বাংলাদেশ পরিস্থিতি নিয়ে ট্রাম্প প্রশাসনে ‘গভীর উদ্বেগ’: মার্কিন গোয়েন্দা প্রধান\n
তুলসী গ্যাবার্ডের এমন মন্তব্যে তীব্র উদ্বেগ জানিয়ে সরকারের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, তার এমন মন্তব্য বিভ্রান্তিকর এবং বাংলাদেশের ভাবমূর্তির জন্য ক্ষতিকর। কারণ বাংলাদেশে ইসলামের যে প্রচলিত চর্চা, তা ঐতিহ্যগতভাবে অন্তর্ভুক্তিমূলক ও শান্তিপূর্ণ। শুধু তাই নয়, বাংলাদেশ চরমপন্থা ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অসামান্য অগ্রগতি অর্জন করেছে।
সরকার বলছে, গ্যাবার্ডের মন্তব্যের পেছনে কোনো সুনির্দিষ্ট তথ্য বা প্রমাণ নেই। তিনি বাংলাদেশকে অযৌক্তিক ও ব্যাপক নেতিবাচকভাবে উপস্থাপন করেছেন। বিশ্বের অনেক দেশের মতোই বাংলাদেশও চরমপন্থার চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছে। কিন্তু এ ধরনের চরমপন্থা প্রতিরোধে বাংলাদেশ সরকার আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়, এমনকি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গেও আইনশৃঙ্খলা রক্ষা, সামাজিক সংস্কার ও অন্যান্য সন্ত্রাসবিরোধী উদ্যোগের মাধ্যমে একযোগে কাজ করে আসছে।
‘বাংলাদেশের অসংখ্য মানুষসহ বিশ্বব্যাপী তাদের বন্ধু ও সহযোগী যারা শান্তি, স্থিতিশীলতা ও অগ্রগতির জন্য কাজ করে যাচ্ছে, বাংলাদেশকে ‘ইসলামি খিলাফত’ ধারণার সাঙ্গে ভিত্তিহীনভাবে যুক্ত করা তাদের কঠোর পরিশ্রমকে অবমূল্যায়ন করার শামিল। দেশকে ‘ইসলামি খিলাফতে’র সঙ্গে এভাবে সম্পর্কিত করার যেকোনো প্রয়াসের তীব্র নিন্দা জানায় বাংলাদেশ,’— বলা হয়েছে সরকারের বিবৃতিতে।
সরকার আরও বলছে, বিশেষ করে অত্যন্ত সংবেদনশীল বিষয়গুলো নিয়ে রাজনৈতিক নেতা ও জননেতাদের মন্তব্য হওয়া উচিত প্রকৃত তথ্যনির্ভর। তাদের সতর্ক থাকা উচিত যেন তাদের বক্তব্য কোনো গঁৎবাঁধা নেতিবাচক ধারণাকে প্রচার না করে, যা অহেতুক ভীতি ছড়ায় এবং এমনকি সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা উসকে দিতে পারে।
চরমপন্থা ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের কঠোর অবস্থান তুলে ধরে সরকার বলছে, চরমপন্থা ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে বৈশ্বিক লড়াইয়ে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার সব রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তার প্রতি সম্মান রেখে তথ্যভিত্তিক ও গঠনমূলক সংলাপ চালিয়ে যেতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।