top ad image
top ad image
home iconarrow iconঘরের রাজনীতি

থাইল্যান্ডে ভিসা প্রক্রিয়া সহজ করার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

থাইল্যান্ডে ভিসা প্রক্রিয়া সহজ করার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার
শুক্রবার বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনের সাইডলাইনে প্রধান উপদেষ্টা ও থাই প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ছবি: প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর

বাংলাদেশিদের জন্য ভিসা প্রক্রিয়া সহজ করতে থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী পেতংতার্ন শিনাওয়াত্রার কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনুস।

তিনি বলেন, ঢাকায় থাই দূতাবাসের সক্ষমতা সীমিত হওয়ায় বাংলাদেশি যারা থাইল্যান্ডে চিকিৎসা নিতে যান, তাদের ভিসা পেতে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। ভিসা প্রক্রিয়া সহজ হলে বাংলাদেশিরা সহজে থাইল্যান্ডে চিকিৎসা নিতে পারবে।

শুক্রবার (৪ এপ্রিল) থাইল্যান্ডের ব্যাংককে অনুষ্ঠিত বিমসটেক সম্মেলনের সাইডলাইনে অনুষ্ঠিত দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা এ বিষয়ে থাই প্রধানমন্ত্রীর কামনা করেন। পরে থাই প্রধানমন্ত্রী আশ্বস্ত করেন, বিষয়টি তিনি গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করবেন।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশের অনেক মানুষ থাইল্যান্ডে যেতে আগ্রহী। কিন্তু ঢাকায় থাই দূতাবাসের সক্ষমতা অনেক কম। এ কারণে অনেক আবেদনকারীর ভিসা প্রক্রিয়ায় দীর্ঘসূত্রতা তৈরি হচ্ছে। এতে বাংলাদেশি নাগরিকদের দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হচ্ছে।

বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য, নৌ ও সামুদ্রিক সম্পর্ক এবং বিমান সংযোগ সম্প্রসারণের আহ্বান জানান প্রধান উপদেষ্টা। তিনি বলেন, চট্টগ্রাম থেকে ফ্লাইট চালু করা গেলে বাংলাদেশ-থাইল্যান্ড ভ্রমণ সময় অনেকটাই কমে আসবে।

প্রধান উপদেষ্টা স্মরণ করিয়ে দেন, এক দশকেরও বেশি সময় আগে এয়ার এশিয়া যখন চট্টগ্রাম ও থাইল্যান্ডের পর্যটন শহর চিয়াং মাইয়ের মধ্যে ফ্লাইট চালু করেছিল, তখন তার প্রভাব অনেক ইতিবাচক ছিল।

থাই প্রধানমন্ত্রী অধ্যাপক ইউনুসকে বিমসটেকের সভাপতির দায়িত্ব নেওয়ায় অভিনন্দন জানান এবং বলেন, তার নেতৃত্বে এ আঞ্চলিক জোটে নতুন গতি আসবে।

বৈঠকের শুরুতেই অধ্যাপক ইউনুস বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের মধ্যে দীর্ঘদিনের চমৎকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের কথা তুলে ধরেন। তিনি প্রয়াত থাই রাজা ভূমিবলের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। ১৯৭২ সালে বাংলাদেশকে স্বাধীন দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দিতে রাজা ভূমিবল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন।

আলোচনায় বিনিয়োগ প্রসঙ্গও উঠে আসে। এ সময় অধ্যাপক ইউনুস থাই কোম্পানিগুলোকে ঢাকায় আগামী সপ্তাহে অনুষ্ঠেয় বিনিয়োগ সম্মেলনে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানান।

দুই দেশের মধ্যে রেল, সড়ক, সামুদ্রিক ও আকাশপথে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের ওপরও গুরুত্বারোপ করেন অধ্যাপক ইউনূস। বলেন, এগুলো দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বাড়াতে সহায়ক হবে। পরিস্থিতি অনুকূলে এলে থাইল্যান্ড-ভারত-মিয়ানমার ত্রিদেশীয় মহাসড়ক প্রকল্পে অংশ নিতেও আগ্রহী বাংলাদেশ।

অধ্যাপক ইউনুস প্রস্তাব দেন, দুই দেশ যেন একটি যৌথ সম্ভাব্যতা সমীক্ষা শুরু করে, যার মাধ্যমে দ্বিপাক্ষিক মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) নিয়ে আনুষ্ঠানিক আলোচনা দ্রুত শুরু করা যায়।

r1 ad
top ad image