top ad image
top ad image
home iconarrow iconঘরের রাজনীতি

‘জাতিসংঘের প্রতিবেদনের পর শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে দিতে ভারতের ওপর চাপ বেড়েছে’

‘জাতিসংঘের প্রতিবেদনের পর শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে দিতে ভারতের ওপর চাপ বেড়েছে’
মঙ্গলবার ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সমসাময়িক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। ছবি: পিআইডি

জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত গণহত্যাসহ বিভিন্ন অপরাধের তদন্ত করে জাতিসংঘের দেওয়া প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার পর শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য ভারতের ওপর বিভিন্ন মহল থেকে চাপ বাড়ছে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। এক জরিপের বরাত দিয়ে তিনি জানান, এমনকি ভারতের নাগরিকদের পক্ষ থেকেও এই চাপ বাড়ছে।

মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন প্রেস সচিব। তিনি যে প্রতিবেদনের কথা বলেছেন জাতিসংঘের ওই প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, শেখ হাসিনা নিজেই হত্যাসহ নানা অপরাধের নির্দেশ দিয়েছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ সংশ্লিষ্টদের।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর ভারতে গিয়ে আশ্রয় নেন শেখ হাসিনা। গত সাড়ে ছয় মাস ধরেই দেশটিতেই রয়েছেন তিনি। এর মধ্যে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্দোলনের সময় গণহত্যাসহ মানবতাবিরোধী অভিযোগ দায়ের হয়েছে। এসব মামলার বিচারিক কার্যক্রম চলছে।

এ পরিস্থিতিতে ভারতকে আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশ জানিয়েছে, শেখ হাসিনাকে যেন ফিরিয়ে দেওয়া হয়। শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণের জন্য নথিপত্রও দেওয়া হয়েছে ভারতকে। তবে এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে ভারত সরকার কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি।

প্রেস সচিব বলেন, কিছু দিন আগে জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের যে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে, তাতে স্পষ্ট যে তিনি (শেখ হাসিনা) কী ধরনের অপরাধ (শেখ হাসিনা) করেছেন। তাকে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযুক্ত করা হয়েছে। এটি বড় ধরনের অপরাধ। এই প্রতিবেদনের পর শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে দেওয়ার ব্যাপারে ভারতের ওপর চাপ বাড়ছে।

ভারতের জনগণের ওপর পরিচালিত এক জরিপের তথ্য জানিয়ে শফিকুল আলম বলেন, এই চাপের একটি নমুনা হলো ইন্ডিয়া টুডের একটি জরিপ। সেখানে দেখা গেছে, ভারতের ৫৫ শতাংশ মানুষ চায় যে শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হোক। মাত্র ১৬-১৭ শতাংশ মানুষ চায় শেখ হাসিনাকে ভারতে রাখতে। কাজেই শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে এনে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো সরকারের প্রধান লক্ষ্যগুলোর মধ্যে অন্যতম।

আওয়ামী লীগের নির্বাচনে অংশগ্রহণ নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে প্রেস সচিব বলেন, এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেশের জনগণের। তবে আওয়ামী লীগের যেসব নেতাকর্মী ও সমর্থক জুলাই গণহত্যায় জড়িত এবং তার আগের গুম-খুনে জড়িত, দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত, তাদের সবার বিচার হবে। বিচারের পর দেশের মানুষ ও রাজনৈতিক দলগুলো সিদ্ধান্ত নেবে, আওয়ামী লীগের ভবিষ্যৎ কী হবে।

শফিকুল আলম আরও বলেন, প্রধান উপদেষ্টা বৈশ্বিক পরিসরে বাংলাদেশের সুনাম অর্জনে কাজ করছেন। সংযুক্ত আরব আমিরাতের সঙ্গেও সম্পর্ক উন্নয়নে কাজ করছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এতে তলানিতে থাকা সম্পর্কের উন্নয়ন ঘটে এবং মানবসম্পদ, বিনিয়োগসহ সব ক্ষেত্রে উন্নয়ন ঘটে।

আওয়ামী লীগ আমলে নানা কারণেই সংযুক্ত আরব আমিরাত, মালয়েশিয়া, বাহারাইনসহ অনেক দেশের সঙ্গেই সম্পর্ক ভালো ছিল না উল্লেখ করে প্রেস সচিব বলেন, সংযুক্ত আরব আমিরাত বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক নিতে চায়।

স্বাধীন সাংবাদিকতা নিয়ে কমিটি টু প্রটেস্ট জার্নালিস্টের (সিপিজে) প্রতিবেদনের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে প্রেস সচিব বলেন, ৫৩ বছরে সর্বোচ্চ স্বাধীনভাবে কাজ করছে সাংবাদিকরা। সিপিজেকে বাংলাদেশে এসে সাংবাদিকদের স্বাধীনতা পর্যবেক্ষণ করার আহ্বান জানান তিনি।

r1 ad
r1 ad
top ad image