শেখ হাসিনার বিদেশ সফরের খরচ অনুসন্ধান করবে দুদক

ক্ষমতায় থাকাকালে শেষ পাঁচ বছরে গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনার বিদেশ সফরের জন্য ৪৮টি ভিভিআইপি ফ্লাইটের পেছনে ২৫০ কোটি টাকা খরচ করা হয়েছে। এসব সফরে তিনি দেশের বাইরে আরও ২০০ কোটি টাকা খরচ করেছেন বলে জানিয়েছে দৃর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
সংস্থাটি মনে করছে, বিশাল বহর নিয়ে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী বিদেশ সফরের নামে বিপুল রাষ্ট্রীয় অর্থ অপচয় করেছেন। তাই দুদক এসব নিয়ে অনুসন্ধান করবে।
বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) শেখ হাসিনার বিদেশ সফরের খরচ নিয়ে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুদক। এ ছাড়া শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে সরকারি অর্থ খরচ করে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভুয়া ডক্টরেট ডিগ্রি সংগ্রহের অভিযোগও অনুসন্ধান করছে সংস্থাটি।
বৃহস্পতিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে দুদক এসব তথ্য জানিয়েছে। এ ছাড়া রাজধানীর সেগুনবাগিচা এলাকায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে সংস্থাটির মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) আক্তার হোসেনও সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
দুদক মহাপরিচালক বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী বিদেশে সফরে গেলে বিমান বাংলাদেশের উড়োজাহাজ ভাড়া করতেন সরকারি টাকায়। বিশাল বহর নিয়ে তিনি বিদেশ সফরে যেতেন। ক্ষমতার শেষের পাঁচ বছরে তিনি যেসব বিদেশ সফর করেছেন, ফ্লাইট ও বিদেশে অবস্থানের সময় মিলিয়ে তিনি মোট খরচ করেছেন ৪৫০ কোটি টাকা।
দুদকের গোয়েন্দা অনুসন্ধানের তথ্যের ভিত্তিতে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে বিদেশ সফরের নামে রাষ্ট্রীয় অর্থ অপচয় ও টাকার বিনিময়ে ভুয়া ডক্টরেট ডিগ্রি নেওয়ার অভিযোগ প্রকাশ্যে অনুসন্ধান করা হবে— এমনটি বলা হয়েছে দুদকের বিজ্ঞপ্তিতে।
দুদক জানিয়েছে, শেখ হাসিনা সরকারি অর্থ খরচ করে ভারতের ত্রিপুরা বিশ্ববিদ্যালয়, বেলজিয়ামের ক্যাথলিক বিশ্ববিদ্যালয় অব ব্রাসেলস এবং ভারতের বিশ্ব ভারতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পদক ও ডিগ্রি সংগ্রহ করেছেন। অর্থের পাশাপাশি জাতীয় স্বার্থপরিপন্থি চুক্তির বিনিময়ে এসব ডিগ্রি ও পদক নিয়েছেন তিনি।