১৫ ফেব্রুয়ারি ঐকমত্য কমিশনের প্রথম বৈঠক\n
কমিশনের সদস্য হিসেবে আছেন আরও চার কমিশনের প্রধান। তারা হলেন— জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী, পুলিশ সংস্কার কমিশনের প্রধান সফর রাজ হোসেন, নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. বদিউল আলম মজুমদার ও দুদক সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. ইফতেখারুজ্জামান। এ ছাড়া বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের সদস্য বিচারপতি এমদাদুল হককে এই ঐকমত্য কমিশনের সদস্য করা হয়েছে।
কমিশনের কার্যপরিধি বিষয়ে প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, কমিশন আগামী নির্বাচন (ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন) সামনে রেখে নির্বাচনব্যবস্থা, পুলিশ, বিচার বিভাগ, জনপ্রশাসন, সংবিধান ও দুর্নীতি দমন বিষয়ে সংস্কারের জন্য গঠিত কমিশনগুলোর সুপারিশ বিবেচনা ও গ্রহণের লক্ষ্যে জাতীয় ঐক্যমত্য গঠনের জন্য রাজনৈতিক দল ও শক্তিগুলোর সঙ্গে আলোচনা করবে এবং এ বিষয়ে পদক্ষেপ সুপারিশ করবে।
কমিশনের মেয়াদ হবে কার্যক্রম শুরুর তারিখ থেকে ছয় মাস। প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় এই কমিশনকে সাচিবিক সহায়তা করবে।
এর আগে ১৬ ডিসেম্বর জাতির উদ্দেশে ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠনের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছিলেন। পরে গত ৮ ফেব্রুয়ারি ছয় সংস্কার কমিশনের পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন প্রধান উপদেষ্টার কাছে জমা দেওয়ার পর আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল জানিয়েছিলেন, সাত সদস্যের ঐকমত্য কমিশন গঠন করা হয়েছে।
পরে আরেক ব্রিফিংয়ে আইন উপদেষ্টা বলেন, ১৫ ফেব্রুয়ারি ঐকমত্য কমিশন রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে প্রথম বৈঠক করবে।