top ad image
top ad image
home iconarrow iconফিচার

সাহিত্য

টোয়েন ও কবরবাসী

টোয়েন ও কবরবাসী
মার্ক টোয়েন

মার্কিন লেখক মার্ক টোয়েনও একবার পড়েছিলেন চাঁদাপ্রার্থীদের খপ্পরে। তবে জোরজুলুম করে চাঁদা তাঁরা নিতে আসেননি। তবু টোয়েনকে কারণ দর্শাতে হয়েছিল, ভদ্রভাবে।

মার্ক টোয়েনের সেন্স অব হিউমার ছিল দারুণ। বুদ্ধি ও রসিকতার ফাঁদে ফেলে অন্যদের বোকা বানানোর কায়দাটা ভালোই জানতেন তিনি। তাই চাঁদাবাজদের ট্রিট করতেও অসুবিধা হয়নি।

একদিন একদল লোক এলেন মার্ক টোয়েনের কাছে, চাঁদা চাইতে।

চাঁদা প্রার্থনার কারণ জানতে চাইলেন টোয়েন।

চাঁদাপ্রার্থীরা জানালেন, কাছের এক কবরস্থানের পাকা দেয়াল ভেঙে গেছে। ওটা সারানোর জন্য অর্থ দরকার। সেই অর্থ তাঁরা জোগাড় করছেন চাঁদা তুলে।

কিন্তু টোয়েনের কারণটা পছন্দ হলো না।

তাই বললেন, ‘দুঃখিত, আমি আপনাদের কোনো সহযোগিতা করতে পারছি না। এই কারণে চাঁদা দেওয়া অর্থহীন মনে হচ্ছে আমার কাছে।’

কেন অর্থহীন মনে হচ্ছে, জানতে চাইলেন চাঁদা প্রার্থীরা।

‘আপনারা যে কাজের জন্য চাঁদা চাইতে এসেছেন, সেটা জরুরি কোনো ব্যাপার নয়,’ টোয়েন জবাবে বললেন, ‘ব্যাপারটা খুব সিম্পল। কোনো কবরসীর সাধ্য নেই কবর থেকে বেরিয়ে ভাঙা পাঁচিল টপকে বাইরে আসার। আবার যারা বাইরে আছেন, যেমন আমি বা আপনারা, আমাদের কারও কবরস্থানে যাওয়ার কোনো দরকার নেই। সত্যি বলতে, কে চায় প্রাণ থাকতে কবরেন যেতে! আপনি-আমি কেউ ওখানকার বাসীন্দা হতে চাই না। সুতরাং ভাঙা পাঁচিল ঠিক করার কোনো মানেই হয় না।’

চাঁদাপ্রার্থীদের বলার কিছু রইল না তখন।

r1 ad
r1 ad