শাপলা চত্বরে গণহত্যায় হাসিনা-ইমরানসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে পরোয়ানা\n
অন্যদিকে ঢাকায় বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আ ব ম ফারুক এক বিবৃতিতে রাব্বী আলমকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করার পাশাপাশি পরিষদের যুক্তরাষ্ট্র কমিটির কার্যক্রমেই স্থগিতাদেশ দিয়েছিলেন।
এএনআইকে দেওয়া ভিডিও সাক্ষাৎকারে ড. রাব্বি আলম বলেন, বাংলাদেশ আক্রমণের মুখে রয়েছে। এ বিষয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের হস্তক্ষেপ করা প্রয়োজন। একটি রাজনৈতিক বিদ্রোহ আছে, সেটি ঠিক আছে। কিন্তু এখন বাংলাদেশে যা চলছে তা প্রকৃতপক্ষে সন্ত্রাসী বিদ্রোহ। এ কারণেই আপনাদের সহায়তা প্রয়োজন।
শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগ নেতাদের ভারতে আশ্রয় দেওয়ার জন্য ভারতকে ধন্যবাদ জানিয়ে রাব্বী আলম বলেন, আমাদের অনেক নেতা ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন। এ জন্য আমরা ভারত সরকারের কাছে অত্যন্ত কৃতজ্ঞ। আমি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকেও ধন্যবাদ জানাই আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিরাপদে থাকতে দেওয়ার জন্য। আমরা ভারতের জনগণের কাছেও কৃতজ্ঞ।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসকে পদত্যাগ করার আহ্বান জানিয়ে রাব্বী আলম বলেন, আমরা বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসকে বলব, আপনি পদত্যাগ করুন। আপনি যেখান থেকে এসেছেন, সেখানে ফিরে যান। আপনার এখানে থাকার কোনো অধিকার নেই। বাংলাদেশের জনগণ শেখ হাসিনাকে চায়।
শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগ শিগগিরই বাংলাদেশের রাজনীতিতে ফিরবে জানিয়ে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, এটি বাংলাদেশের জনগণের জন্য একটি বার্তা— শেখ হাসিনা রাজনীতিতে প্রত্যাবর্তন করবেন। আমরাও রাজনীতিতে প্রত্যাবর্তন করব।
তরুণ প্রজন্ম ভুল করেছে উল্লেখ করে রাব্বী আলম বলেন, নিঃসন্দেহে তোমরা ভুল করেছ। তোমরা ভুল কাজ করেছ। কিন্তু এটি সমস্যা নয়। তোমাদের ভুল পথে পরিচালিত করা হয়েছে। তোমরা দেশের ইতিহাস-সংস্কৃতি সম্পর্কে জানো। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস জানো, মুক্তিযোদ্ধাদের সম্পর্কে জানো। শেখ হাসিনা ও তার বাবা বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নৈতিকতা ও মর্যাদার কথা জানো।
সবার উদ্দেশে রাব্বী আলম আবারও বলেন, কেউ চিন্তা করবেন না, শেখ হাসিনা খুব শিগগিরই ফিরবেন এবং তিনি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবেই ফিরবেন।
প্রসঙ্গত, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে গত বছরের ৫ আগস্ট দেশ ছাড়তে বাধ্য হন শেখ হাসিনা। ওই দিন থেকেই তিনি ভারতে আশ্রয় নিয়ে আছেন। এর মধ্যে দেশে তার বিরুদ্ধে গণহত্যাসহ নানা অপরাধের অভিযোগে তার সময়েই গড়ে তোলা আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচার চলছে। রয়েছে দুর্নীতি, অর্থ আত্মসাৎ, অবৈধভাবে সম্পদ উপার্জনের অভিযোগের মামলাও।
এসব মামলার বিচারকাজের জন্য বাংলাদেশ সরকার ভারতের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করেছে শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য। তবে ভারত সরকারের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে ইতিবাচক কোনো সাড়া আসেনি।