top ad image
top ad image
home iconarrow iconফিচার

বিজ্ঞান

প্ল্যাংক যুগের মহাবিশ্ব

প্ল্যাংক যুগের মহাবিশ্ব
প্ল্যাংক যুগের মহাবিশ্ব সম্পর্কে খুব বেশি কিছু জানতে পারেননি বিজ্ঞানীরা

বিগ ব্যাং বা মহাবিস্ফোরণের মধ্যদিয়ে মহাবিশ্বের সময়ের জন্ম হয়। মহাবিশ্বের জন্মের পর সেই সময়টাকে বলে প্ল্যাংক যুগ। এই যুগটা কত ছোট সেটার হিসাব দেখে নেওয়া যাক।

এক সেকেন্ড আর কতইবা সময়! একে আমরা কত টুকুরো করতে পারি? ন্যানো সেকেন্ড পিকো, কিংবা অ্যাটো সেকেন্ডের মাপ বিজ্ঞানীরা করেছেন, অত্যন্ত শক্তিশালী ঘড়ির সাহায্যে।

এক সেকেন্ড হলো ১০০ কোটি ন্যনো সেকেন্ডের সমান। পিকো, অ্যাটো আরও ছোট। সেখানে প্ল্যাংক যুগের স্থায়ীত্ব ছিল মাত্র ১০^-৪৩ সেকেন্ড। ১-এর পিঠে ৪৩টা শূন্য বসালে যে বিশাল সংখ্যাটা পাওয়া যাবে, সেটা দিয়ে ভাগ করতে হবে ১ সেকেন্ডে, তাহলেই পাওয়া যাবে সেই ক্ষুদ্র সময়টা। এই খুদে সময়ে মহাবিশ্বের তাপমাত্রা ছিল খুব খুব বেশি। ১০^৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াস৷ অর্থাৎ ১ এর পিঠে ৩২ টা শূন্য দিলে যে বিশাল সংখ্যাটা পাওয়া যাবে, সেটাই ছিল সেই সময়ের তাপমাত্রা। সূর্যের পৃষ্ঠের তাপমাত্রা সাড়ে ৫ হাজার ডিগ্রি সেলসিয়াস। সেই উত্তপ্ত ক্ষুদ্র মহাবিশ্বের আকার ছিল খুব ক্ষুদ্র। মাত্র ১০^-৩৫ মিটার। ১-এর পিঠে ৩৫টা শূন্য বসিয়ে সেই সংখ্যাটা দিয়ে ভাগ করলে যে ক্ষুদ্রতম আকার পাওয়া যাবে, সেটাই আসলে ওই সময়কার মহাবিশ্বের আকার। আর এই মহাবিশ্ব সম্পর্কে খুব বেশি তথ্য জানতে পারেননি। তবে এটুকু নিশ্চিত হওয়া গেছে, এই সময় চারটি মৌলিক বল মহাকর্ষ, বিদ্যুৎচুম্বকীয় বল, সবল ও দুর্বল একসঙ্গে ছিল। এ সময় সবগুলো বলই আসলে সমান শক্তিশালী ছিল। এই প্ল্যাংক যুগের শেষ দিকে এসে মহাকর্ষ বল অন্য তিন বল থেকে আলাদা হয়ে যায়। কেন আলাদা হয়, এ বিষয়েও বিস্তারিত কিছু জানতে পারেননি বিজ্ঞানীরা। বিগ ব্যাংয়ের ১০^-৪৩ সেকেন্ড পর গিয়ে প্ল্যাংক যুগ শেষ হয়ে যায়।

গুরুত্বপূর্ণ তথ্য

ক. ১০১= ০.১

অর্থাৎ ১০^-৪৩ সেকেন্ড =১÷১,০০,০০,০০,০০,০০,০০,০০,০০,০০,০০,০০,০০,০০,০০,০০,০০,০০,০০,০০,০০,০০০

=০.০০০,০০,০০,০০,০০,০০,০০,০০,০০,০০,০০,০০,০০,০০,০০,০০,০০,০০,০১ সেকেন্ড

খ. ১ সেকেন্ড = ১০০ কোটি ন্যানো সেকেন্ড = ১০^-১২ ন্যানো সেকেন্ড = ১০ পিকো সেকেন্ড

গ. বিজ্ঞানীরা পারমাণবিক ঘড়ি ব্যবহার করে অ্যাটোসেকেন্ড পর্যন্ত পরিমাপ পর্যন্ত মাপতে সক্ষম হয়েছেন। ১ সেকেন্ড = ১০^-১৮ সেকেন্ড।

r1 ad
r1 ad