‘আশ্বস্ত’ হলে ভোটের লড়াইয়ের কৌশল, না হলে কর্মসূচি দেবে বিএনপি\n
বৈঠক নিয়ে মারুফ কামাল লিখেছেন, সাক্ষাতে কী কী বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে তা জানা যায়নি। এই সাক্ষাৎ রাজনীতির রসায়নে নতুন কোনো ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করবে, নাকি নিছক সৌজন্য সাক্ষাৎ হয়েই থাকবে, তা বুঝতে হলে আমাদেরকে চোখ রাখতে হবে সামনের দিকে।
তবে দলের একাধিক সূত্র রাজনীতি ডটকমকে জানিয়েছেন, খালেদা জিয়া ও শফিকুর রহমানের সাক্ষাতে দুই দলের মধ্যেকার দূরত্বের বিষয়টি আলোচনায় এসেছে। এ ছাড়া সমসাময়িক রাজনীতির বিভিন্ন বিষয় নিয়েও আলোচনা করেছেন তারা। তবে সাক্ষাৎতে তারা কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন কি না, সে বিষয়ে স্পষ্ট কোনো বার্তা পাওয়া যায়নি।
বিএনপি ও জামায়াত দীর্ঘ সময় ধরে জোটবদ্ধ রাজনীতি করেছে। ২০০১ সালে বিএনপির নেতৃত্বাধীন যে রাজনৈতিক জোট সরকার গঠন করে, তার অন্যতম অংশীদার ছিল জামায়াত। তবে বিভিন্ন সময় দুই দলের মধ্যে দূরত্ব তৈরি হয়েছে। বিশেষ করে জুলাই-আগস্টের ছাত্র আন্দোলনের পর দল দুটির মধ্যে দূরত্ব বাড়তে থাকে।
অনলাইন-অফলাইনে দুই দলের নেতাদের বক্তব্য ও আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে স্পষ্ট হয়ে ওঠে, জাতীয় নির্বাচন ও সংস্কার নিয়ে দুই দলের মধ্যে তীব্র মতপার্থক্য রয়েছে। বিএনপি সংস্কারকে চলমান প্রক্রিয়া হিসেবে যত দ্রুতসম্ভব নির্বাচন দাবি করে আসছে। অন্যদিকে জামায়াতের দাবি, আগে সংস্কার প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে, এরপর নির্বাচন। সূত্র বলছে, এসব বিষয় গুরুত্ব সহকারে আলোচনায় উঠে এসেছে।
উন্নত চিকিৎসার জন্য গত ৭ জানুয়ারি লন্ডনে যান খালেদা জিয়া। ৮ জানুয়ারি তিনি লন্ডন ক্লিনিকে ভর্তি হন। হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়ে ২৫ জানুয়ারি ছেলের বাসায় ওঠেন তিনি। এরপর থেকে সেখানেই অবস্থান করছেন খালেদা জিয়া। দলের নেতারা এর আগে জানিয়েছিলেন, এপ্রিলের মাঝামাঝি সময়ে তিনি দেশে ফিরতে পারেন।
এদিকে জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমান গত ৪ এপ্রিল ব্রাসেলস সফরে যান। সেখানে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদর দপ্তরে একাধিক বৈঠক ও সাক্ষাৎ কর্মসূচি ছিল তার। প্রায় দুই সপ্তাহের ইউরোপ সফর শেষে সোমবার তিনি দেশে ফেরেন।