top ad image
top ad image
home iconarrow iconঘরের রাজনীতিarrow iconখবরাখবর

সীমান্তে ক্রমাগত হত্যাকাণ্ডে বাম জোটের উদ্বেগ

সীমান্তে ক্রমাগত হত্যাকাণ্ডে বাম জোটের উদ্বেগ

সীমান্তে ক্রমাগত হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বাম গণতান্ত্রিক জোট। বাম জোটের কেন্দ্রীয় পরিচালনা পরিষদের সভায় সীমান্তে হত্যাকাণ্ড বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানানো হয়েছে। একই সঙ্গে জাতীয় সঙ্গীত, মুক্তিযুদ্ধে শহীদের সংখ্যা, সংবিধান ও জাতীয় পতাকা নিয়ে অবমাননাকর বক্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়।

আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় বাসদ কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত ওই সভায় সভাপতিত্ব করেন বাম জোটের সমন্বয়ক ও বাসদ সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজ। সভায় বক্তৃতা করেন সিপিবি সভাপতি মো. শাহ আলম ও সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, বাসদের সহকারী সাধারণ সম্পাদক রাজেকুজ্জামান রতন, বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল কবির জাহিদ, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু, বাসদ (মার্কসবাদী) সমন্বয়ক মাসুদ রানা, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক পার্টির যুগ্ম সম্পাদক রুবেল সিকদার, কমিউনিস্ট লীগের সম্পাদক আব্দুস সাত্তার, বাসদ (মার্কসবাদী) নেতা সীমা দত্ত প্রমুখ।

সভায় স্বাধীনতা বিরোধী যুদ্ধাপরাধী গোলাম আযমের ছেলে আমান আযমীর সংবাদ সম্মেলনে মুক্তিযুদ্ধ, সংবিধান, জাতীয় সঙ্গিত, মুক্তিযুদ্ধে শহীদের সংখ্যা নিয়ে দেওয়া বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বলা হয়, তার বক্তব্যের মধ্য দিয়ে দেশের মুক্তিযুদ্ধ এবং স্বাধীনতাকামী জনতার আত্মত্যাগকে তিনি অস্বীকার করেছেন, যা চরম ঔদ্ধত্য ও দৃষ্টতার সামিল।

সভার গৃহীত প্রস্তাবে বলা হয়, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে অস্বীকার করে চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানের চেতনা ধারণ করা যাবে না। একাত্তরের আত্মদানকে অস্বীকার করা, মুক্তিযুদ্ধের বিরোধীতাকারী পাক বাহিনীর দোসর রাজাকার আলবদর বাহিনীর গণহত্যায় সমর্থন ও সহযোগিতাকারীদের ইতিহাস ভুলিয়ে দেওয়ার জন্যই যে তার এই বক্তব্য তা স্পষ্টভাবে প্রতিফলিত হয়েছে। জনগণ এই বক্তব্য ঘৃনাভরে প্রত্যাখ্যান করেছে। বাম জোটও তার এহেন ঔদ্ধত্যপূণ বক্তব্য প্রত্যাহার করার দাবি জানাচ্ছে।

সভায় দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির যথাযথ উন্নতি না হওয়া, বিভিন্ন স্থানে চাঁদাবাজি, দখলদারিত্বের হাত বদল হওয়া, নিত্য পণ্যের দাম না কমা, সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়া ও ‘মব জাস্টিসের’ নামে ভীতি ছড়ানো এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে দলীয় নিয়োগের খবরে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। এ সময় চাঁদাবাজি-দখলদারিত্বের অবসান এবং উপযুক্ত নীতিমালার ভিত্তিতে দলনিরপেক্ষ যোগ্য, দক্ষ ব্যক্তিদের নিয়োগের আহ্বান জানানো হয়েছে।

সভায় নেতৃবৃন্দ সাভার আশুলিয়া গাজীপুরে শ্রমিকদের নায্য দাবি মেনে নেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। একই সাথে শ্রমিক অসন্তোষের সুযোগ নিয়ে কেউ যেন আইন-শৃঙ্খলার অবনতি ঘটাতে না পারে সে বিষয়ে সরকারকে সতর্ক ভূমিকা পালন করার আহ্বান জানান।

r1 ad
r1 ad