দুর্নীতি রুখতে বাংলাদেশ-থাইল্যান্ড সমঝোতা স্মারক সই\n
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, দীর্ঘস্থায়ী রোহিঙ্গা সংকটের যদি মীমাংসা না হয়, তাহলে গোটা অঞ্চলে অস্থিতিশীলতা তৈরির আশঙ্গা রয়েছে। অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব, বিশেষ করে রাখাইনের বিরোধপূর্ণ পক্ষগুলোর মধ্যে সমাধানের জন্য সংলাপ চালাতে পারে বিমসটেক।
মিয়ানমারকে আরও সক্রিয় পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বানও জানান অধ্যাপক ইউনূস। বলেন, মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে স্থায়ীভাবে প্রত্যাবর্তনের জন্য একটি উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করতে রাখাইনে স্থিতিশীলতা প্রয়োজন। তার জন্য মিয়ানমারের আরও দৃশ্যমান পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।
রোহিঙ্গাদের নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্মেলনে সবাইকে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণের আহ্বান জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশ ২০২৫ সালের সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘের পৃষ্ঠপোষকতায় ‘রোহিঙ্গা মুসলিম এবং অন্যান্য সংখ্যালঘুদের পরিস্থিতি সম্পর্কিত উচ্চ পর্যায়ের সম্মেলনে’ বিমসটেক সদস্য দেশগুলোর অর্থপূর্ণ অংশগ্রহণকে উৎসাহিত করে। বাংলাদেশ বিমসটেক সদস্য দেশগুলোর কাছ থেকে এই সম্মেলনে উচ্চ পর্যায়ের রাজনৈতিক অংশগ্রহণ প্রত্যাশা করছে।
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেসের অবস্থান তুলে ধরেন অধ্যাপক ইউনূস বলেন, জাতিসংঘ মহাসচিব গত ১৩ থেকে ১৬ মার্চ বাংলাদেশে একটি ঐতিহাসিক সফর করেছেন। রোহিঙ্গাদের মর্যাদা ও নিরাপত্তার সঙ্গে মিয়ানমারে ফিরে যাওয়ার অধিকারের প্রতি সম্পূর্ণ সংহতি প্রকাশ করেছেন তিনি।
থাই প্রধানমন্ত্রী ও বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনের চেয়ারপারসন পায়োংতার্ন সিনাওয়াত্রা, বিমসটেক মহাসচিব রাষ্ট্রদূত ইন্দ্র মণি পান্ডে ও বিমসটেক সদস্য দেশগুলোর বিশিষ্ট প্রতিনিধি দলের প্রধানরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।