আ.লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে যমুনার সামনে হাসনাত, বাড়ছে সমাগম

প্রতিবেদক, রাজনীতি ডটকম
আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবিতে যমুনার সামনে বৃহস্পতিবার রাতে অবস্থান নিয়েছেন হাসনাত আব্দুল্লাহ। ছবি: সংগৃহীত

জুলাই আন্দোলনে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনার সামনে অবস্থান কর্মসূচির ডাক দিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম এবং দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ।

বৃহস্পতিবার (৮ মে) রাত ১০টা থেকে এই অবস্থান কর্মসূচি শুরুর ঘোষণা দেওয়ার পর হাসনাত প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের সামনে গিয়ে অবস্থান নেন। এরপর এনসিপির নেতাকর্মীরা সেখানে জড়ো হতে শুরু করেছেন। যোগ দিচ্ছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরাও।

রাত ১১টার দিকে যমুনার সামনে গিয়ে শতাধিক ব্যক্তির উপস্থিতি দেখা গেছে। এ সময় সেখানে উপস্থিত সবাই স্লোগান দিচ্ছিলেন— ‘আমার ভাই কবরে, খুনি কেন বাইরে’, ‘ব্যান করো ব্যান করো, আওয়ামী লীগ ব্যান করো’, ‘গোলামি না আজাদি, আজাদি আজাদি’। অবস্থান কর্মসূচির কারণে যমুনার সামনের সড়কে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।

এর আগে রাত ৯টা ৪২ মিনিটে হাসনাত আব্দুল্লাহ নিজের ফেসবুক প্রোফাইল থেকে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি ঘোষণা দেন।

তিনি লিখেছেন, ‘গণহত্যাকারী আওয়ামী লীগের বিচার নিশ্চিত ও রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধের সুস্পষ্ট রোডম্যাপ না পাওয়া পর্যন্ত আজ রাত ১০টা থেকে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার সামনে অবস্থান কর্মসূচি চলবে। যার এজেন্ডায় গণহত্যাকারী আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের সুস্পষ্ট বয়ান নাই, তার সাথে আমরা নাই।’

পরে রাত ১০টা ২৪ মিনিটে এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম তার প্রোফাইল থেকে স্ট্যাটাস দিয়ে এ কর্মসূচিতে সবাইকে যোগ দিতে আহ্বান জানান।

নাহিদ লিখেছেন, ‘আমরা দেখতে পাচ্ছি ফ্যাসিস্ট ও খুনী আওয়ামী লীগের বিচার নিয়ে টালবাহানা হচ্ছে। আওয়ামী লীগের নিবন্ধন বাতিল ও নিষিদ্ধের ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে না। আসামিদের জামিন দিয়ে দেওয়া হচ্ছে। অবৈধ ফ্যাসিস্ট সরকারের রাষ্ট্রপতিকে চোখের সামনে পালিয়ে যেতে দেওয়া হয়েছে। বিচার প্রশ্নে সরকারের প্রতি আমাদের অনাস্থার জায়গা তৈরি হইছে।’

আজ রাতেই আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের বিষয়ে ফয়সালা হবে উল্লেখ করে নাহিদ বলেন, ‘জুলাইয়ে আমাদের প্রতিশ্রুতি ছিল খুনিদের বিচার এবং মুজিববাদীরা বাংলার মাটিতে আর কখনো রাজনীতি করতে পারবে না। আজ রাতেই ফয়সালা হবে আওয়ামী লীগের বিষয়ে।’

তিনি আরও লিখেছেন, ‘আওয়ামী লীগের বিচার, নিবন্ধন বাতিল ও রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধের সুস্পষ্ট রোডম্যাপ না আসা পর্যন্ত আমরা রাজপথ থেকে উঠব না। সবাই চলে আসুন। জুলাইয়ে সব শক্তি, সকল শহিদ পরিবার ও আহতদের আহ্বান জানাই, রাজপথে নেমে আসুন। বিচার নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত আমাদের সংগ্রাম চলবে।’

এর আগে এ দিন দুপুরে হাসনাত তার আরেক স্ট্যাটাসে অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন করতেই বিচারে কালক্ষেপণ করা হচ্ছে। এ ছাড়া ভারতীয় হাইকমিশন ও গোয়েন্দা সংস্থা এ মাসেই সরকারি-বেসরকারি ও সামরিক পর্যায়ে ২৩টি বৈঠক করেছে একই উদ্দেশ্যে।

এর মধ্যে অবশ্য রাতে স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ফেসবুক স্ট্যাটাসে জানিয়েছেন, আওয়ামী লীগের দুই সহযোগী সংগঠন যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগকে নিষিদ্ধ করার প্রক্রিয়া শেষ হয়ে এসেছে। শিগগিরই নিষিদ্ধ হবে সংগঠন দুটি।

ad
ad

রাজনীতি থেকে আরও পড়ুন

হাদি ইস্যুতে সিইসির বক্তব্যে ক্ষুব্ধ জামায়াত আমির, চাইলেন ব্যাখ্যা

এর আগে আজ সোমবার সকালে রাজধানীর গুলশানের একটি কনভেনশন সেন্টারে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে সিইসি বলেন, ‘আইন-শৃঙ্খলার অবনতি হলো কোথায়? একটু মাঝেমধ্যে দু-একটা খুনখারাবি হয়। এই যে হাদির একটা ঘটনা হয়েছে, আমরা এগুলো বিচ্ছিন্ন ঘটনা বলে মনে করি।

১৬ ঘণ্টা আগে

সিইসি ও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার দায়িত্বে থাকা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন নাহিদ

বিজয় দিবসের কর্মসূচি প্রসঙ্গে নাহিদ বলেন, ‘গোয়েন্দা সংস্থাকে বিরোধি দল দমনে ব্যবহার করা হয়েছে। তারা গুম-খুন করেছে দক্ষতার সাথে। কিন্তু এখন খুনীকে ধরতে পারে না। ডিপস্টেট নিয়ে কথা বলতে হবে। ৭১ সাল থেকে প্রতিরোধ শুরু হয়েছিলো, এখনও চলছে। কাল উৎসব নয়, প্রতিরোধ যাত্রা করবো।’

১৭ ঘণ্টা আগে

‘আপনার-আমার মৃত্যু ইসির কাছে কেবল একটি সংখ্যা’

ভারতকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, ‘যারা বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব, ভোটাধিকার, মানবাধিকারকে বিশ্বাস করে না; তাদের যেহেতু আশ্রয়-প্রশ্রয় দিচ্ছেন বাংলেদেশেও ভারতের সেপারেটিস্টদের (বিচ্ছিন্নতাবাদী) আশ্রয়-প্রশ্রয় দিয়ে সেভেন সিস্টার্স আলাদা করে দেব।’

১৮ ঘণ্টা আগে

'বিজয়ের অঙ্গীকার হোক বিভাজন ভুলে মানুষের পাশে দাঁড়ানো'

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, এই মুহূর্তে দেশের প্রধান প্রয়োজন নির্বিঘ্ন, অবাধ ও সুষ্ঠু জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের মাধ্যমে জনকল্যাণমুখী ও জবাবদিহিমূলক সরকার গঠনের পরিবেশ নিশ্চিত করা। একটি বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়তে মহান বিজয় দিবসে আমাদের অঙ্গীকার হোক-আমরা সব ধরনের বিভাজন ও হিংসা ভু

২০ ঘণ্টা আগে