top ad image
top ad image
home iconarrow iconফিচার

বিজ্ঞান

আর্কিমিডিসের মারণ রশ্মি

আর্কিমিডিসের মারণ রশ্মি
আর্কিমিডিস রোমান সৈন্যদের জাহাজ স্রেফ আয়না ব্যবহার করে পুড়িয়ে ফেলেছিলেন বলে কথিত আছে

পদাপর্থবিদ্যার জনক গ্যালিলিওকে বলা হলেও আজ থেকে আড়াই হাজার বছর আগে গ্রিক বিজ্ঞানী আর্কিমিডিস এমনসব কাজ করেছেন, এমন কিছু পরীক্ষা করেছেন, যেগুলো পদার্থবিদ্যার ভিত্তি গড়ে দিয়েছিল। তেমনি কিছু যন্ত্রপাতি তৈরি করেছিলন, যেগুলো বলবিদ্যার অন্যতম ভিত্তি হিসেবে আজও কাজে লাগছে। পুলি-লিভার এগুলোর অন্যতম।

আর্কিমিডিস বাস করতের গ্রিসের সিরাকিউজে। ঘটনাক্রমে সেই দ্বীপ আক্রমণ করে রোমান সৈন্যরা। সিরাকিউজের লোকেরা জানে আর্কমিডিসের মেধার কথা। তারা তাঁকে গিয়ে ধরেন কিছু একটা করার জন্য। আর্কিমিডিস অনেক ভেবে একটা বুদ্ধি বের করেন।

তৈরি করেন একটা জটিল আয়না। সেই আয়না দিয়ে সূর্যর আলো প্রতিফলিত করে শত্রুর জাহাজে আগুন ধরিয়ে দিতেন। এমনি একটা সাধারণ আয়না দিয়ে আগুন ধরানো সম্ভব নয়। সাধারণ আয়না থেকে প্রতিফলিত রশ্মিতে খুব বেশি তাপ তৈরি হয় না।

কিন্তু আর্কিমিডিস জটিল আয়নার তৈরি করেন ৭০টি আয়না পর পর যুক্ত করে তৈরি করেন। প্রতিটা আয়নার আকার ছিল ৫ বাই তিনফুট। এর সঙ্গে সত্তর গুণ করলে আকারটা কত বড় হয় ভেবে দেখেছেন। সুতুরাং এতগুলো আয়না দিয়ে প্রতিফলিত রশ্মির তেজ কম নয়। এ কাহিনির সন্ধান পাওয়া যায় দ্বিতীয় শতকের গ্রিক লেখক লুসিয়ানের লেখা থেকে।

ফরাসী গণিতবিদ রেনে দেকার্ত এ গল্পে বিশ্বাস করতেন না। কিন্তু ১৯৭৩ ও ২০০৫ সালে দুটি পরীক্ষায় এ ধরনের আয়না তৈরি করে আগুন ধরা সক্ষম হন বিজ্ঞানীরা। তাই এ গল্প একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যায় না।

r1 ad
r1 ad