top ad image
top ad image
home iconarrow iconফিচার

সরোজ মেহেদীর ‘মায়াজালে’র মোড়ক উন্মোচন

সরোজ মেহেদীর ‘মায়াজালে’র মোড়ক উন্মোচন

ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশের (ইউল্যাব) মিডিয়া স্টাডিজ অ্যান্ড জার্নালিজম বিভাগের শিক্ষক সরোজ মেহেদীর প্রথম গল্পগ্রন্থ ‘মায়াজালে’র মোড়ক উন্মোচন করা হয়েছে।

শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে কবি, কথাসাহিত্যিক ও বুদ্ধিজীবী অধ্যাপক ড. সুমন রহমান বইটির মোড়ক উন্মোচন করেন। এ সময় তিনি লেখককে শুভেচ্ছা জানিয়ে ‘মায়াজাল’ বইটি পাঠকের মনে জায়গা করে নেবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

অমর একুশে বইমেলার সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে সৃজন প্রকাশনীর সামনে আয়োজিত মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে ইউল্যাবের শিক্ষক এ এফ এম মনিরুজ্জামান শিপু, সৈয়দা সাদিয়া মেহজাবিন, মামুন রশিদ, কবি ও প্রকাশ জুননু রাইন, কথাসাহিত্যক ও প্রাবন্ধিক এ কে এম শামসুদ্দিন, লেখক মইনুল ইসলাম, কবি ও কথাসাহিত্যিক সফিকুল ইসলাম, কথাসাহিত্যিক ফরিদুল ইসলাম নির্জনসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।

জীবনের নানা ঘটনা, দুঃখ-হাসি-কান্না, সমাজে চলা অনিয়ম-অনাচার কখনো মানবিক বোধে, কখনো ব্যাঙ্গাত্মক উপায়ে গল্পে গল্পে তুলে ধরেছেন লেখক। এ বইয়ের গল্পে প্রচলিত শৃঙ্খল ভেঙে দেওয়ার বিদ্রোহের ডাক যেমন দিয়েছেন, আবার শুনিয়েছেন নতুন দিনের আশার কথা।

দেওয়ান আতিকুর রহমানের প্রচ্ছদে সৃজন থেকে প্রকাশিত বইটি বইমেলায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশের ২৮৫ নম্বর স্টলে পাওয়া যাচ্ছে। ১৭০ টাকায় বইটি কিনতে পারবেন পাঠকরা। এ ছাড়া রকমারিসহ বিভিন্ন অনলাইন প্ল্যাটফর্মে বইটি পাওয়া যাবে।

গত বছরের বইমেলায় সরোজ মেহেদীর করোনায় ভারত ভ্রমণ, বসবাস ও বন্দি জীবনের ভাবনা-দর্শনমূলক বই ‘চেনা নগরে অচিন সময়ে’ সময়ে প্রকাশিত হয়, যা পাঠকমহলে ব্যাপক সাড়া জাগায়।

‘মায়াজাল’ বইয়ের গল্পগুলো ২০১১ থেকে ২০২২ সময়ের মধ্যে রচিত, যে সময়ে ভীষণভাবে প্রাণবিক অধিকার ভূলুণ্ঠিত হচ্ছিল। এককেন্দ্রিক শাসনের চূড়ায় এসে এই সমাজকে যেন কিছু না বলার, না দেখার বোবায় ধরেছিল। সে সময়টায় লেখক গুটিকয় তাদের একজন, যারা কলমসহ বিক্রি হয়ে যাননি। ফলে প্রতিটি গল্পের পরতে পরতে সেই সমাজ, শাসনচিত্র, শাসক ও মানসচিত্র ফুটে উঠে। কখনো কথক নিজেকে নিজেই ভর্ৎসনা করেন। কখনো আবার তার জবানীতে সমাজপতিরা উঠে আসে ব্যঙ্গাত্মক উপমায়।

এই বইয়ের গল্পের সঙ্গে অন্য গল্পের পার্থক্য হলো— এ গল্প পাঠককে চিরায়ত আনন্দের সঙ্গে ইতিহাসেরও পাঠ দেয়। এ গল্প পাঠককে এমন এক দুঃসময়ের সাক্ষ্য দেয়, যে সময়টাতে একটা জনপদ অন্ধকারে ঢাকা পড়েছিল।

লেখক সরোজ মেহেদী একাধারে একজন একাডেমিশিয়ান, মিডিয়া বিশ্লেষক, গবেষক ও সাহিত্যিক। তিনি বর্তমানে ইউল্যাবের মিডিয়া স্টাডিজ অ্যান্ড জার্নালিজম বিভাগে লেকচারার হিসেবে কর্মরত। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশসহ দেশের বেশ কয়েকটি পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়িয়েছেন।

সরোজ মেহেদীর ক্যারিয়ার সাংবাদিকতা দিয়ে শুরু হয়েছিল। পরে তুর্কি সরকারের বৃত্তি নিয়ে সাংবাদিকতায় উচ্চতর শিক্ষা নিতে তুরস্কে যান। ইস্তাম্বুল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স ডিগ্রি সম্পন্ন করে দেশে ফিরে এসে শিক্ষকতা শুরু করেন। প্রথম স্নাতক ছিল জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতায়।

সরোজ মেহেদী ইউরোপীয় ইউনিয়নের শিক্ষাবৃত্তি নিয়ে হাঙ্গেরি ও তুরস্ক থেকে ক্রেডিট প্রোগ্রাম সম্পন্ন করেছেন। যুক্তরাজ্যভিত্তিক দেয়ার ওয়ার্ল্ডসহ বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক সংস্থায় কাজ করেছেন। যুক্ত আছেন বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সংস্থা ও সংগঠনের সাথে। ২০১৯ সালে জার্মানি থেকে তুর্কি ভাষায় তার প্রথম বই প্রকাশিত হয়।

r1 ad
r1 ad
top ad image