top ad image
top ad image
home iconarrow iconফিচার

ফিচার

লিংকনের রসিকতা

লিংকনের রসিকতা
আব্রাহাম লিংকন

আব্রাহাম লিংকন। যুক্তরাষ্ট্রের ১৬ তম প্রেসিডেন্ট। তিনি শুধু মার্কিন নেতাই নয়, দাসপ্রথা বিলোপে তিনি অগ্রণী ভূমিকা রেখে বিশ্বনেতায় পরিণত হয়েছিলেন।আব্রাহাম লিংকন। যুক্তরাষ্ট্রের ১৬ তম প্রেসিডেন্ট। তিনি শুধু মার্কিন নেতাই নয়, দাসপ্রথা বিলোপে তিনি অগ্রণী ভূমিকা রেখে বিশ্বনেতায় পরিণত হয়েছিলেন।

লিংকন তখন আমেরিকার মসনদে। একদিন এক নারী এলেন তাঁর সঙ্গে দেখা করতে। আসলে সেই নারী এসেছিলেন নিজের ছেলের সুপারিশ নিয়ে। তাঁর ছেলে তখন মার্কিন সেনাবাহিনিতে কর্মরত। কিন্তু সেই ছেলে তখনো কমিশনপ্রাপ্ত হয়নি। ঠিক এ কারণেই তিনি এসেছেন প্রেসিডেন্ডেন্টের সঙ্গে দেখা করতে।

লিংকন জানতে চেইলেন, কী আরজি তাঁর।

সেই নারী জবাবে বললেন, ‘আমার ছেলেকে কমিশন প্রাপ্ত হিসেবে দেখতে চাই। এটা ওর প্রাপ্য।’

লিংকন বললেন, ‘প্রাপ্য কেন, ওর যোগ্যতা কী?’

সেই নারী জবাবে বললেন, ‘আমার পিতামহ কেসিংটনে যুদ্ধ করেছেন বিরত্বের সঙ্গে। আমার চাচাওয় সাহসী যোদ্ধা ছিলেন ব্লাডেনসবার্গে। যুদ্ধের মাঠ তিনি পালিয়ে যাননি।’

একটু থেমে সেই নারী আবার বললেন, ‘আমার দাদা নিউ অরলিয়ান্সেও যুদ্ধ করেছেন। আর এই ছেলের বাবা, মানে আমার স্বামী মন্টেরিরি যুদ্ধে নিহতই হয়েছেন।’

লিংকন তখনো নীরব। সেই নারী বললেন, ‘দেশের জন্য এত ত্যাগ স্বীকার করেছেন যে পরিবারের মানুষগুলো তাঁদের উত্তরাধিকার হিসেবে এই পদ তাঁদের প্রাপ্য।’

নারীর বক্তব্য শেষ হলে লিংকন বললেন, ‘আপনি ঠিকই বলেছেন, আপনাদের গোটা পরিবার দেশের জন্য অনেক থ্যাগ স্বীকার করেছেন, এবার অন্যদের একটু সুযোগ দিন।’

সেই নারীর কাছে এ কথার কোনো জবাব তো ছিলই না, বরং লিংকন আরও যোগ করলেন, ‘আপনার দাদা, চাচা ও স্বামী নিশ্চয়ই চাকরি বা পদোন্নতির জন্য যুদ্ধ করেননি?’

r1 ad
r1 ad