নিষিদ্ধ হচ্ছে আ.লীগের ২ সহযোগী সংগঠন\n
এর আগে রাত ৯টা ৪২ মিনিটে হাসনাত আব্দুল্লাহ নিজের ফেসবুক প্রোফাইল থেকে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি ঘোষণা দেন।
তিনি লিখেছেন, ‘গণহত্যাকারী আওয়ামী লীগের বিচার নিশ্চিত ও রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধের সুস্পষ্ট রোডম্যাপ না পাওয়া পর্যন্ত আজ রাত ১০টা থেকে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার সামনে অবস্থান কর্মসূচি চলবে। যার এজেন্ডায় গণহত্যাকারী আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের সুস্পষ্ট বয়ান নাই, তার সাথে আমরা নাই।’
পরে রাত ১০টা ২৪ মিনিটে এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম তার প্রোফাইল থেকে স্ট্যাটাস দিয়ে এ কর্মসূচিতে সবাইকে যোগ দিতে আহ্বান জানান।
নাহিদ লিখেছেন, ‘আমরা দেখতে পাচ্ছি ফ্যাসিস্ট ও খুনী আওয়ামী লীগের বিচার নিয়ে টালবাহানা হচ্ছে। আওয়ামী লীগের নিবন্ধন বাতিল ও নিষিদ্ধের ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে না। আসামিদের জামিন দিয়ে দেওয়া হচ্ছে। অবৈধ ফ্যাসিস্ট সরকারের রাষ্ট্রপতিকে চোখের সামনে পালিয়ে যেতে দেওয়া হয়েছে। বিচার প্রশ্নে সরকারের প্রতি আমাদের অনাস্থার জায়গা তৈরি হইছে।’
আজ রাতেই আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের বিষয়ে ফয়সালা হবে উল্লেখ করে নাহিদ বলেন, ‘জুলাইয়ে আমাদের প্রতিশ্রুতি ছিল খুনিদের বিচার এবং মুজিববাদীরা বাংলার মাটিতে আর কখনো রাজনীতি করতে পারবে না। আজ রাতেই ফয়সালা হবে আওয়ামী লীগের বিষয়ে।’
তিনি আরও লিখেছেন, ‘আওয়ামী লীগের বিচার, নিবন্ধন বাতিল ও রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধের সুস্পষ্ট রোডম্যাপ না আসা পর্যন্ত আমরা রাজপথ থেকে উঠব না। সবাই চলে আসুন। জুলাইয়ে সব শক্তি, সকল শহিদ পরিবার ও আহতদের আহ্বান জানাই, রাজপথে নেমে আসুন। বিচার নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত আমাদের সংগ্রাম চলবে।’
এর আগে এ দিন দুপুরে হাসনাত তার আরেক স্ট্যাটাসে অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন করতেই বিচারে কালক্ষেপণ করা হচ্ছে। এ ছাড়া ভারতীয় হাইকমিশন ও গোয়েন্দা সংস্থা এ মাসেই সরকারি-বেসরকারি ও সামরিক পর্যায়ে ২৩টি বৈঠক করেছে একই উদ্দেশ্যে।
এর মধ্যে অবশ্য রাতে স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ফেসবুক স্ট্যাটাসে জানিয়েছেন, আওয়ামী লীগের দুই সহযোগী সংগঠন যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগকে নিষিদ্ধ করার প্রক্রিয়া শেষ হয়ে এসেছে। শিগগিরই নিষিদ্ধ হবে সংগঠন দুটি।