বিজ্ঞান-প্রযুক্তি
নিউটনের প্রতিঘাত
বিজ্ঞানী সমাজে নিউটনের তখন বিরাট ক্ষমতা। লন্ডনের রয়াল সোসাইটিতে তার দাপট ছিল। রয়াল অ্যাস্ট্রোনমির তথ্য-উপাত্ত বিভাগে নিযুক্ত ছিলেন ফ্ল্যামস্টিড। নিউটন তার কাছে ব্যক্তিগত গবেষণার জন্য কিছু তথ্য চান।
কিন্তু এসব তথ্য কাউকে দেওয়ার অনুমতি ছিল না। তাই ফ্ল্যামস্টিড সেগুলো দিতে অস্বীকার করেন। এতে নিউটন ভীষণ চটে যান।
বেশ কয়েক বছর পর নিউটন রয়াল মানমন্দির পরিচালনা পর্ষদের সদস্য হন। ফ্ল্যামস্টিডকে আবারও চাপ দেন তথ্য প্রকাশের জন্য। তিনি রাজি হননি। তখন নিউটন ফ্ল্যামস্টিডের ব্যক্তিগত কিছু গষেণাপত্র কেড়ে নেন। তারপর সেগুলো জার্নালে প্রকাশ করেন অ্যাডমন্ড হ্যালির নামে।
হ্যালি ছিলেন ফ্ল্যামস্টিডের জাত শত্রু। ফলে ফ্ল্যামস্টিডও ভীষণ খেপে যান। নিউটনের বিরুদ্ধে গবেষণাপত্র চুরির অভিযোগে মামলা দায়ের করেন। এতে আরো ক্ষুব্ধ হন নিউটন।
‘প্রিন্সিপিয়া ম্যাথমেটিকা’ বইয়ের দ্বিতীয় সংস্করণে যেখানে যেখানে ফ্ল্যামস্টিডের নাম ছিল, সেগুলো সব বাদ দেন।