়াবে যুক্তরাষ্ট্র
২৬/১১ হামলার চক্রীকে ভারতে ফেরানো ছাড়াও নয়াদিল্লির হাতে অত্যাধুনিক এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান তুলে দেওয়ার ঘোষণাও করেছেন ট্রাম্প। যৌথ সাংবাদিক বৈঠকে মোদীকে পাশে নিয়েই ট্রাম্প জানান, ভারতকে সমরাস্ত্র বিক্রির পরিমাণ বৃদ্ধি করবে আমেরিকা। মার্কিন প্রেসিডেন্ট গত জানুয়ারিতেই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন যে, ভারতের সঙ্গে প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত বিষয়ে বড় কিছু পদক্ষেপ করতে চলেছেন তিনি। একই সঙ্গে এটাও জানিয়েছিলেন যে, ভারতকে তাঁর দেশ আরও বেশি প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম বিক্রি করতে প্রস্তুত। বৃহস্পতিবারের বৈঠকে সেই বিষয়টিতে সবুজ সঙ্কেত দিলেন ট্রাম্প।
শুধু এফ ৩৫ যুদ্ধবিমান নয়, ভারতকে ট্যাঙ্করোধী ক্ষেপণাস্ত্র জ্যাভেলিন দেওয়ার বিষয়েও আলোচনা হয়েছে দুই রাষ্ট্রপ্রধানের মধ্যে। এ ছাড়াও সি১৩০জে সুপার হারকিউলিস, সি-১৭ গ্লোবমাস্টার থ্রি, পি-৮১ পোসাইডন বিমান, সিএইচ-৪৭এফ চিনুক, এমএইচ-৬০আর সিহকস, এএইচ-৬৪ই অ্যাপাচে, হারপুন ক্ষেপণাস্ত্র, এম ৭৭৭ হাউৎজ়ার এবং এমকিউ-৯বি মতো সামরিক সরঞ্জাম নিয়েও দু’দেশের মধ্যে কথা হয়েছে।
দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যে তেল-গ্যাসের ওপর গুরুত্ব
দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যে আমেরিকার বাণিজ্যঘাটতি রয়েছে। অর্থাৎ, আমেরিকা থেকে ভারতে রফতানি হওয়া পণ্যের তুলনায় ভারত থেকে সে দেশে রফতানি হওয়া পণ্যের পরিমাণ বেশি। সেই অসামঞ্জস্য ঘোচাতে ভারত আরও বেশি খনিজ তেল আমেরিকা থেকে কেনার আশ্বাস দিয়েছে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন ট্রাম্প। ‘ভারতের স্বার্থেই’ এই অসামঞ্জস্য কাটানো প্রয়োজন বলে জানান ট্রাম্প। দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যে মূলত খনিজ তেল এবং গ্যাসের উপর গুরুত্ব দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
ভারত-চীন সমস্যা ঘিরে মধ্যস্থতার প্রস্তাব
প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় (এলএসি) ভারত-চীন টানাপড়েনের আঁচ পড়েছে মোদী-ট্রাম্পের বৈঠকে। ভারত-চীনের সীমান্ত সমস্যা ঘিরে সংঘাতের শঙ্কা দূর করতে বৃহস্পতিবার মধ্যস্থতার প্রস্তাব দিয়েছিলেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট। যৌথ সাংবাদিক বৈঠকে মোদীকে সম্বোধন করে ট্রাম্প বলেন, ‘‘এ বার আমি ভারতের প্রসঙ্গে আসছি। আমি সীমান্তে সংঘর্ষের আবহ দেখতে পাচ্ছি, যা খারাপ বিষয়। যদি সুযোগ থাকে আমি সাহায্য করতে চাই। কারণ, এটি বন্ধ করা উচিত।’’ কিন্তু ভারত-চিন সমস্যায় আমেরিকার ‘নাক গলানো’ না-পছন্দ ভারতের। বিদেশ মন্ত্রক শুক্রবার নাম না করে আমেরিকার প্রেসিডেন্টের প্রস্তাব কার্যত খারিজ করেছে। সমাজমাধ্যমে বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্রীর তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য— ‘‘যে কোনও প্রতিবেশীর সঙ্গে আমাদের যে সমস্যাই থাকুক না কেন, আমরা সব সময়ই তার সমাধানের জন্য দ্বিপাক্ষিক আলোচনার পন্থা অনুসরণ করেছি।’’ ট্রাম্পের প্রস্তাবের প্রেক্ষিতেই মিস্রীর ওই মন্তব্য বলে মনে করা হচ্ছে। সূত্র : ভয়েস অব আমেরিকা ও আনন্দবাজার
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার দ্বিতীয় মেয়াদে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য-সম্পর্কিত সম্ভবত সবচেয়ে ফলপ্রসূ পদক্ষেপ নিয়েছেন। পারস্পারিক শুল্কের আহ্বান জানিয়ে একটি স্মারকলিপিতে স্বাক্ষর করেন ট্রাম্প। তিনি ওভাল অফিসে সাংবাদিকদের একটি গ্রুপকে বলেন, ‘আপনি যদি যুক্তরাষ্ট্রে আপনার পণ্য তৈরি করেন তাহলে কোনো শুল্ক আরোপ করা হবে না।’
এর লক্ষ্য হলো আমেরিকার বাজেট ঘাটতি কমিয়ে আনা। এই ঘাটতি আনুমানিক ২ ট্রিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে হোয়াইট হাউসে স্বাগত জানানোর কয়েক ঘণ্টা আগে ট্রাম্প এই পদক্ষেপ নেন।
ট্রাম্প দ্বিতীয় বার ক্ষমতায় আসার পর এই প্রথম মোদী আমেরিকায় গেলেন। তাঁর সফরের দিকে নজর ছিল সকলের। অবৈধবাসী ভারতীয়দের দেশে ফেরানো, ট্রাম্পের নতুন শুল্কনীতিতে ভারতের উপর প্রভাব নিয়ে কী আলোচনা হয় সেই দিকে নজর ছিল। অনেক কিছু নিয়ে আলোচনা হলেও ট্রাম্প-মোদীর বৈঠকে অধরা থেকেই গেল শুল্ক-সমাধান।
তবে কি দুই নেতার মধ্যে শুল্কনীতি নিয়ে আলোচনা হয়নি? ট্রাম্প জানিয়েছেন, আমেরিকা থেকে ভারতে আমদানিকৃত পণ্যে শুল্ক কমানো, আরও বেশি করে যুক্তরাষ্ট্র থেকে খনিজ তেল এবং সামরিক বিমান কেনার বিষয়ে মোদীর সঙ্গে আলোচনা হয়েছে তাঁর। শুল্ক সংক্রান্ত আলোচনায় মোদীর প্রশংসা করে ট্রাম্প বলেছেন, ‘উনি আমার চেয়ে আরও কঠিন এবং ভালো মধ্যস্থতাকারী। এই নিয়ে (আমাদের মধ্যে) প্রতিযোগিতা চলতে পারে না।’
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এক সংবাদ সম্মেলনে মোদীকে পাশে নিয়ে ট্রাম্প বলেন, তিনি ভারতের কাছে এফ-৩৫ স্টেলথ যুদ্ধবিমান বিক্রির পথ প্রশস্ত করবেন। তিনি আরও বলেন, উভয় নেতা ভারতের সাথে আমেরিকার প্রায় ৫০ বিলিয়ন ডলারের বাণিজ্য ঘাটতি হ্রাস করার জন্য শুল্ক হ্রাস করার ক্ষেত্রে কাজ করবেন।
নরেন্দ্র মোদী বলেন, তিনি এবং ট্রাম্প ২০৩০ সালের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য দ্বিগুণের বেশি করে ৫০০ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছেন। আমাদের টিম খুব শীঘ্রই পারস্পরিক লাভজনক একটি বাণিজ্য চুক্তি সম্পাদনে কাজ করবে। পারস্পরিক শুল্ক সম্পর্কে এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প নিশ্চিত করেছেন, ভারতও এই পদক্ষেপের অধীনে পড়বে।
ভারতের সঙ্গে ‘অপূর্ব’ বাণিজ্যচুক্তি
ভারতের সঙ্গে ‘অপূর্ব’ বাণিজ্যচুক্তির পথে আমেরিকা। বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের পর যৌথ বিবৃতিতে এমনটাই জানিয়েছেন ট্রাম্প। বাণিজ্যচুক্তির রূপরেখা জানিয়ে ট্রাম্প বলেছেন, “আমরা (ভারত এবং আমেরিকা) ইতিহাসের অন্যতম সেরা বাণিজ্যপথ ধরে কাজ করতে সম্মত হয়েছি। এই বাণিজ্যপথ ভারত থেকে শুরু হয়ে ইজ়রায়েল হয়ে, ইটালিকে ছুঁয়ে আমেরিকায় আসবে।” সড়ক, রেল এবং সমুদ্রগর্ভস্থ পথে চলা এই বাণিজ্য দুই দেশের সহযোগী দেশগুলিকেও ছুঁয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন ট্রাম্প। এর পাশাপাশি আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন, দুই দেশের মধ্যে যে বাণিজ্যঘাটতি রয়েছে, তা মেটাতে দু’পক্ষই দ্রুত আলোচনা শুরু করবে।
সমরাস্ত্র বিক্রি বাড়াবে যুক্তরাষ্ট্র
২৬/১১ হামলার চক্রীকে ভারতে ফেরানো ছাড়াও নয়াদিল্লির হাতে অত্যাধুনিক এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান তুলে দেওয়ার ঘোষণাও করেছেন ট্রাম্প। যৌথ সাংবাদিক বৈঠকে মোদীকে পাশে নিয়েই ট্রাম্প জানান, ভারতকে সমরাস্ত্র বিক্রির পরিমাণ বৃদ্ধি করবে আমেরিকা। মার্কিন প্রেসিডেন্ট গত জানুয়ারিতেই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন যে, ভারতের সঙ্গে প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত বিষয়ে বড় কিছু পদক্ষেপ করতে চলেছেন তিনি। একই সঙ্গে এটাও জানিয়েছিলেন যে, ভারতকে তাঁর দেশ আরও বেশি প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম বিক্রি করতে প্রস্তুত। বৃহস্পতিবারের বৈঠকে সেই বিষয়টিতে সবুজ সঙ্কেত দিলেন ট্রাম্প।
শুধু এফ ৩৫ যুদ্ধবিমান নয়, ভারতকে ট্যাঙ্করোধী ক্ষেপণাস্ত্র জ্যাভেলিন দেওয়ার বিষয়েও আলোচনা হয়েছে দুই রাষ্ট্রপ্রধানের মধ্যে। এ ছাড়াও সি১৩০জে সুপার হারকিউলিস, সি-১৭ গ্লোবমাস্টার থ্রি, পি-৮১ পোসাইডন বিমান, সিএইচ-৪৭এফ চিনুক, এমএইচ-৬০আর সিহকস, এএইচ-৬৪ই অ্যাপাচে, হারপুন ক্ষেপণাস্ত্র, এম ৭৭৭ হাউৎজ়ার এবং এমকিউ-৯বি মতো সামরিক সরঞ্জাম নিয়েও দু’দেশের মধ্যে কথা হয়েছে।
দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যে তেল-গ্যাসের ওপর গুরুত্ব
দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যে আমেরিকার বাণিজ্যঘাটতি রয়েছে। অর্থাৎ, আমেরিকা থেকে ভারতে রফতানি হওয়া পণ্যের তুলনায় ভারত থেকে সে দেশে রফতানি হওয়া পণ্যের পরিমাণ বেশি। সেই অসামঞ্জস্য ঘোচাতে ভারত আরও বেশি খনিজ তেল আমেরিকা থেকে কেনার আশ্বাস দিয়েছে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন ট্রাম্প। ‘ভারতের স্বার্থেই’ এই অসামঞ্জস্য কাটানো প্রয়োজন বলে জানান ট্রাম্প। দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যে মূলত খনিজ তেল এবং গ্যাসের উপর গুরুত্ব দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
ভারত-চীন সমস্যা ঘিরে মধ্যস্থতার প্রস্তাব
প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় (এলএসি) ভারত-চীন টানাপড়েনের আঁচ পড়েছে মোদী-ট্রাম্পের বৈঠকে। ভারত-চীনের সীমান্ত সমস্যা ঘিরে সংঘাতের শঙ্কা দূর করতে বৃহস্পতিবার মধ্যস্থতার প্রস্তাব দিয়েছিলেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট। যৌথ সাংবাদিক বৈঠকে মোদীকে সম্বোধন করে ট্রাম্প বলেন, ‘‘এ বার আমি ভারতের প্রসঙ্গে আসছি। আমি সীমান্তে সংঘর্ষের আবহ দেখতে পাচ্ছি, যা খারাপ বিষয়। যদি সুযোগ থাকে আমি সাহায্য করতে চাই। কারণ, এটি বন্ধ করা উচিত।’’ কিন্তু ভারত-চিন সমস্যায় আমেরিকার ‘নাক গলানো’ না-পছন্দ ভারতের। বিদেশ মন্ত্রক শুক্রবার নাম না করে আমেরিকার প্রেসিডেন্টের প্রস্তাব কার্যত খারিজ করেছে। সমাজমাধ্যমে বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্রীর তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য— ‘‘যে কোনও প্রতিবেশীর সঙ্গে আমাদের যে সমস্যাই থাকুক না কেন, আমরা সব সময়ই তার সমাধানের জন্য দ্বিপাক্ষিক আলোচনার পন্থা অনুসরণ করেছি।’’ ট্রাম্পের প্রস্তাবের প্রেক্ষিতেই মিস্রীর ওই মন্তব্য বলে মনে করা হচ্ছে। সূত্র : ভয়েস অব আমেরিকা ও আনন্দবাজার
বিবিসি জানায়, ট্রাম্প প্রশাসনের কঠোর অভিবাসননীতি ও আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের ওপর নজরদারির অংশ হিসেবেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। যদিও ‘সন্ত্রাসবাদে সহায়তা’ বলতে কী বোঝানো হয়েছে তা পরিষ্কার করেনি স্টেট ডিপার্টমেন্ট।
১৩ ঘণ্টা আগেগাজায় উদ্ধার প্রচেষ্টা মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। অনেক ভুক্তভোগী এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়ে আছেন অথবা রাস্তায় পড়ে আছেন তবে ইসরায়েলি বোমাবর্ষণ এবং সরঞ্জামের অভাবে জরুরি দল তাদের কাছে পৌঁছাতে পারছে না।
১৩ ঘণ্টা আগেএ বৈঠকের দিন-তারিখ নিয়ে অবশ্য কোনো তরহ্য মেলেনি। নির্ধারণ হয়নি বৈঠকের স্থানও। তবে জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রিডরিশ মের্ৎস আভাস দিয়েছেন, সপ্তাহ দুয়েকের মধ্যেই ত্রিপাক্ষিক বৈঠকটি হতে পারে।
১৫ ঘণ্টা আগেবৈঠকের আগে মার্কিন প্রেসিডেন্টের কার্যালয় ওভাল অফিসে সাংবাদিকদের ট্রাম্প বলেছেন, যুদ্ধ বন্ধে অনেক অগ্রগতি হচ্ছে। এ সময় জেলেনস্কি বলেন, কূটনৈতিকভাবে যুদ্ধ বন্ধে মার্কিন প্রেসিডেন্টের পরিকল্পনায় ইউক্রেনের সমর্থন আছে।
১ দিন আগে