১ লাখ ৮০ হাজার রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের জন্য যোগ্য: মিয়ানমার\n
বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য, নৌ ও সামুদ্রিক সম্পর্ক এবং বিমান সংযোগ সম্প্রসারণের আহ্বান জানান প্রধান উপদেষ্টা। তিনি বলেন, চট্টগ্রাম থেকে ফ্লাইট চালু করা গেলে বাংলাদেশ-থাইল্যান্ড ভ্রমণ সময় অনেকটাই কমে আসবে।
প্রধান উপদেষ্টা স্মরণ করিয়ে দেন, এক দশকেরও বেশি সময় আগে এয়ার এশিয়া যখন চট্টগ্রাম ও থাইল্যান্ডের পর্যটন শহর চিয়াং মাইয়ের মধ্যে ফ্লাইট চালু করেছিল, তখন তার প্রভাব অনেক ইতিবাচক ছিল।
থাই প্রধানমন্ত্রী অধ্যাপক ইউনুসকে বিমসটেকের সভাপতির দায়িত্ব নেওয়ায় অভিনন্দন জানান এবং বলেন, তার নেতৃত্বে এ আঞ্চলিক জোটে নতুন গতি আসবে।
বৈঠকের শুরুতেই অধ্যাপক ইউনুস বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের মধ্যে দীর্ঘদিনের চমৎকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের কথা তুলে ধরেন। তিনি প্রয়াত থাই রাজা ভূমিবলের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। ১৯৭২ সালে বাংলাদেশকে স্বাধীন দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দিতে রাজা ভূমিবল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন।
আলোচনায় বিনিয়োগ প্রসঙ্গও উঠে আসে। এ সময় অধ্যাপক ইউনুস থাই কোম্পানিগুলোকে ঢাকায় আগামী সপ্তাহে অনুষ্ঠেয় বিনিয়োগ সম্মেলনে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানান।
দুই দেশের মধ্যে রেল, সড়ক, সামুদ্রিক ও আকাশপথে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের ওপরও গুরুত্বারোপ করেন অধ্যাপক ইউনূস। বলেন, এগুলো দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বাড়াতে সহায়ক হবে। পরিস্থিতি অনুকূলে এলে থাইল্যান্ড-ভারত-মিয়ানমার ত্রিদেশীয় মহাসড়ক প্রকল্পে অংশ নিতেও আগ্রহী বাংলাদেশ।
অধ্যাপক ইউনুস প্রস্তাব দেন, দুই দেশ যেন একটি যৌথ সম্ভাব্যতা সমীক্ষা শুরু করে, যার মাধ্যমে দ্বিপাক্ষিক মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) নিয়ে আনুষ্ঠানিক আলোচনা দ্রুত শুরু করা যায়।