সাহিত্য
টাক্সিচালকের গোয়েন্দাগিরি
গোয়েন্দা গল্পের যারা পোকা, তাদেরও কি ক্ষুরধার মস্তিষ্ক তৈরি হয়? গল্পের গোয়েন্দার মতো পর্যবেক্ষণ ক্ষমতা তৈরি হয়? হয়তো হয়। নইলে সাধারণ একজন লেখক কীভাবে জমজমাট গোয়েন্দা গল্প লিখতে পারেন?
স্যার আর্থার কোনান ডয়েল শার্লকস হোমস লেখার পর, সারাবিশ্বেই জনপ্রিয় হয়ে ওঠে সাহিত্যের এই নতুন ধারা। ডয়েলের পথ অনুসরণ করে বিশ্বের বিভিন্ন ভাষায় কালজয়ী সব গোয়েন্দার জন্ম হয়েছে। লেখকদের ওপরে তো বটেই, শার্লক হোমসের প্রভাব সমাজে কতটা পড়েছিল, তা এক ট্যাক্সিচালকের পর্যবেক্ষণ ক্ষমতার গল্পটা জানলেই কিছুটা আঁচ করা যায়। আর সেই ড্রাইভার খোদ শার্লক হোমসের স্রষ্টা ডয়েলকেই চমকে দিয়েছিলেন।
একবার লন্ডনে, বিখ্যাত স্যার আর্থার কোনান ডয়েল একটি ট্যাক্সিতে উঠে নিজের ঠিকানা বলেন। ট্যাক্সি চালক তাকে নাম ধরে ডেকে বলে, ‘স্যার আর্থার কোনান ডয়েল, আপনি কি প্যারিস থেকে এসেছেন?’
ডয়েল অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করেন, ‘আপনি কিভাবে জানলেন?’
ট্যাক্সি চালক হেসে উত্তর দেয়, ‘আপনার পোশাক, চুলের স্টাইল এবং আপনার সাথে থাকা ব্যাগ - সবকিছুই আমাকে বলে দিয়েছে। আর আপনার মুখের অভিব্যক্তি দেখে বুঝতে পারছি আপনি একজন বিখ্যাত ব্যক্তি। স্যুটকেসে আপনার নাম লেখা আছে।’