অর্থাৎ মানুষের মস্তিষ্কে এমন একটা ব্যবস্থা আছে, যার মধ্যে কোনো তথ্য জমা থাকে। মস্তিষ্কের স্মৃতিকোষগুলো তথ্য ধারণ করার কাজ করে। সেই তথ্যই স্মৃতি হিসেবে আমরা বিভিন্ন সময় মনে করতে পারি।
কিন্তু স্মৃতিটা আসলে কী? এগুলো কিভাবেই বা কাজ করে?
স্মৃতি মানে কিন্তু শুধু তথ্য জমা হওয়া নয়। স্মৃতি হলো জমা করা তথ্যকে আবার একই প্রক্রিয়ায় তৈরি করা। অর্থাৎ আমরা যখন কোনো ঘটনা দেখছি, সেগুলো তথ্য হিসেবে স্মৃতি কোষে জমা হয়ে থাকছে। তখন সেসব ঘটনা নিউরণে কিছু প্রতিক্রিয়া তৈরি করে।
এসব প্রতিক্রিয়ার আবার নানা রকমফের। ঘটনা থেকে আসা আলো এক রকম তথ্য দিচ্ছে নিউরনগুলোকে, সেখান থেকে আসা শব্দ কিংবা গন্ধ আবার আলাদা আলাদা প্রতিক্রিয়া তৈরি করছে। তা ছাড়া ঘটনা থেকে আসা বিভিন্ন রঙের আলোকরশ্মি ভিন্ন ভিন্ন প্রতিক্রিয়া দেখায় নিউরনে। তেমনি বিভিন্ন মাত্রার শব্দ কম্পন ভিন্ন ভিন্ন প্রতিক্রিয়া তৈরি করে।
একটা ঘটনা থেকে আসা তথ্যগুলো এত সব প্রতিক্রিয়া তৈরি করে স্মৃতিকোষে।
আমরা যখন সেই ঘটনার কথা মনে করি, তখন সেই তথ্যগুলো একই রকম প্রতিক্রিয়া তৈরি নিউরনে। ফলে পুরো ঘটনার একটা মানসিক ছবি তৈরি হয় মস্তিষ্কে। অনেকটা মূল ঘটনার মতো। অর্থাৎ আগের ঘটনাটিরই একটা কাল্পনিক মডেল তৈরি হয় মগজে। অর্থাৎ পুরো ঘটনাটা আমরা মনশ্চচোখে দেখতে পাই। সেটাই আসলে আমাদের স্মৃতি।
সূত্র :
১. মেমোরি : হাউ দ্য ব্রেইন স্পিনস ইউর লাইফ স্টোরি/ক্রিস্টেন উইয়ার/নিউ সায়েন্টিস্ট
২. হোয়াট ইজ দ্য মেমোরি ক্যাপাসিটি অব দ্য হিউম্যান/পল রেবার/সায়েন্টিফিক অ্যামেরিকান
৩. মস্তিষ্ক/হাসান তারেক চৌধুরী