ধর্ষণবিরোধী পদযাত্রায় পুলিশের লাঠিচার্জ\n
উপদেষ্টা মাহফুজ ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, গত কয়েকদিন পুলিশই নারীবিদ্বেষী ও ধর্ষণের মামলায় আসামিদের গ্রেপ্তার করেছে। পুলিশ সক্রিয় (অ্যাক্টিটভ) হয়েছে বলেই বনানীর ছিনতাইয়ের হামলার আসামিদের গ্রেপ্তার করা গেছে। সেনাবাহিনীর সদস্যরাও মাঠে আছেন। কিন্তু তারাও পুলিশ ছাড়া একা আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করতে পারবেন না। পুলিশ পুরোপুরি সক্রিয় না হলে নাগরিক সেবা ও নিরাপত্তা পাওয়ার ক্ষেত্রে জটিলতা অব্যাহত থাকার সম্ভাবনা রয়ে যায়।
জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের পর পুলিশ নৈতিকভাবে ভেঙে পড়েছিল উল্লেখ করে মাহফুজ লিখেছেন, পুলিশের নৈতিক অবস্থান (মোরাল) একেবারেই ভেঙে পড়েছিল। কিন্তু জনগণের পক্ষে পুলিশিং করতে যতটুকু সংস্কার ও সময় দরকার, তা না থাকলে পুলিশ সেরে উঠতে পারবে না। রাষ্ট্রের অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলোকেও সেরে ওঠার ও সংস্কারের সময় দিতে হবে। এ নিয়ে তাড়াহুড়ার ফল বিরূপ হতে বাধ্য।
সংস্কারে সবার অংশগ্রহণ চেয়ে তিনি বলেন, আর হ্যাঁ, আগামী কয়েকমাসের মধ্যেই স্বল্পমেয়াদি কিছু সংস্কার হবে। আপনারাও কীভাবে নাগরিকবান্ধব পুলিশ গড়ে তোলা যায়, তা নিয়ে স্পষ্ট রূপরেখা নিয়ে আসুন।
ফাঁদে না দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে তথ্য উপদেষ্টা বলেন, ধর্ষণ ও নারী নিপীড়নের বিরুদ্ধে সরকার উদ্যোগ নিয়েছে। আর কী কী উদ্যোগ নেওয়া যায় সেজন্য সরকার আন্তরিক। কিন্তু একটি নাগরিক আন্দোলন যেন অভ্যুত্থানবিরোধী কুচক্রীদের অভয়ারণ্যে পরিণত না হয়, সে দায়িত্ব অভ্যুত্থানের পক্ষশক্তির ওপর বর্তায়। কোনো ফাঁদে পা দেওয়া যাবে না এবং অস্থিতিশীলতা বা মব তৈরির প্রচেষ্টা চলতে দেওয়া যাবে না।
স্ট্যাটাসে মাহফুজ আরও লিখেছেন, সরকার আন্তরিক, উদ্যোগী ও নাগরিকদের দাবি প্রতি সহানুভূতিশীল। কিন্তু মব মানসিকতা থেকে বের হতে না পারলে এবং পুলিশকে কাজ না করতে দেওয়ার শর্ত তৈরি করলে এ সব অস্থিতিশীলতার দায় স্যাবোটেজকারীদের নিতে হবে।
সবাইকে ধৈর্য ধরার আহ্বান জানিয়ে মাহফুজ বলেন, মনে রাখবেন— Justice Hurried, Justice Burried। যথাযথ আইনি প্রক্রিয়ার বাইরে মবের বিচারের মানসিকতা আমাদের পরিত্যাগ করা উচিত। অভ্যুত্থানের সরকারবিরোধী হঠকারী স্লোগান বাদ দিয়ে কার্যকর রূপরেখা নিয়ে সব পক্ষের আলোচনার ভিত্তিতে অগ্রসর হওয়া উচিত। সমাধান সম্ভব।
সবাইকে সচেতন ও সক্রিয় থাকার আহ্বান জানিয়ে তথ্য উপদেষ্টা লিখেছেন, বাংলাদেশ সবার, সব নাগরিকের। নাগরিকের বিরুদ্ধে যেকোনো সহিংসতার বিরুদ্ধে সরকারের অবস্থান। কিন্তু নাগরিক আন্দোলন মব সন্ত্রাস কিংবা মব জাস্টিসের দিকে যাওয়া প্রতিহত করার ক্ষেত্রে সবাইকে সচেতন ও সক্রিয় থাকতে হবে। সরকারবিরোধিতা কোনো ফ্যাশন স্টেটমেন্ট না, কমরেডস! গণঅভ্যুত্থানের সরকারকে নির্বিঘ্নে কাজ করতে দেওয়ার আহবান রইল। সুনির্দিষ্ট রূপরেখা ও আলোচনার ভিত্তিতে সমাধান খুঁজতে হবে।