বিজ্ঞান
বেলের বঞ্ছনা
১৯৬৭ সাল। ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক অ্যান্টোনি হিউয়িশ তাঁর ছাত্রী জসোলিন বেলকে দায়ত্ব দিয়েছিলেন মহাকাশ থেকে আসা বেতার তরঙ্গ শনাক্তের। সেটা করতে গিয়েই এক অদ্ভুত বেতার তরঙ্গের সন্ধান পান তিনি। একটা বেতার সিগন্যাল আসছিল কিছুক্ষণ পর পর। একই তরঙ্গ বারবার। এই আবিষ্কার বেল আর হিউয়িশ একটু রোমাঞ্চিত হয়েছিলেন বোধ হয়। তখন বিশ্বজুড়ে চলছে ভিনগ্রহীদের খোঁজার চেষ্টা। বেল-হিউয়িশ ভেবেছিলেন, ভিনগ্রহীদের সংকেত পেয়েছেন। কিন্তু পরে প্রমাণ হয়, মহাকাশের কোনো এক নিউট্রন তারা থেকে আসছে ওই বেতার সংকেত। বেল-হিউয়িশের নিউট্রন তারা আবিষ্কারে নড়েচড়ে জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা।
বেলের বঞ্ছনা১৯৬৭ সাল। ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক অ্যান্টোনি হিউয়িশ তাঁর ছাত্রী জসোলিন বেলকে দায়ত্ব দিয়েছিলেন মহাকাশ থেকে আসা বেতার তরঙ্গ শনাক্তের। সেটা করতে গিয়েই এক অদ্ভুত বেতার তরঙ্গের সন্ধান পান তিনি। একটা বেতার সিগন্যাল আসছিল কিছুক্ষণ পর পর। একই তরঙ্গ বারবার। এই আবিষ্কার বেল আর হিউয়িশ একটু রোমাঞ্চিত হয়েছিলেন বোধ হয়। তখন বিশ্বজুড়ে চলছে ভিনগ্রহীদের খোঁজার চেষ্টা। বেল-হিউয়িশ ভেবেছিলেন, ভিনগ্রহীদের সংকেত পেয়েছেন। কিন্তু পরে প্রমাণ হয়, মহাকাশের কোনো এক নিউট্রন তারা থেকে আসছে ওই বেতার সংকেত। বেল-হিউয়িশের নিউট্রন তারা আবিষ্কারে নড়েচড়ে জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা।যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক অ্যান্টোনি হিউয়িশ তাঁর ছাত্রী জসোলিন বেলকে দায়ত্ব দিয়েছিলেন মহাকাশ থেকে আসা বেতার তরঙ্গ শনাক্তের। সেটা করতে গিয়েই এক অদ্ভুত বেতার তরঙ্গের সন্ধান পান তিনি। একটা বেতার সিগন্যাল আসছিল কিছুক্ষণ পর পর। একই তরঙ্গ বারবার। এই আবিষ্কার বেল আর হিউয়িশ একটু রোমাঞ্চিত হয়েছিলেন বোধ হয়। তখন বিশ্বজুড়ে চলছে ভিনগ্রহীদের খোঁজার চেষ্টা। বেল-হিউয়িশ ভেবেছিলেন, ভিনগ্রহীদের সংকেত পেয়েছেন। কিন্তু পরে প্রমাণ হয়, মহাকাশের কোনো এক নিউট্রন তারা থেকে আসছে ওই বেতার সংকেত। বেল-হিউয়িশের নিউট্রন তারা আবিষ্কারে নড়েচড়ে জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা।
নিউট্রন নক্ষত্র থেকে দৃশ্যমান আলো বের হয় না বললেই চলে। বের হয় আরো লম্বা তরঙ্গদৈর্ঘ্যের আলোক তরঙ্গ। রেডিও বা বেতার তরঙ্গ। বেতার তরঙ্গ নিয়ে সে সময় গবেষণা করছিলেন এই দুই বিজ্ঞানী। সেটা করতে গিয়েই নিউট্রন তাঁরার সিগন্যাল পান তাঁরা। সূর্য থেকে পৃথিবীতে আলো আসে নিরবচ্ছিন্নভাবে। কিন্তু নিউট্রন তারা থেকে রেডিও তরঙ্গ নিরবচ্ছিন্নভাবে আসে না। আসে ঘুরে ঘুরে। বিমানবন্দরে সার্চলাইট কিংবা ঘুরন্ত টর্চের মতো। ঘুরতে ঘুরতে যখন আলো আমাদের গায়ে এসে পড়বে তখন আমরা দেখতে পাব, নইলে নয়। অর্থাৎ নিউট্রন তারার রেডিও সংকেত পাবো ঝলকে ঝলকে। ঝলকের ইংরেজি হলো ‘পালস’। তাই নিউট্রন তারার নাম দেয়া হলো পালসার। এই হলো পালসার আবিষ্কারের কাহিনী। এই আবিষ্কারের জন্য ১৯৭৪ সালে নোবেল পুরস্কার পান হিউইশ। কিন্তু বেল? তিনি কী দোষ করলেন? প্রথম সিগনালটা তো তিনিই আবিষ্কার করেছিলেন। তিনি কেন বঞ্চিত হলেন নোবেল পুরষ্কার। নারি বলেই কি? এ প্রশ্নের জবাব ইতিহাসে নেই।